বিশেষ প্রতিনিধি ॥ খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি নয়, তার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তার প্যারোলে মুক্তির জন্য যদি আবেদন করা হয় তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটি আয়োজিত ভবনের কর্মদক্ষতা ভিত্তিক অগ্নি সুরক্ষা ঃ বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের কাউন্সিল হলে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলো কারাগারে খালেদা জিয়ার কোন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে না, সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। যেহেতু খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাই তিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে চিকিৎসার নির্দেশ দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে এনে তার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আসলে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি চায় না বা সুস্থতা নয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য। খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কথা উঠেছে। যদিও খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে কোন আবেদন করা হয়নি। আবেদন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে, যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও বলেছেন।
হানিফ বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়া যে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বিশ্বের কোথাও কেউ এত সুবিধা পায় না। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির চিকিৎসা হয় জেল কোর্ড অনুযায়ী। কিন্তু খালেদা জিয়াকে আইন বহির্ভূতভাবে সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। একজন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জেলে থাকতে হচ্ছে, সেটারও অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরপরও বিএনপি রাজনীতি করছে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আইনী প্রক্রিয়াতেই মুক্ত করতে হবে। এর বাইরে অন্য কোন উপায় নেই। আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। আইনী প্রক্রিয়ার বাইরে অন্য কোন পথ খুঁজেও লাভ হবে না। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে অর্থনৈতিক উন্নতির কারণে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ হচ্ছে। তবে বিল্ডিং কোর্ড না মানায় ভবনে ঝুঁকি বাড়ছে। সম্প্রতি এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকা-ে এটা সুস্পষ্ট হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর সরকার থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আসলে একটা দুর্ঘটনা ঘটে সরকার থেকে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়। কিছু পর মানুষ ভুলে যায়, আর কিছু হয় না। তবে আমি মনে করি এবার যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। ভবন নির্মাণের সময়ই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তার পরও অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা এবং প্রাণহানি যাতে না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: