ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ ॥ বৃথা গেল মোসাদ্দেকের সেঞ্চুরি, জিতল রূপগঞ্জ ও ব্রাদার্স

আবাহনীকে হারিয়ে সুপার লীগে শেখ জামাল

প্রকাশিত: ১২:১০, ১১ এপ্রিল ২০১৯

আবাহনীকে হারিয়ে সুপার লীগে শেখ জামাল

মিথুন আশরাফ ॥ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের এবারের আসরে চার দল আগেই সুপার লীগ খেলা নিশ্চিত করেছে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, আবাহনী লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ‘সুপার লীগে’ খেলা আগেই নিশ্চিত করে রেখেছে। বুধবার নাসির হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আবাহনীকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব পঞ্চম দল হিসেবে ‘সুপার লীগ’ খেলা নিশ্চিত করে নিয়েছে। ম্যাচটিতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সেঞ্চুরি করলেও তা বৃথা যায়। আজ লীগের একাদশ ও শেষ রাউন্ডের শেষদিন। এদিন সুপার লীগের আরেক দল নিশ্চিত হবে। বুধবার দিনের অন্য দুটি ম্যাচে উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ এবং ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে এক বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে হেরেছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। শেখ জামাল-আবাহনী ম্যাচ, বিকেএসপি শেখ জামাল হারলেই বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতে পারত। সুপার লীগে খেলার আশা শেষ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু জিতে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো শেখ জামালের। বল হাতে ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ৪৫ রান করেন নাসির। তার দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শেখ জামালও জিতে যায়। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২১১ রান করে আবাহনী। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত অপরাজিত ১০১ রান করেন। নাসির ৩ উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৮.৫ ওভারে ২১৫ রান করে শেখ জামাল জিতে যায়। মজুমদারের ৫৬ রানের সঙ্গে নাসিরের ৪৫ ও তানভির হায়দারের অপরাজিত ৩৮ রানে জিতে শেখ জামাল। জয় পেয়ে সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত করে দলটি। সুপার লীগে ওঠার ক্ষেত্রে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবও আছে। কিন্তু কেউই আজ জিতলেও শেখ জামালের ওপরে যেতে পারবে না। মোহামেডান ও গাজী গ্রুপ জিতলে শেখ জামালের সমান ১২ পয়েন্ট হতে পারবে। আর শাইনপুকুর জিতলে হবে ১১ পয়েন্ট। মোহামেডান ও গাজী গ্রুপ জিতলে যেহেতু সমান পয়েন্ট হবে, তখন শেখ জামাল, মোহামেডান ও গাজী গ্রুপের মধ্যে যে কোন দুটি দল উঠবে সুপার লীগে। কিন্তু পয়েন্ট সমান হলে ‘হেড টু হেড’ বিবেচনা আগে হয়। সেখানে মোহামেডান, গাজী গ্রুপ ও শাইনপুকুর; এই তিন দলকেই লীগপর্বে হারিয়েছে শেখ জামাল। তাতে করে দলটির সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায়। স্কোর ॥ আবাহনী ইনিংস- ২১১/৯; ৫০ ওভার (মোসাদ্দেক ১০১*, মিঠুন ৩৩; নাসির ৩/২৪, ইলিয়াস ২/৪২)। শেখ জামাল ইনিংস- ২১৫/৭; ৪৮.৫ ওভার (মজুমদার ৫৬, নাসির ৪৫, তানভির ৩৮*, ইমতিয়াজ ৩০; সৌম্য ২/২৯)। ফল ॥ শেখ জামাল ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাসির হোসেন (শেখ জামাল)। রূপগঞ্জ-উত্তরা এসসি ম্যাচ, মিরপুর ম্যাচটিতে যে রূপগঞ্জ শক্তিশালী দল, জিতবে; তা আগেই ধরে নেয়া হয়েছে। দলটি পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল। এখন আরও একধাপ এগিয়ে গেছে। উত্তরা এসসিকে সহজেই হারিয়েছে রূপগঞ্জ। আগে ব্যাটিং করে উত্তরা এসসি ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ১৮০ রান করে। আনিসুল ইসলাম ইমন ৫৫ রান করেন। নাবিল সামাদ নেন ৩ উইকেট। জবাবে মোহাম্মদ নাইমের ৬৩, মেহেদী মারুফের অপরাজিত ৬২ ও মুমিনুল হকের অপরাজিত ৪৭ রানে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০.৪ ওভারে ১৮১ রান করে জিতে যায় রূপগঞ্জ। স্কোর ॥ উত্তরা এসসি ইনিংস- ১৮০/৮; ৫০ ওভার (ইমন ৫৫, মিনহাজুল ৩৭; নাবিল ৩/২৯)। রূপগঞ্জ ইনিংস- ১৮১/১; ৪০.৪ ওভার (নাইম ৬৩, মেহেদী ৬২*, মুমিনুল ৪৭*)। ফল ॥ রূপগঞ্জ ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাবিল সামাদ (রূপগঞ্জ)। ব্রাদার্স-দোলেশ্বর ম্যাচ, ফতুল্লা ম্যাচটিতে ব্রাদার্সের জেতা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচটিতে তারা জিতেছেও। জিতে এখন রেলিগেশন লীগ খেলা থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছে। কিন্তু দোলেশ্বর শক্তিশালী দল হয়েও ব্রাদার্সের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারল না। তা সম্ভব হলো না ফজলে মাহমুদ রাব্বির ৭৪ রানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে। আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৫০ রান করে দোলেশ্বর। তাইবুর রহমান অপরাজিত ৭০ রান করেন। মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। জবাব দিতে নেমে রাব্বির ৭৪ রানের সঙ্গে মিজানুর রহমানের ৪২ ও শরিফুল্লাহর ৪১ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৯.৫ ওভারে ২৫১ রান করে জিতে ব্রাদার্স। স্কোর ॥ দোলেশ্বর ইনিংস- ২৫০/৫; ৫০ ওভার (তাইবুর ৭০*, মার্শাল ৫০, ফরহাদ ৪০; বিশ্বনাথ ২/৪৫)। ব্রাদার্স ইনিংস- ২৫১/৯; ৪৯.৫ ওভার (রাব্বি ৭৪, মিজানুর ৪২, শরিফুল্লাহ ৪১; আরাফাত ৪/৬২, এনামুল জুনিয়র ৩/৪৬)। ফল ॥ ব্রাদার্স ১ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ফজলে মাহমুদ রাব্বি (ব্রাদার্স)।
×