ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি?

প্রকাশিত: ১১:০৭, ১০ এপ্রিল ২০১৯

ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি?

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ কাল বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। কে জিতে কেন্দ্রে সরকার গঠন করবে তা নিয়ে চলছে নানান হিসাব-নিকাশ। দেশটির টাইমস নাও এবং ভিএমআর-এর যৌথ সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশটির কেন্দ্রে ফের সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। মূলত মোদি হাওয়ায় ভর করেই ফের কেন্দ্রে ফিরতে চলেছে বিজেপি। তবে এনডিএ সরকারে এলেও তাদের অন্যতম শরিক দল বিজেপি কটা আসন পাবে সেকথা উল্লেখ করা হয়নি সমীক্ষায়। ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণের দুদিন আগেই ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় টাইমস নাও-ভিএমআর-এর সমীক্ষা জানিয়ে দিলোÑ এবারের লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে জিততে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এই জোট পেতে পারে ২৭৯ আসন। ভারতের লোকসভায় মোট আসন ৫৪৩। সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগারের সংখ্যা ২৭২। টাইমস নাও-ভিএমআর-এর সমীক্ষা অনুযায়ী- সেই ম্যাজিক ফিগারের থেকেও বেশ কটি আসন বেশিই পেতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। উল্লেখ্য, এর আগে যে কয়টি মন্তব্যভিত্তিক সমীক্ষা হয়েছে তাদের প্রতিটিতেই বিজেপি এবং এনডিএ জোটের দিকে বেশি সমর্থনের কথা বলা হয়েছিল। এদিন টাইমস নাও-ভিএমআর-এর সমীক্ষাও একই তথ্য জানাল। তবে এই সমীক্ষায় স্পষ্ট করে বলা হয়নি, বিজেপি ঠিক কত আসন পেতে পারে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৭৯’র মতো আসন পেলেও বিজেপির আসনসংখ্যা গতবারের তুলনায় ৫০ থেকে ৬০ কমে যেতে পারে বলে মনে করছে দেশটির রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এবং এর নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট গতবারের চেয়ে অনেক ভাল ফল করতে চলছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ আসন। আর ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৬০ আসন। এবারে টাইমস নাও-ভিএমআর-এর সমীক্ষা অনুযায়ী ইউপিএ জোট পেতে চলেছে ১৪৯’র মতো আসন। পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলো সব মিলিয়ে পেতে পারে ১১৫’র মতো আসন। আঞ্চলিক দলগুলো ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পেয়েছিল ১৪৭ আসন। প্রসঙ্গত, টাইমস নাও-ভিএমআর-এর প্রথম সমীক্ষা থেকে এবারের দ্বিতীয় সমীক্ষায় এনডিএ জোট ম্যাজিক ফিগার পেলেও তাদের প্রথম সমীক্ষার নিরিখে কমেছে আসনসংখ্যা। দ্বিতীয় সমীক্ষায় বেড়েছে ইউপিএর আসনসংখ্যা। তবে আসনসংখ্যা কমেছে অন্যদের। টাইমস নাও-ভিএমআর তাদের প্রথম সমীক্ষায় এনডিএ জোটকে দিয়েছিল ২৮৩, এবং ইউপিএ-কে ১৩৫ এবং অন্যদের ১২৫ আসন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৬ আসন। যার মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছিল ২৮৩ আসন। ইউপিএ পেয়েছি ৬০ আসন, যার মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৪৪ আসন। অন্যদের দখলে গিয়েছিল ১৪৭ আসন। এদিকে, টাইমস নাও-ভিএমআর-এর দ্বিতীয় সমীক্ষা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আসনসংখ্যা কমতে চলেছে রাজ্যটির শাসকদল তৃণমূলের। পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪২ লোকসভা আসনের মধ্যে গতবার তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৪ আসন। টাইমস নাও-ভিএমআর-এর দ্বিতীয় সমীক্ষা বলছে, এবারে তৃণমূল পেতে চলেছে ৩১ আসন। প্রথম সমীক্ষায় সংস্থাটি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ১১ আসন পেতে পারে বলে জানালেও দ্বিতীয় সমীক্ষায় তারা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পেতে চলেছে ৯ আসন। