ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গরম পানিতে ঝলসে দিল পাষ- স্বামী

প্রকাশিত: ১১:২০, ১০ এপ্রিল ২০১৯

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গরম পানিতে ঝলসে দিল পাষ- স্বামী

নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, ৯ এপ্রিল ॥ হত্যার উদ্দেশ্যে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ লতা আক্তারের (১৯) শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুজন মিয়ার (২৩) বিরুদ্ধে। গরম পানিতে লতার শরীর ৩০ ভাগ ঝলসে গেছে। এই ঝলসানো শরীর নিয়ে লতা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ২৬নং বেডে। লতা ও তার পেটের ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সন্তান আপাতত ভাল থাকলেও ৭২ ঘণ্টা পর প্রকৃত অবস্থা বলা যাবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক। এদিকে লতার বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ মঙ্গলবার সকালে সুজন মিয়াকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে। সে লতার শরীরে গরম পানি ঢালার কথা স্বীকার করেছে। মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার হিজুলি গ্রামের বিশা খার বড় মেয়ে লতার সঙ্গে পৌর এলাকার বেউথা গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে সুজন মিয়ার (২৩) বিয়ে হয় ১৪ মাস আগে। পেশায় রাজমিস্ত্রি সুজন বিয়ের পর থেকে লতাকে বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। গত রবিবার দুপুরে সুজন গোসল করার জন্য গরম পানি করতে বলে লতাকে। গরম পানি হওয়ার পর সুজন গোসলের জন্য গামছা নিয়ে আসতে বলে। গামছা নিয়ে যাওয়ার পর সুজন গামছা ময়লা কেন মর্মে লতাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে গোসলের ফোটানো গরম পানি লতার শরীরে ঢেলে দেয় বলে জানান লতার বাবা। তিনি বলেন, খবর পেয়ে সন্ধ্যায় তার মেয়েকে সুজনদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) লুৎফর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, লতা বর্তমানে শঙ্কামুক্ত থাকলেও এ ধরনের রোগীকে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হয়। মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুজ্জমান জানান, সুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে লতার গায়ে গরম পানি ঢালার কথা স্বীকার করেছে।
×