ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রথম দিনেই লোকসানে এস্কোয়ার নিটের আইপিও বিজয়ীরা

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ১০ এপ্রিল ২০১৯

প্রথম দিনেই লোকসানে এস্কোয়ার নিটের আইপিও বিজয়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ লেনদেনের প্রথম দিনেই ৪৫ টাকা দরের এস্কোয়ার কম্পোজিটের শেয়ারের দর উঠল ৪৫.৯০ টাকায়। এর আগে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবারে শেয়ার ৪৭.৩০ টাকা লেনদেন শুরু হয়। দিনশেষে শেয়ারটির সমন্বয় মূল্য দাঁড়ায় ৪৫.৯০ টাকা। অর্থাৎ আইপিও প্রক্রিয়া শেষে প্রায় দুই মাস অপেক্ষার পর ব্রোকারেজ হাউসের কমিশন বাদে কোম্পানিটির আইপিও বিজয়ীদের লোকসান গুনতে হয়েছে। কারণ প্রতিটি কোম্পানির আইপিও আবেদনে বিনিয়োগকারীদের ডিপি চার্জ ১০ টাকা এবং নতুন শেয়ারের বিক্রয়বাবদ ১ টাকা করে কমিশন নেয়া হয়। সেই হিসেবে কোম্পানিটির আইপিও বিজয়ীরা লোকসানে রয়েছে। জানা গেছে, মঙ্গলবারে নতুন লেনদেনের দিনে কোম্পানিটির ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার ৮৫৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সারাদিনে কোম্পানিটির মোট ৩২ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত ৭ মার্চ শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে আইপিওতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার জমা হয়েছে। কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়ার জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। এরও আগে গত ২৭ নবেম্বর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩৩টি সাধারণ শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইস্যু করার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ৪৫ টাকা কাট অব প্রাইসে কোম্পানিটির শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। কোম্পানির ১ কোটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ৫০১টি সাধারণ শেয়ার ৪০ টাকা মূল্যে (প্রান্তসীমা মূল্য থেকে ১০ শতাংশ বাট্টায়) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করা হয়। এছাড়া যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৪৫ টাকা করে মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩২টি শেয়ার ইস্যু করা হয়। যাতে মোট ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩৩টি শেয়ার ইস্যু করা হয়। গত ৯ জুলাই সোমবার থেকে এই নিলাম শুরু হয়ে চলে ১২ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নিলামে কোম্পানিটির কাট অব প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ৪৫ টাকায়। এস্কোয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেড আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ভবন নির্মাণ, ডাইং ও ওয়াশিং প্লান্টের জন্য যন্ত্রপাতি কিনবে।
×