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র দুটি আসন। এবারে সেই আসনসংখ্যা বিজেপির প্রায় সাড়ে চারগুণ বাড়তে চলেছে বলে সমীক্ষায় প্রকাশ। টাইমস নাও-ভিএমআর-এর দ্বিতীয় সমীক্ষা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস পেতে পারে দুটি আসন। প্রথম সমীক্ষায় অবশ্য বলা হয়েছিল কংগ্রেস একটিও আসন পাবে না। তবে এই সমীক্ষায় উল্লেখযোগ্যভাবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুছে যেতে চলেছে বামফ্রন্ট। প্রথম সমীক্ষা এবং দ্বিতীয় সমীক্ষাতেও পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের জন্য কোন আসন দেয়নি সংস্থাটি। টাইমস নাও-ভিএমআর-এর সমীক্ষায় প্রকাশ, ভোট শতাংশের হারে পশ্চিমবঙ্গে বিরাট উত্থান ঘটতে চলেছে বিজেপির। টাইমস নাও-ভিএমআর-এর দ্বিতীয় সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি এই রাজ্যে ৩১.৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে। শাসকদল তৃণমূল পেতে পারে ৩৭.৫ শতাংশ ভোট। এছাড়া, বামফ্রন্ট পেতে পারে ১৫.৯৬ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেতে পারে ১০.৪ শতাংশ এবং অন্যরা পেতে পারে ৪.৮৪ শতাংশ ভোট। ভোটে নজরদারি করতে ‘ওয়ার রুম’ খুলল ফেসবুক ॥ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়িয়ে যাতে জনমতে প্রভাব ফেলা না যায়, তার জন্য পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভারতের নির্বাচনের ওপর নজর রাখছে ফেসবুক। যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর এবং আয়ারল্যান্ডের তিনটি অফিস থেকে ২৪ ঘণ্টা এই নজর রাখার কাজ করছে মোট ৪০টি দল, কাজ করছেন প্রায় ৩০,০০০ কর্মী। শুধু ভারতের নির্বাচন নিয়েই পৃথিবীর তিনটি শহরে খোলা হয়েছে তিনটি নজরদারি কেন্দ্র। মূল কেন্দ্রটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। অন্য দুটি কেন্দ্র হলো সিঙ্গাপুর এবং আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন। প্রথম ভোটারদের প্রতি মোদি ॥ প্রথম ভোটারদের বিজেপিকে বেছে নেয়ার আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন তারা যদি প্রথম ভোট বিজেপিকে দেন তাহলে শক্তিশালী দেশ গড়ে উঠবে। তিনি জানান, আপনাদের প্রথম ভোট সবাইকে বাড়ি পেতে সাহায্য করবে। মহারাষ্ট্রের লাতুরের জনসভা থেকে তিনি বলেন, প্রথম ভোটাররা শুধু দেশ নির্মাণের কথা ভেবে ভোট দিন। মাস দুয়েক আগে জঙ্গী হানার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হানে দেশটির বিমানবাহিনী। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের প্রথম ভোট কি ওই বীর জওয়ানদের কথা ভেবে দেয়া যেতে পারে? এবার সব মিলিয়ে গোটা দেশে প্রায় সাড়ে আট কোটি মানুষ প্রথমবার ভোট দেবেন। তার মধ্যে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়স এমন ভোটারের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। মোদি ফ্যাসিবাদের সম্রাট- মমতা ॥ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, মোদি ফ্যাসবাদের স¤্রাট। হিটলার বেঁচে থাকলেও লজ্জা পেত। চোখ দুটো দেখলে মনে হয় গিলে খাবে। রায়গঞ্জে বাম, কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করলেন মমতা । কংগ্রেসের প্রশ্রয়েই বিজেপির বাড়বাড়ন্ত বলে দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী। রায়গঞ্জে সিপিআইএম কোন কাজ করেনি বলেও অভিযোগ তুললেন তিনি।
×