ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১২ লেখক

প্রকাশিত: ১১:১৯, ৯ এপ্রিল ২০১৯

সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১২ লেখক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিবছর বইমেলায় প্রকাশিত হয় হাজার হাজার বই। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার বই। তবে এই বিপুলসংখ্যক বইয়ের মাঝে মানসম্পন্ন বইয়ের সংখ্যা থাকে খুবই সামান্য। সোমবার এমন মানসম্পন্ন কিছু বইয়ের লেখককে প্রদান করা হলো সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার। চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় ২০১৯ সালের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে বিভিন্ন শাখায় বারোজন সাহিত্যিককে প্রদান করা হয় এ পুরস্কার। এ বছরের সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যে অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘কয়লা তলা ও অন্যান্য’ গ্রন্থের জন্য সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং প্রথমা থেকে প্রকাশিত ‘মামলার সাক্ষী ময়না পাখি’ গ্রন্থের জন্য শাহাদুজ্জামান। কবিতায় অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘পানতুম’ গ্রন্থের জন্য মারুফুল ইসলাম এবং অনন্যা থেকে প্রকাশিত ‘১৯ নম্বর কবিতা মোকাম’ গ্রন্থের জন্য আফজাল হোসেন। প্রবন্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ শাখায় কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘সময় বহিয়া যায়’ গ্রন্থের জন্য ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও প্রিয়মুখ থেকে প্রকাশিত ‘১৯৭১ প্রতিরোধ সংগ্রাম বিজয়’ গ্রন্থের জন্য মেজর জেনারেল মোঃ সরোওয়ার হোসেন। ভ্রমণ ও আত্মজীবনী শাখায় সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘সুদূরের অদূর দুয়ার’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ফারুক মঈনউদ্দীন। শিশুসাহিত্য শাখায় কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘ভূত কল্যাণ সমিতি’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন মুস্তাফিজ শফি ও শিশুপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘রঙের গাছ’ গ্রন্থের জন্য মোকারম হোসেন। প্রথম বই শাখায় জার্নিম্যান বুকস থেকে প্রকাশিত ‘ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনার গল্প’ গ্রন্থের জন্য মাজহারুল ইসলাম, অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘নিঃসঙ্গতার পাখিরা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য হক ফারুক আহমেদ এবং জার্নিম্যান থেকে প্রকাশিত ‘অন ডেইজ লাইক দিস’ গ্রন্থের জন্য শায়রা আফরিদা ঐশী। প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। দেশের বাইরে অবস্থান করায় সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফির পক্ষে কথাপ্রকাশের প্রকাশক জসিম উদ্দিন, শাহাদুজ্জামানের পক্ষে তার খালা শরীফা বকুল এবং শায়রা আফরিদা ঐশীর পক্ষে তার বাবা কামরুল হাসান শায়ক ও মা মৌসুমী আক্তার আলো পুরস্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা পুরস্কার প্রদান কমিটির প্রধান ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। আরও বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আনন্দ আলোর সম্পাদকম-লীর সভাপতি ফরিদুর রেজা সাগর, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মাসরুর আরেফিন এবং আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান। আনিসুজ্জামান বলেন, এবারের সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন একাধিক প্রজন্মের লেখকরা। ভবিষ্যতে এ পুরস্কার ব্যাপকতা লাভ করবে আশা করে তিনি বলেন, যারা নতুন লেখক তারা এ পুরস্কার পেয়ে উৎসাহ পাবেন এবং পুরনো লেখকরা সম্মানিত হলেন। তিনি এ সময় পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রায় পাঁচ হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্য থেকে বাছাই করে পুরস্কার দেয়া অনেক কঠিন কাজ। ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ করে তুলতে ১৪ বছর ধরে এ পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। মাসরুর আরেফিন বলেন, এ বছরই প্রথম সিটি ব্যাংক এ পুরস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। আগামী বছর এ পুরস্কার আরও বর্ধিত আকারে এবং এর অর্থমূল্য আরও বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দেন। পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করে সিরাজুল ইসাম চৌধুরী বলেন, সব সময় বইয়ের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিযোগী ছিল। সময়ের সঙ্গে এখন তা আরও বেড়েছে। যার বৈচিত্র্য ও আর্কষণও বেশি। কিন্তু তারপরও বই টিকে আছে। এর আবেদন কখনই শেষ হবে না। আজকে একজন লেখককে শুধু নয় একটি বইকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পরে অন্য পুরস্কারপ্রাপ্তরাও অনুভূতি প্রকাশ করেন। দিলরুবা সাথীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে চ্যানেল আই ।
×