ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আজকের বিষয় : টানাপতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ১১ এপ্রিল ২০১৯

আজকের বিষয় : টানাপতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ মিছিল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে সূচকের পতনের ধারা কোনভাবেই কমছে না। বর্ষার স্রোতের মতো ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সব উদ্যোগ। বাজার সংশ্লিষ্টদের একের পর বৈঠকের খবরেও কোন আস্থা আসছে না বিনিয়োগকারীদের। ভাল-মন্দ সব ধরনের কোম্পানিরই দর কমছে। কোম্পানির দর কমার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘশ্বাস আরও বাড়ছে। প্রতিদিনই বিনিয়োগকারীরা হাতে থাকা শেয়ারে লোকসান গুনছেন। এই পতনের মার্কেটে নতুন পুরাতন কোন কোম্পানিই বাদ যাচ্ছে না দর কমার তালিকা থেকে। সবমিলে টানাপতনে বিনিয়োগকারীদের হাহাকার প্রতিদিনই বাড়ছে। লোকসানে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা তৃতীয় দিনের মতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বুধবারও শেয়ারবাজারের সব সূচক ও টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন ১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কমে নেমে গেছে। জানা গেছে, ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। যা ১ বছর ১৮ দিন বা ২৫১ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৮ সালের ২২ মার্চ ডিএসইর লেনদেন চেয়ে কম হয়েছিল। ওই দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছেল ২২৪ কোটি টাকার। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বুধবার আগের দিনের ধারাবাহিকতায় ডিএসইতে সূচকের সামান্য উর্ধগতিতে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। দিনশেষে এই সূচক আর বাড়তে পারেনি। সেখানে সবকটি সূচকই আগের দিনের তুলনায় কমেছে প্রায় ১ শতাংশ হারে। এই দিনে ডিএসইতে ৭২ ভাগ কোম্পানির দর কমেছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৬১ পয়েন্টে। যা ৩ মাস ২১ দিন বা ৭৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর বুধবারের চেয়ে কমে অবস্থান করছিল ডিএসইএক্স। ওই দিন ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ২৪২ পয়েন্টে। বুধবারে অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ২২ পয়েন্টে কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২১৭ ও ১ হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে ৩৪৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৬৪টির বা ১৮ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২৩১টির বা ৬৭ শতাংশের এবং শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টির বা ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকার লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে মুন্নু সিরামিক এবং ৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফরচুন সুজ। সার্বিক লেনদেন উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে - রেকিট বেনকিজার, ইউনাইটেড পাওয়ার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ইস্টার্ন ক্যাবল, এস্কোয়ার নিট কম্পোজিট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল এবং মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্স। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৬৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দর। সিএসইতে আজ ১২ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
×