ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে হাম্বানটোটা বন্দর

প্রকাশিত: ০৯:২০, ৯ এপ্রিল ২০১৯

শ্রীলঙ্কার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে হাম্বানটোটা বন্দর

কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হাম্বানটোটা চীনের হাতে নয়, শ্রীলঙ্কার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেন, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর হাম্বানটোটার নিরাপত্তা ও কার্যক্রম পুরোপুরি শ্রীলঙ্কা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আশঙ্কা রয়েছে যে, এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে চীনের বিনিয়োগ ভারতের মতো দেশের উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কলম্বোয় দুদিনব্যাপী তৃতীয় এশিয়া ইউরোপ রাজনৈতিক ফোরামে (এইপিএফ) ভাষণদানকালে শনিবার বিক্রমাসিংহে বলেন, বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছে শ্রীলঙ্কা। বর্তমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক ধারা সম্পর্কেও দেশটি সচেতন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই ভারত আমাদের অংশীদার। জাপানের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং চীনকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে শ্রীলঙ্কাও রয়েছে। আমরা এই সম্পর্ক বজায় রাখব। আমরা কারও প্রতিযোগিতার অংশ হতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে মনে করেন গুরুত্বপূর্ণ হাম্বানটোটা চীনের সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমি সেটা মানি যে, সেখানে একটা সামরিক ক্যাম্প হবে। তবে সেটা হবে লঙ্কা নেভি ক্যাম্প। সেটা করা হলে, এটির নিয়ন্ত্রণ থাকবে শ্রীলঙ্কার রিয়ার এ্যাডমিরালের হাতে। সেখানে যে কোন দেশের যে কোন জাহাজ ভিড়তে পারে। কিন্তু সেটার কার্যক্রম তদারকি থাকবে আমাদের হাতে।’ বিক্রমাসিংহে আরও বলেন, যদি ভারত মহাসাগরের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয় তবে শ্রীলঙ্কা বন্দরটির আরও উন্নয়ন করতে পারে। আর আগামী ২০ বছরে শ্রীলঙ্কা এশীয় মার্কেটের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হবে। তৃতীয় এশিয়া ইউরোপ রাজনৈতিক ফোরামের বৈঠক শুরু হয় গত শনিবার। দুদিনব্যাপী এই বৈঠক শেষ হয় রবিবার। যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে শ্রীলঙ্কার প্রাথমিক শিল্প ও সামাজিক ক্ষমতায়ন মন্ত্রণলায় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেন ডায়া গোমেজ। বৈঠকে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ২৫ প্রতিনিধি এবং ২৩ বিশেষজ্ঞ অংশ নেন। এতে কমিউনিস্ট পার্টি ও ভিয়েতনামের (সিপিভি) একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এইপিএফ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালে। আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার ও মতবিনিময়ের একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই সংস্থাটি।-টাইমস অব ইন্ডিয়া ও কলম্বো পেজ।
×