ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যান্সার, ডায়াবেটিস পারকিনসন্স সারবে

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ১০ এপ্রিল ২০১৯

ক্যান্সার, ডায়াবেটিস পারকিনসন্স সারবে

মানবদেহে জিন পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও পারকিনসন্সের মতো রোগ সারানো যাবে। চীনের একদল বিজ্ঞানী মানবদেহের জিন পরিবর্তন করতে সক্ষম-এমন একটি কৌশল আবিষ্কার করেছেন। এই কৌশল প্রয়োগ করে দূর থেকে রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করে রশ্মির সাহায্যে এই চিকিৎসা করা যাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে চীনা বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কারকে বৈপ্লবিক হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। চীনের নানজিং শহরের প্রখ্যাত কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড এ্যাপ্লাইড সায়েন্সের অধ্যাপক সং ইউজুন এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন। বিশ্বের বিজ্ঞান বিষয়ক প্রখ্যাত সাময়িকী সায়েন্স এ্যাডভান্সে গত বুধবার এই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। ইনফ্রারেড প্রযুক্তির সাহায্যে জিন পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসায় এই কৌশল ব্যবহার করা হবে। এই কৌশলের নাম দেয়া হয়েছে সিআরআইএসপিআর সংক্ষেপে ক্যাস-৯। অধ্যাপক সং ইউজুন বলেন, আমাদের আবিষ্কৃত এই নয়া কৌশলের মাধ্যমে ইনফ্রারেড আলোক রশ্মি ব্যবহার করে প্রথমে রোগীর দেহের জিনের গঠন বদলে দেয়া হবে। মানবদেহের কোষকলায় প্রথমে এই ইনফ্রারেড আলোক রশ্মি ব্যবহারের সম্ভাব্যতা দেখা হবে। পরপর মানবদেহে এটির কার্যকারিতার প্রয়োগ ঘটানো হবে। তিনি বলেন, ক্যাস-৯ নামের এই কৌশলের সাহায্যে প্রথমে মানবদেহে জেনেটিক উপকরণ নিদিষ্টভাবে যোগ, অপসারণ ও পরিবর্তন করা যায় কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। এরপর প্রয়োগ করা হবে। তবে সব রোগীর শরীরে এই কৌশলের ব্যবহার নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কারণ এতে সব সময় লক্ষ্যপূরণ হবে এমন নয়। অনেক সময় মানুষের শরীরের সকল কোষে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে। আবার লক্ষ্যপূরণ না হলে রোগীর ক্ষেত্রে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় মানবদেহের নির্দিষ্ট ক্যান্সার কোষটি অপসারণ করতে গিয়ে সুস্থ কোষটিও কেটে যেতে পারে। গতবছর বিশ্বে প্রথমবারের মতো ক্যান্সার আক্রান্ত একটি যমজ শিশুকে জিন পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়। সং ইউজুন এবং জিয়ানকুই নামের দুই বিজ্ঞানী এই কৌশল প্রয়োগ করেন। এরপর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েন তারা। কারণ সব সময় এই কৌশল সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। আবার এই কৌশল একেবারে নির্ভুলভাবে কাজ করবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই। গবেষক দলটি ক্যান্সার আক্রান্ত একটি ইঁদুরের শরীর থেকে টিউমার অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে। মাত্র কুড়ি দিনের চেষ্টায় ইঁদুরের শরীরের ওই টিউমার দূর করা হয়। ইঁদুরের আকৃতি ছোট হওয়ায় এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে মানব দেহে এই কৌশল পুরোপুরি কাজ করবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। গ্লোবাল টাইমস অবলম্বনে।
×