ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহারে বদলে যাচ্ছে বরেন্দ্র এলাকার রূপ

প্রকাশিত: ১১:১৫, ১০ এপ্রিল ২০১৯

ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহারে বদলে যাচ্ছে বরেন্দ্র এলাকার রূপ

ডি. এম তালেবুন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ বরেন্দ্র আর্দ্রতা, জলবায়ু, ভূগর্ভস্থ পানি, ভূউপরিস্থ পানি, চাষাবাদ ইত্যাদি নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠলেও এখন পর্যন্ত বরেন্দ্রর উৎপাদিত ফসল নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। তবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর মারাত্মকভাবে নেমে যাওয়ার কারণে কৃষকদের মধ্যে যে জড়তা সৃষ্টি হয়েছিল তা আবার কমতে শুরু হয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাওয়ার কারণে নওগাঁ জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে আম বাগান করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ইলামিত্রের নাচোলে আমের পরিবর্তে পেয়ারা ও বিভিন্ন ধরনের বরই চাষের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে গোমস্তাপুরের পার্বতীপুর আড্ডা এলাকায় একইভাবে আম চাষ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই বেল্টের পোরশা, নেয়ামতপুর, ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর, মান্দাসহ ৭/৮টি থানায় বৃদ্ধি পেয়েছে আমের বাগান করার প্রবণতা। একই ভাবে রাজশাহী সদর, গোদাগাড়ী, বোয়ালিয়া, পবা, চারঘাট, পুঠিয়া, বাগমারা মোহনপুর ও নাটোরের ৬ থানাতেই চাষীরা অনেকেই আম বাগান করে আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করেছেন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর থানার অধিকাংশ বরেন্দ্র এলাকায়, বিশেষ করে আমনুরা রোডের ধারে অধিকাংশ এলাকায় মাল্টা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফলের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ফলের বাগান গড়ে উঠেছে ভূউপরস্থ পুকুরের পানিতেই। যে খানেই পুকুর আছে তার আশপাশে এসব ফলের বাগান গড়ে উঠেছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের অভিমত এসব ফল বাগান করতে সেচের পানির খুব প্রযোজন পড়ে না। যার কারণে পুকুরের কিংবা খাল বিলের পানি পাম্পের সাহায্যে উঠিয়ে দিলেই চলে। তবে বিশাল আকারের সেচের প্রয়োজন পড়ে না। যা ভূগর্ভস্থ পানির প্রয়োজন না হয়ে ভূউপরস্থ পানি দিয়ে সেচ দিলেই চলে। যার কারণে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইদানিং ভূগর্ভস্থ পানি সেচে ব্যবহার না করে তা বিভিন্ন বরেন্দ্রর গ্রামে সরবরাহ শুরু করেছে খাবার পানি হিসেবে। বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রচুর গ্রাম রয়েছে তাতে বসবাস করে উপজাতীয় সাঁওতাল, ওরাওসহ বিভিন্ন রাজবংশী জাতির মানুষ। এতদিন তারা পুকুরের পানি ব্যবহার করে আসছিল। বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কারণে তারা বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে ডিপের মাধ্যমে। এতে করে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের আয় বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানি নিয়ে যে হাউকাউ ছিল চাষীদের মধ্যে তার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। তবে বরেন্দ্রর চাষীরা তাদের জমি আবাদের জন্য পানি পাচ্ছে কোন সূত্র থেকে? এদিকে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এখন শুধু বৃহত্তর রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে নিজেদের সীমাবন্ধ না রেখে সম্প্রসারিত করেছে একেবারে রংপুর বিভাগের দিনাজপুর পর্যন্ত। যদিও বৃহত্তর কর্মকা- এখনও রাজশাহী অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, তবুও সম্প্রসারণের কারণে কর্মকা- বাড়িয়েছে। বাড়িয়েছে স্টাফের পরিমাণ। তবে কি পরিমাণ ফসল বাড়িয়েছে তার পরিমাণ কেমন? তার চুলচেরা বিশ্লেষণ ও পরিসংখ্যান তাদের কাছে থাকলেও মিডিয়ার কাছে নেই। তবে ইতোমধ্যেই ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ অনেক কমেছে। বেড়েছে ভূউপরস্থ পানির পরিমাণ। এই ভূউপরস্থ পানি কোথা থেকে আসছে তার একটি বিস্তারিত পরিসংখ্যান ইতোমধ্যেই এসেছে। তবে এসবের পাশাপাশি সরকারও নতুন নতুন বরাদ্দ দিয়ে বরেন্দ্রর চাষীদের অব্যাহত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। তারা এখন চাষযোগ্য জমির পরিমাণ বাড়িয়েছে। পাশাপাশি যে সব জমি একেবারে অনাবাদি পড়ে থাকত সেইসব জমিতেও এখন সবুজের সমারোহ দেখা যাচ্ছে। তবে গত মৌসুমে রাজশাহী অঞ্চলে বিশেষ করে চাঁপাই ও রাজশাহীর গোদাগাড়ীসহ কয়েকটি উপজেলায় পানির অভাবে ফসলের উৎপাদন অনেক কমেছে। বিশেষ করে চাঁপাই সদরের কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির অভাবে একেবারে আবাদ হয়নি আমনের। তবে এসব এলাকায় ডিপ থাকলেও ভূগর্ভস্থ পানি এতটাই নিচে ছিল যে সাহস করে কর্তৃপক্ষ ডিপ চালাতে পারেনি। চালালেও পানির পরিমাণ ছিল খুবই কম। যেমন চাঁপাই মহাডাঙ্গা এলাকার কাছাকাছি কিছু মৌজায় কৃষক এক ছটাক ফসলও উৎপাদন করতে পারেনি। যার কারণে এসব জমির মূল্য যেমন কমেছে তেমনি জমি চাষাবাদেও আগ্রহ হারিয়েছেন চাষীরা। তবে এবার নতুন উদ্যোমেও এসব জমি চাষবাদের বিকল্প পন্থা বের করা হয়েছে। আর তা হচ্ছে ভূউপরস্থ পানির ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে আদি বরেন্দ্র এলাকা বলে খ্যাত রানীমাতার নাচোল থেকে। এই উপজেলায় বিএমডিএর গভীর নলকূপ রয়েছে ৫২২টি। এর একটিতেও জমিতে সেচ করার মতো পানি আসছে না। যদিও বহু গভীর নলকূপ বসানো হয়েছিল অধিক খরাপ্রবণ এলাকা নাচোলের কৃষকদের জমি সেচের জন্য। এই উপজেলায় প্রতি বছর মাটির নিচের পানির স্তর অবিশ্বাস্য হারে কমে যাচ্ছে। বর্তমানে কোন কোন স্থানে দেড় শ’ ফুট নিচে চলে গেছে পানির স্তর। পূর্ব থেকেই এলাকাটিতে সেচ সুবিধা পেয়ে থাকত কৃষক পুকুর থেকে। এই উপজেলায় এক কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক পুকুর রয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় অর্ধ সহ¯্রাধিক ছাড়িয়ে যাবে। এদিকে সেচ সুবিধা দিয়ে থাকত পুকুরগুলো। অপরদিকে বিশুদ্ধ না হলেও মানুষ খাবার কাজে এই পানি ব্যবহার করে থাকত। বিশেষ করে উপজাতীয় গ্রামগুলো নাচোলের পুকুরের উপর নির্ভরশীল ছিল। বিএমডিএ প্রথম দিকে অর্থাৎ ৯০ দশকে গভীর নলকূপ বসানোর ফলে কৃষকেরা মাঠ থেকে তিনটি ফসল পেয়ে থাকতেন। কিন্তু পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাওয়ার কারণে এক সময়ে এসে আমনের ধান চাষের পানি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে পুনরায় এক ফসলে রূপান্তরিত হয় পুরো নাচোলের বরেন্দ্র এলাকা। সেই অবস্থার অবসান কল্পে পুনরায় তিন ফসলের জমিতে রূপান্তর করার কাজ শুরু করেছে বিএমডিএ। যার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারের পরিবর্তে ভূউপরস্থ পানির উপর নির্ভরশীল করার জন্য বিএমডিএ নতুন করে কাজ শুরু করেছে। এতে কমে আসছে সেচের ব্যয়। পাশাপাশি কমছে বিদ্যুতের অপচয় ও বাড়তি খরচ। এই জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় বিশাল অংকের টাকা বরাদ্দ দিয়ে ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূউপরস্থ পানির ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে বরেন্দ্র অঞ্চলে কেউ ডিপ বসাতে না পারে তার জন্য কঠোর অবস্থানে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। যার কারণে বিএমডিএ পুরো বরেন্দ্র এলাকায় নতুন করে ডিপ বসাতে পারছে না। বিএমডিএ সূত্র নিশ্চিত করেছে ভূগর্ভস্থ পানির চাপ ও বিদ্যুত নির্ভর সেচের পরিবর্তে সারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র এলাকায় কৃষকে সেচ পাম্পের আওতায় ও সৌর সেচ পাম্পের আওতায় আনার প্রাথমিক কাজ শেষ করেছে। এ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার মহানন্দা নদীর নিমতলা কাঁঠাল নামক ঘাটে পল্টুন স্থাপন করে সেখান থেকে নাচোলের কসবা ইউনিয়নের পূর্বচন্দনা খাল পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইনের মাধ্যমে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খালে পানি জমা করা হয় ড্যাম ও বাঁধ দিয়ে। আর জমাকৃত খালের পানি এই খালের দুই ধারের ১৮ লো-লিফ্ট পাম্প ও সোলারের মাধ্যমে পাঁচ হাজারেরও অধিক হেক্টরের জমি সেচ সুবিধার মধ্যে আনা হয়েছে। আর এই সুবিধা পাচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কৃষি পরিবার। এক কৃষি বিজ্ঞানী জানান, এতে কৃষক দুই ভাবে উপকৃত হচ্ছে একদিকে ভূগর্ভস্থ পানির চাপ থেকে রক্ষা পেয়েছে। দ্বিতীয়ত সোলার পাম্পের মাধ্যমে কম খরচে জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে বহু কৃষক উপকৃত হবে। পূর্ব চন্দনার একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, এক সময় আকাশের পানির উপর নির্ভর করে এলাকায় ফলত একটি ফসল। সেখানে এখন সেই জমিতে ফলছে তিনটি ফসল, যথা বোরো, আমন ও চৈতালী জাতির নানান ধরনের ডাল ফসল। চারদিকে বসে গেছে সবুজের বিপ্লব। এক কথায় সোলার পাম্প বরেন্দ্রর কৃষককে নতুন করে ঠিকানা দিয়েছে। বরেন্দ্রর কৃষিতে নতুন দিন এসেছে। অপর কৃষক জানান বিদ্যুত বিভ্রাটের কারণে তারা তটস্থ ছিল। এখন সৌর বিদ্যুতে নেই কোন বিভ্রাট। চাইলেই কৃষক তার পানি পাচ্ছে ইচ্ছে মতো। একটি পাম্প থেকে পূর্বে যে পরিমাণ জমি সেচ হতো তা এখন বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। সোলার পাম্পের মাধ্যমে কম খরচে সেচের আওতা বেড়েছে। ভবিষ্যতে তারা এই আওতা আরও বাড়োনোর দাবি জানিয়েছে। এক কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান বর্তমানে বরেন্দ্রর অন্য অঞ্চলে ৮০ ভাগ পানি আসছে ভূগর্ভস্থ এলাকা থেকে। বাকি পানি আসছে উপরস্থ পুকুর, খাল বিলের পানি থেকে। ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে ক্ষতির দিকগুলো হচ্ছে আয়রন, আর্সেনিকসহ নানান খনিজ পদার্থে ভর্তি। আর এই পানি দীর্ঘ সময় ব্যবহার হলে জমির উর্বরতা কমে যায়। ফসলের মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। উৎপাদন কমতে থাকে। কিন্তু ভূউপরস্থ পানি সেচের কাজে ব্যবহার করলে অনেক সুবিধার সৃষ্টি করে। জাতীয় পদার্থ ফসলের জমিতে না যাওয়ার কারণে উর্বরতা বাড়ে। মাটির নিচের পানির স্তর ঠিক থাকে। আর ফসলের গুণগত মানও বাড়িয়ে দেয় ভূউপরস্থ পানি। ফসলের গুণগত মান বৃদ্ধিসহ সারের কার্যকারিতা বাড়ে, ফসলের বিষক্ততা কমে আসে। ফসলের গুণগত মানের পাশাপাশি ভূউপরস্থ পানি পরিবেশবান্ধব হয়ে থাকে। এই পানির ব্যবহারে উৎপাদন খরচও কমে আসে। এদিকে নওগাঁ, রাজশাহীসহ জেলার অনেক উপজেলায় ভূউপরস্থ পানির ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে রাজশাহী গোদাগাড়ী অঞ্চলে সোলার পাম্প খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অন্যান্য জেলা মিলিয়ে এখন প্রায় ১৭ উপজেলায় ভূউপরস্থ পানির ব্যবহার ও সোলার বিদ্যুত চালু হওয়ার ফলে কৃষক খুবই সাহসী ও খুশি হয়ে উঠেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পুরো বরেন্দ্র এলাকা ব্যবহার করবে ভূউপরস্থ পানি। এদিকে বিএমডিএর এক কর্মকর্তা জানান, তারা প্রতিদিন ভূউপরস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছেন। সঙ্গে সঙ্গে সোলার পাম্পের ব্যবহারও বাড়ছে। কারণ এতে বিদ্যুত খরচ নেই বললেই চলে। তবে বরেন্দ্রর কৃষকদের দাবি অবিলম্বে মহানন্দা নদীর মতো পদ্মাসহ প্রায় ১৭ নদীর পানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে ও সোলার পাম্প সম্প্রসারণে মন্ত্রণালয়কে অধিক উৎসাহী হওয়াসহ মোটা অংকের বরাদ্দ দিতে হবে। আর অধিক সময় ধরে উত্তরাঞ্চল সেচ প্রকল্প নামে যে প্রকল্পটি বাক্স বন্দী হয়ে রয়েছে তা চালু করতে পারলে বরেন্দ্রর পাঁচ জেলা দারুণ উপকৃত হবে। কারণ কৃষিতে নতুন দিগন্ত আনতে হলে পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলের খাঁ খাঁ চৌচির অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। কিন্তু আশির দশকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে ডিপের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করায় বরেন্দ্রর বহু অনাবাদি জমি আবাদি জমিতে পরিণত হয়। ফসলের উৎপাদন বেড়ে যায়। চারদিক সবুজের দিগন্তে রূপ নেয়। বাড়তে থাকে এক ফসল থেকে তিন ফসল। কিন্তু এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী না হয়ে অভিশাপ রূপে দেখা দেয়। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে পানির স্তর নামতে শুরু করে। এই অশনিসঙ্কেত থেকে মুক্তি পেতে নতুন করে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়। এবার নিশ্চিত করা হয় আর ভূগর্ভস্থ পানি নয়। ভূউপরস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হলে খাল-বিল, পুকুর সংস্কার করে পানি আনতে হবে নদী থেকে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও সোলার পাম্প ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষকের খরচ কমে আসবে। বৃদ্ধি পাবে তিন ফসলের উৎপাদন।
×