ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘বাংলাদেশ গণপরিষদ’ গঠন ॥ ঐতিহাসিক ১০ এপ্রিল, ১৯৭১

প্রকাশিত: ১১:৫০, ১০ এপ্রিল ২০১৯

‘বাংলাদেশ গণপরিষদ’ গঠন ॥ ঐতিহাসিক ১০ এপ্রিল, ১৯৭১

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল দিনটি ছিল শনিবার। মুক্তির নেশায় সশস্ত্র সংগ্রামে বীর বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। মুক্তিযুদ্ধকে সাংগঠনিক রূপ দেয়া এবং আন্তর্জাতিক পরিম-লে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য সরকার গঠন করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের প্রচেষ্টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সহায়তার আশ্বাস পাওয়া যায়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলার সংগ্রামকে বিশ্ব পরিম-লে স্বীকৃতি আদায় করতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও রচিত হয়। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। মুক্তিসংগ্রামের এইদিনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সহকারী পররাষ্ট্র সচিব জোসেফ সিসকো বলেন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে যে অস্ত্র দিয়েছে, তা তারা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করতে পারবে। শেরে বাংলার পুত্র ও জাতীয় পরিষদ সদস্য (আওয়ামী লীগ) এ. কে. ফজজুল হক ঢাকায় এক বিবৃতিতে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে সশস্ত্র ভারতীয়দের নগ্ন অনুপ্রবেশ ও অসাধু উদ্দেশ্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে দ্বিখ-িত করার জন্য ভারতের স্থির প্রতিজ্ঞা আমাদের প্রতি তাদের শত্রুতামূলক মনোভাবের প্রমাণ। লাকসামে পাকবাহিনীর সঙ্গে বাংলার মুক্তিকামী যোদ্ধাদের মুখোমুখি লড়াই শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকবাহিনীর দুজন লেফটেন্যান্টসহ ২৬ জন সৈন্য নিহত এবং ৬০ জন সৈন্য আহত হয়। এ সংঘর্ষের পর মুহূর্তে পাকবাহিনীর সৈন্যরা নিজেদের সামলে নিয়ে মেশিনগান, মর্টার ও আর্টিলারীর মাধ্যমে গোলাগুলি শুরু করে। চার ঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পর মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে। ফলে পাক বাহিনী লাকসাম দখল করে নেয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করার লক্ষ্যে দৌলতগঞ্জ সেতু বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে উড়িয়ে দেয়। এতে লাকসাম-নোয়াখালী সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সিলেটে পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানে প্রচ- হামলা করে। হামলার মুখে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে সুরমা নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থান নেয়। দিনাজপুরের দশমাইলে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিতে পাকসেনারা ট্যাঙ্ক ও গোলন্দাজ বহর নিয়ে প্রত্যুষে তীব্র আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার সঙ্গে তাদের প্রতিহত করে। বেলা ২টায় দ্বিতীয়বারের মতো আক্রমণ করলে মুক্তিযোদ্ধারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পিছু হটে। দিনাজপুরের যোদ্ধারা ঘাঁটি পরিবর্তন করে ও ঠাকুরগাঁয়ের যোদ্ধারা ঢেপা নদীর ভাতগাঁও পুলের নিকট অবস্থান নেয়। এ যুদ্ধে চার জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং বেশ কজন লোক আহত হয়। সিলেটের খাদেমনগরে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পাকসেনারা একই সঙ্গে স্থল ও বিমান হামলা চালায়। পাকজঙ্গী বিমানগুলো ব্যাপক বোমা নিক্ষেপ করে। ফলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে এসে হরিপুর নামক স্থানে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। পাবনা অভিমুখে অগ্রসরমান পাকসেনাদের একটি বিশাল বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নগরবাড়ি ঘাটে এসে পৌঁছায়। মুক্তিযোদ্ধারা নগরবাড়ি ঘাটে পাকসেনাদের প্রতিরোধ করলে কয়েক ঘণ্টা গুলি বিনিময় হয়। এ সংঘর্ষে পাবনার বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী গোলাম সরওয়ার শহীদ হন। