ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন চিহ্নিত করার নির্দেশ

প্রকাশিত: ১১:১৭, ৯ এপ্রিল ২০১৯

অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন চিহ্নিত করার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরগুনার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের ছাদ ভেঙ্গে এক শিশুর করুণু মৃত্যু ও অনেকে আহত হওয়ার পর এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সারাদেশে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলো চিহ্নিত করে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে জানাতে সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণে শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রয়োজনে উপজেলা প্রকৌশলী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতা নিতে পারবেন বলেও আদেশে বলা হয়। গত শনিবার দুপুরে বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাস চলার সময় ছাদের পলেস্তারা ও বিম ভেঙ্গে পড়ে। এতে ৬ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে মানসুরা নামে এক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এই ঘটনা তদন্তে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। স্থানীয় পর্যায়েও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তালতলীর ওই বিদ্যালয় ভবনটি ১৭ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে এবতেদায়ি শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার : শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির আশ্বাস পেয়ে অবস্থান কর্মসূচী প্রত্যাহার করেছেন স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা। সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর বাংলাদেশ স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী ফয়েজুর রহমান এবং মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান জানান, শিক্ষামন্ত্রী এবতেদায়ি শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর আওতায় নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। গত ১ এপ্রিল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে আসছিলেন শিক্ষকরা। আট দিনের মাথায় কর্মসূচী প্রত্যাহার করলেন তারা। সচিবালয় থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম বলেন, মন্ত্রীর আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন বাজেটের পর বেতন কাঠামোর আওতায় নেয়া হবে। বাজেটের পর যদি আমাদের বেতন কাঠামোর আওতায় নেয়া না হয় তাহলে বাজেটের পর পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করব। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে মোট ১৮ হাজার ১৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা নিবন্ধন দেয় সরকার। এর মধ্যে ১৯৯৪ সালে এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাকে ৫০০ টাকা করে অনুদান দেয়া শুরু হয়। একই সময় সমান সংখ্যক অনুদান পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী করা হয়েছে। তবে এখনও সামান্য অনুদানেই চলছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুল আলম বলেন, ২০১৭ সালের জরিপে মাদ্রাসার সংখ্যা ১২ হাজারের মতো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেক কমে গেছে। এসব মাদ্রাসার মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোডধারী একাডেমিক স্বীকৃত পাওয়া মাদ্রসার সংখ্যা ৬ হাজার ৯৯৮টি। ব্যানবেইসের হিসাবে, ইআইআইএন নম্বরধারী প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার ৩৩৪টি।
×