বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিএনপি দেশের রাজনীতিতে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েমের বিষয়টি তাদের বেলায় প্রযোজ্য। এ দেশের রাজনীতিতে ভীতি ও অগ্নিসন্ত্রাস সংযোজন করেছে বিএনপি। এটা আমাদের রাজনীতিতে ছিল না। এমনকি উপমহাদেশের রাজনীতিতে ছিল না। মঙ্গলবার ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এর আগে দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে ভয়ের রাজত্ব কারা কায়েম করতে চেয়েছে এটা দেশের মানুষ ভাল করে জানে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিএনপি মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মেরেছে। মধ্যযুগীয় বর্বরতায় হাজার হাজার মানুষকে আগুনে জ্বলসে দিয়েছে। ৫শ’ বেশি মানুষকে তারা আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। নিরীহ মানুষের ওপর, অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর, স্কুল ফেরত বালকের ওপর, এজতেমা ফেরত মুসল্লির ওপর, ঘুমন্ত বাস-ট্রাক ড্রাইভারের ওপর পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করেছে।
তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে চিঠি দেয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বন্দী বিনিময় চুক্তি না থাকায় তারেক রহমানকে দেশে ফেরত পাঠাতে চিঠি দেয়া হয়েছে। এখানে প্রতিহিংসার কোন বিষয় নেই। আইন আদালতের সম্মান রক্ষার্থেই তাকে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে তারেক রহমান যদি মনে করেন তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সম্মুখীন হচ্ছে। তাহলে তো তিনি নিজে থেকে এখানে চলে আসা প্রয়োজন। তার সৎ সাহস থাকলে আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করা উচিত। কিন্তু তার সেই সাহস নেই। তার যে ভয়াবহ দুর্নীতির ইতিহাস সেটি বাংলাদেশ সরকার উদঘাটন করেনি। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই উদঘাটন করেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি উচিত ছিল দ-িত তারেক রহমানকে নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়া। তারা সেটি করেনি। বরং একজন দুর্নীতিবাজ ও হত্যা মামলার দ-প্রাপ্ত আসামিকে সব ধরনের রাজনৈতিক সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করছে। এটা বিএনপি রাজনৈতিক দৈন্যতারই বহির্প্রকাশ। এটা ন্যায়ের শাসন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে, রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করার ক্ষেত্রে অন্তরায়।
বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ প্রবল হয়ে উঠেছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যৌথভাবে ৫ নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অনেক সিনিয়র নেতার নাম নেই। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে অনেক সন্দেহ, অবিশ্বাস বিরাজ করছে। সেটারই বহির্প্রকাশ হচ্ছে মহাসচিবের কর্তৃত্ব খর্ব করা। বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে আরও কয়েক জনকে জুড়ে দেয়া হয়েছে। আমি কাগজে আরও দেখলাম ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে মহাসচিব একা যেতে পারবেন না। একে অপরের প্রতি প্রচ- অবিশ্বাস থেকেই এ সিদ্ধান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আওয়ামী লীগের উপ- প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-কমিটির সদস্য আশরাফ সিদ্দিক বিটু, শাহ মোস্তফা আলমগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।