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ ভেদ করে পাবনার দিকে অগ্রসর হয়। পাবনা পুনরায় পাকসেনাদের দখলে চলে যায়। পাক বর্বররা শহরে প্রবেশকালে রাস্তার দুপাশের বাড়িঘর, দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং গুলি করে অগণিত মানুষকে হত্যা করে। শান্তি কমিটি গঠিত হবার পর নেতৃত্বের কোন্দল দেখা দিলে একটি গোষ্ঠী ফরিদ আহমদকে সভাপতি করে নয় সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে মূল শান্তি কমিটি থেকে বের হয়ে যায়। স্টিয়ারিং কমিটির ঘোষণায় বলা হয়, এই কমিটি পূর্ব পাকিস্তান শান্তি ও কল্যাণ কাউন্সিল গঠন করে প্রতিটি জেলায় এর শাখা প্রতিষ্ঠা করবে। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও ভারতীয় ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতি দেয় আবদুল মতিন, মোহাম্মদ ইদরিস, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, জালালুদ্দিন আহমদ, কে.এ.এম তৌফিকুল ইসলাম, ফকরুদ্দিন আহমদ, এম. ইকবাল আহমদ, সৈয়দ শহিদুল হক, কলিমুদ্দীন আহমদ, সিরাজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মেসবাহউদ্দিনসহ ঢাকা জেলা বারের ৪১ জন আইনজীবী। এই দিন যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ শিরোনামÑ‘ঝিকরগাছায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিফৌজের প্রচ- লড়াই। সংবাদে বলা হয়, পাকিস্তানী বাহিনী ঝিকরগাছা পর্যন্ত রণক্ষেত্র বিস্তৃত করেছে। কামান ও ৬ ইঞ্চি মর্টার নিয়ে পাকসৈন্যরা মালঞ্চ গ্রামের ওপর নতুন করে আক্রমণ চালালে মুক্তিযোদ্ধারা গ্রামটি ছেড়ে আসে। মুক্তিযোদ্ধাদের মেশিনগানের গুলিতে প্রায় একশ’ পাকসৈন্য নিহত হয়। মালঞ্চ গ্রাম ছেড়ে মুক্তিযোদ্ধারা একদিকে যশোর রোডের ওপর লাউজানি লেভেল ক্রসিং গেটে এবং অন্যদিকে ঝিকরগাছা বাজারের উত্তর দিকে কপোতাক্ষ নদের পূর্ব পারে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে ‘ব্যাক টু দি ওয়াল’ লড়াই আরম্ভ করে। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বাংলাদেশকে সর্বপ্রকার সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিলে তাজউদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগের এমএনএ (গ.ঘ.অ) এবং এমপিএ (গ.চ.অ)দের কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তে ভারতের আগরতলায় অধিবেশনে একত্র হয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ’ গঠন করে, মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলাকে ‘মুজিবনগর’ নামকরণ করে রাজধানী ঘোষণা করা হয় এবং জারি করা হয় ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাকে অনুমোদন করা হয়। উক্ত অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়। এই মন্ত্রিপরিষদ এবং এমএনএ ও এমপিএ-গণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য নিয়োগ করে স্বাধীন বাংলা সরকার গঠিত হয়। মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধে প্রবল গতি সঞ্চার হয়। বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে একই দিনে আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ নামে একটি আদেশ জারি করেন। স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে যে সকল আইন চালু ছিল, তা রক্ষার্থে এটা করা হয়। আমি, বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে এ আদেশ জারি করছি যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে যে সকল আইন চালু ছিল, তা ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একইভাবে চালু থাকবে, তবে প্রয়োজনীয় সংশোধনী সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য করা যাবে। এই