ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারের ‘নিষ্ঠুর তামাশা’ ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ১১:১২, ৯ এপ্রিল ২০১৯

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারের ‘নিষ্ঠুর তামাশা’ ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসা নিয়ে সরকার ‘নিষ্ঠুর তামাশা’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। হাসপাতালে তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নেই। ডাক্তারদের দিয়ে গঠিত বোর্ড স্বীকার করেছে দেশনেত্রীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসছে না। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ক্ষতিকর কিছু হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে উল্লেখ করেন। সোমবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশনেত্রীর চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বক্তব্য এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ সাহেবের বক্তব্য বিপরীত ধর্মী। এতে বোঝা যায়, তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিসা নিয়ে নিষ্ঠুর তামাশা করছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও জামিনে বাধা দিতে সরকার নীলনক্সা করছে। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন দেশনেত্রীকে হয় দুনিয়া থেকে না হয় রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে। দেশনেত্রীকে সাজানো মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে এক বছরের বেশি সময় বন্দী করে রাখা হয়েছে। জামিন পাওয়া তার নাগরিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। যে মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীকে জোর করে সাজা দেয়া হয়েছে, সেই মামলায় অন্য ব্যক্তিরা সবাই জামিনে রয়েছেন। আদালতের ওপর প্রভাব খাটিয়ে শুধু দেশনেত্রীকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, উচ্চতর আদালতে যখন দেশনেত্রীর জামিনের বিষয়টি যাচ্ছে তখনই এ্যাটর্নি জেনারেল গিয়ে বাধা দিচ্ছেন। মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল যে বক্তব্য দিয়েছেন, যদি তাই হয় তবে তিনি বারবার মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন পেতে বাধা দিচ্ছেন কেন?। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তি পেতে সরকারের নির্দেশই সবচাইতে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। মিথ্যা ও সাজানো মামলায় দেশনেত্রীকে কারাগারে বন্দী করে রাখতে এই এ্যাটর্নি জেনারেল সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিএনপির কারও বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলাও দেয়া হয়নি বলে গত ৫ এপ্রিল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তার এই পর্বতপ্রমাণ মিথ্যা বক্তব্যে দেশের মানুষ পাথর হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলতে বলতে সত্য বলা ভুলে গেছেন। মুখস্থ করা কবিতার মতো অবলীলায় তিনি গড় গড় করে মিথ্যা বলতে পারেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সারাদেশে ১ লাখের বেশি মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৫ লাখের বেশি। এর মধ্যে ২৫ হাজার গায়েবি মামলা। মৃত ব্যক্তি, পঙ্গু, প্রবাসী, অন্ধ এমনকি হজ পালনে মক্কায় অবস্থান করা ব্যক্তিদেরও ‘গায়েবি’ মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। কারাবন্দী মহানগর ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রচ- অসুস্থ অবস্থায় সে কাতরাচ্ছে।
×