ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ববি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ৯ এপ্রিল ২০১৯

ববি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের ১৪তম দিনে মহাসড়ক অবরোধ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস এলাকার বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এতে করে মহাসড়কের দুইপাশে শত শত যানবাহন আটকাপড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে উপাচার্যের পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি লিখিত আকারে পাওয়ার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে অবরোধ কর্মসূচী তুলে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে দেড়ঘণ্টা পর বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টায় ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচতলার প্রধান ফটক আটকে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বপটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় প্রতিবাদ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেয়। এর প্রতিবাদে ২৬ মার্চ বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচী পালন করে আসছেন। চবিতে ছাত্রলীগের ধর্মঘট প্রত্যাহার চবি সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যহার করা হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনকারী ছাত্রলীগের নেতা চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা লাগাতার অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও বন্ধ ছিল শাটল ট্রেন । ক্যাম্পাস থেকে শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি কোন শিক্ষক বাসও। শিক্ষার্থীশূন্য ছিল ক্যাম্পাস। শাটল বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝামেলার কারণে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ বিভাগে শিক্ষার্থী নেই। কয়েকটি বিভাগে অল্প কয়েক শিক্ষার্থী উপস্থিত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। যেসব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে তার মধ্য মার্কেটিং, লোকপ্রশাসন, মেরিন সায়েন্স, নৃবিজ্ঞান,পদার্থবিদ্যা, ইতিহাস, ক্রিমিনোলজি অন্যতম। শাটল ট্রেন না আসায় এবং শিক্ষক বাস না যাওয়ায় বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এবং কিছু দোকানপাটও খোলা রয়েছে। প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে চারদফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ছাত্রলীগের একাংশ। চারদফা দাবি হচ্ছে-সম্প্রতি অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা ৬ ছাত্রলীগকর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার, ২০১৫ সাল থেকে সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, হাটহাজারী থানার ওসির প্রত্যাহার ও প্রক্টরের পদত্যাগ। এর প্রেক্ষিতে রবিবার ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরোধ করলে এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
×