রাষ্ট্র গঠন বাংলাদেশের জনসাধারণের ইচ্ছায় হয়েছে। এক্ষণে, সকল সরকারী, সামরিক, বেসামরিক, বিচার বিভাগীয় এবং কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যারা বাংলাদেশের প্রতি অনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেছেন, তারা এতদিন পর্যন্ত নিয়োগবিধির আওতায় যে শর্তে কাজে বহাল ছিলেন, সেই একই শর্তে তারা চাকরিতে বহাল থাকবেন। বাংলাদেশের সীমানায় অবস্থিত সকল জেলা জজ এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সকল কূটনৈতিক প্রতিনিধি, যারা অন্যত্র অবস্থান করছেন, তারা সকল সরকারী কর্মচারীকে স্ব স্ব এলাকায় আনুগত্যের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। এই আদেশ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য করতে হবে। ফলশ্রুতিতে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে বাঙালীর মুক্তির সংগ্রাম। সরকারের শপথ গ্রহণ অচিরেই বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চলে অনুষ্ঠিত হবে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি আকাশবাণী ও বিবিসিতে প্রচারিত হবে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দুই দফা বৈঠক শেষে দিল্লীতেই একটা বেতার ভাষণ রেকর্ড করেন তাজউদ্দীন আহমদ, যা একাত্তরের এই দিনে শিলিগুড়ি বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচার করা হয়। আকাশবাণীর মাধ্যমে সে ঘোষণা বাংলাদেশের অনেকেই শোনেন। ওই ভাষণে তাজউদ্দীন আহমদ নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ভাষণে পলায়নপর ও নৃশংস গণহত্যার শিকার বাঙালীরা প্রবল আশার আলো পায়। মহান মুক্তিযুদ্ধকে আরও বেগবান করা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে নেতৃত্ব দেয় এই সরকার। তাজউদ্দীন আহমদ আরও তিনজন আঞ্চলিক অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেন। ক্যাপ্টেন নওয়াজিশ রংপুর অঞ্চলের, মেজর নাজমুল হক দিনাজপুর-রাজশাহী-পাবনা অঞ্চলের এবং মেজর এম.এ জলিল বরিশাল-পটুয়াখালী অঞ্চলের অধিনায়কত্ব লাভ করেন। প্রতিটি অঞ্চলকে একেকটি সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অমৃতবাজার পত্রিকায় বাংলাদেশের গণহত্যাকে অদ্ভুত ট্র্যাজেডি হিসেবে বর্ণনা করে লিখেন, অবশ্যই এমন কিছু যার কোন তুলনা হয় না। হত্যাকা- এবং যেসব পরিস্থিতি সংঘটিত হচ্ছে সেগুলোর প্যাটার্ন হিটলারের সৈন্যদের প্রায় চল্লিশ বছর আগের হত্যাকা-ের সংস্কৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। এটা তাদের ফ্যাসিস্ট পদ্ধতি। দ্য ফ্রন্টিয়ার এর সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়, পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় যে যুদ্ধ চলছে তার প্রবণতা এখন গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি। লুকানো সাংবাদিকদের চাক্ষুষ প্রমাণাদি এবং উদ্বাস্তুদের থেকে প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে গণহত্যা, শহরে বোমা হামলা, ধর্ষণ লুটপাট এবং বেসামরিক নাগরিকদের পশ্চিম পাকিস্তানীদের দ্বারা ভীতি প্রদর্শনের খবর পাওয়া যায়। পশ্চিম পাকিস্তানীরা দেশভাগে যুক্তদের দেশ থেকে তাড়াতে চাইছে এবং দখলদার বাহিনীর মতো আচরণ করছে। মুক্তিযুদ্ধ চলার কারণে নির্ভরযোগ্য রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এখনও প্রতিরোধের প্যাটার্ন উপলব্ধি করা যাচ্ছে না। কে সামরিক জান্তাকে চুনকালি দিচ্ছে? পরিস্থিতি এই রকম হবার কথা নয়। এটাই কারণ হতে পারে যার জন্য বড় শক্তিগুলো দর্শকের ভূমিকায় আছে। তারা দেখার চেষ্টা করছে, নিষ্পত্তিমূলক ফ্যাক্টর হিসেবে কোনটা আসবে। ভারত প্রথম থেকেই বাংলাদেশকে সমর্থন করছে কারণ পাকিস্তান ভাঙ্গার চেয়ে ভাল তার জন্য আর কিছুই হতে পারে না। বাংলাদেশ যদি আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে সেটা দ্বিগুণ সুবিধাজনক হবে। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক [email protected]
×