ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইপিএলে মাথা কাজ করছে না কোহলিদের!

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ৯ এপ্রিল ২০১৯

আইপিএলে মাথা কাজ করছে না কোহলিদের!

শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) টানা ছয় হারে কার্যত প্লে অফে যাওয়া প্রায় অসম্ভব রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। অঙ্কের হিসেবে যদিও স্বপ্ন শেষ হয়নি। আরও আট ম্যাচ হাতে। কিন্তু আইপিএলের মতো আসরে টানা ছয় হারের পর টানা আট ম্যাচ জেতা কঠিন। ঘরের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পরশু ১৪৯ রানের পুঁজি নিয়ে ৭ বল আগে দিল্লী ক্যাপিটালসের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে বিরাট কোহলির দল। তার আগের ম্যাচে ২০৫ রান করেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে ধরাশায়ী হয় তারা। টুর্নামেন্টের এ পর্যায়ে ভারত জাতীয় অধিনায়ক স্বীকার করেছেন, সময় মতো তাদের মাথা আসলে কাজ করছে না! সেটি তিনি স্বীকার করে নিয়েই সতীর্থদের খেলাটাকে উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দিল্লীর ইনিংসের প্রথম ওভারেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার সুযোগ ছিল। ইনিংসের তৃতীয় বলেই পয়েন্ট ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শিখর ধাওয়ন (০)। ওই ওভারেই শেষ বলে শ্রেয়াস আইয়ারের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন পার্থিক প্যাটেল। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ৫০ বলে ৬৭ রান করে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে নেন দিল্লী ক্যাপিটালস অধিনায়ক। শেষ হয়ে যায় বিরাটদের জয়ের আশাও। কিভাবে পড়ল এত সহজ ক্যাচ?, ‘যখন মাথা কাজ করে না, তখন সব সুযোগই মনে হয় কঠিন। আমাদের সঙ্গেও সেটাই হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেষের দিকে ওরা চাপে পড়ে গিয়েছিল। আর ২৫-৩০ রান বেশি করলেই আমাদের জেতার সুযোগ থাকত। দলের কাছে একটাই অনুরোধ, এবার ম্যাচ উপভোগ করা শুরু করি। তা হলে ফলেও তার প্রভাব পড়বে।’ এ দিন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচ বেশ মন্থর ছিল। সাধারণত যা দেখা যায় না। কোহলি নিজেও যা নিয়ে সন্তুষ্ট নন, ‘এ ধরনের পিচে সব শট নেয়া যায় না। এবি ডি ভিলিয়ার্স আউট হওয়ার পর আমি ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। বাকিরা বড় শট নিতে পারত।’ আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করেছিল বেঙ্গালুরু। ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন কোহলি। দিল্লীর ত্রাতা সেই কাগিসো রাবাদা। চার ওভারে ২১ রান দিয়ে ফিরিয়ে দেন বিপক্ষের চার ব্যাটসম্যানকে। যার মধ্যে এবি ডিভিলিয়ার্স ও বিরাটের উইকেটও রয়েছে। ম্যাচের সেরাও বেছে নেয়া হয় তাকেই। কোহলি যদিও এই হারের অন্যতম কারণ হিসেবে তার দলের ফিল্ডিং ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছেন, ‘যে সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম তা কাজে লাগাতে পারলে ১৫০ রান তোলাও বিপক্ষের কাছে কঠিন হতো। শুরুতেই শ্রেয়াসের ক্যাচ পড়ে। দিনের শেষে শ্রেয়াসই আমাদের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের কাছে এটা নতুন কিছু নয়। মৌসুমের প্রত্যেক ম্যাচেই এ ধরনের সুযোগ নষ্ট করেছি। আর কোন অজুহাত সাজে না।’
×