ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযানে বাধা

প্রকাশিত: ১১:২৫, ১১ এপ্রিল ২০১৯

বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযানে বাধা

হাসান ইমাম সাগর ॥ উচ্ছেদ অভিযানে বাধা সৃষ্টি করলে সঙ্গে সঙ্গে আটক। কখনও জেল। কখনও জরিমানা। ছাড় নেই ধনী-গরিব কাউকে। এই বিষয়ে জিরো টলারেন্স অবলম্বন করছে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে অভিযানের শুরুতে বাধায় পড়তে হয় বিআইডাব্লিটিএকে। এগ্রোভিটা লিমিটেডের এক কর্মকর্তা বাধা সৃষ্টি করে। রেজাউল করিম নামে ওই কর্মকর্তা সরকারের প্রভাব-প্রতাপশালী বলে দাবি করে। এ সময় তিনি এগ্রোভিটা কোম্পানির পক্ষে ভুয়া কাগজপাতি দেখানোর চেষ্টা করলে আটক করা হয়। চার ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে অভিযানের ২৬তম কার্যদিবসে মোট ১৭টি ছোট বড় স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রায় ২১ লাখ টাকা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে সাতটি বালুর গদি। এতে প্রায় তিন একর জায়গা ফিরে পায় নদী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ও বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক কেএম আরিফ উদ্দীনের সার্বিক নির্দেশনায় অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে সমন্বয় করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও। এ সময় আটক রেজাউলের দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ওই সম্পত্তি লিজ নিয়েছে ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম নামে এক ব্যক্তি। প্রতিবছর তিনি ওই জমির কাগজপত্র হালনাগাদ করে। তাই উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেন তিনি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তবিবর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নিকট থেকে ওই ব্যক্তি দুইটি সংযোগ সড়ক লিজ নিয়েছিল। কিন্তু এই লিজ নেয়ার সুযোগে সে নদীর পাড় থেকে রোড পর্যন্ত পুরো জায়গা ভরাট করে অবৈধ দখল করেছে। পরবর্তীতে অবৈধ স্থপনা গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল ওই কোম্পানির। এজন্য এখানে উচ্ছেদ করা হয়েছে। রোডের দুই পাশে কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে না এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জনবল স্বল্পতার কারণে বিআইডাব্লিউটিএর সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা শুধু নদীর পাশের অংশে উচ্ছেদ করছি। তবে নদী তীর উচ্ছেদ অভিযান শেষ হলেই আমরা এককভাবে অভিযান চালাব। এদিকে উচ্ছেদ অভিযানে কিছু কিছু স্থাপনা উপেক্ষা করে বিআইডাব্লিউটিএর অভিযান চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দিয়াবাড়ির পর থেকে বেশ কয়েকটি স্থাপনা বাদ রেখে নদীর আপস্ট্রিমে এগিয়ে গেছে উচ্ছেদ অভিযান টিম। এই বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নদীর তীরে কিছুসংখ্যক জায়গায় এক্সাভেটর নামানো খুব কঠিন। আমরা এমন কিছু জায়গা রেখে আসছি। তবে ওইগুলোও উচ্ছেদ হবে। তাছাড়া একবারে যাতে বেশি সংখ্যক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা যায় আমরা এমন জায়গায় এক্সাভেটর ব্যবহার করছি।
×