ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কক্সবাজারে মূলহোতা আটক

প্রকাশিত: ১০:২৮, ৮ এপ্রিল ২০১৯

কক্সবাজারে মূলহোতা আটক

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ চকরিয়ায় চেয়ারম্যানের পুরাতন বাড়িতে কৌশলে আটকিয়ে রেখে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে প্রধান অভিযুক্ত শাকিবকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে থানা পুলিশ লক্ষ্যারচরের ছিকলঘাট এলাকার বাড়ি থেকে তাকে আটক করেছে। আটক শাকিব ওই এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপের ছেলে। সূত্র জানায়, চকরিয়া থানার ওসি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ডেকে পাঠিয়ে আক্রান্ত ওই শিক্ষার্থী ও তার মাকে থানায় আনেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে এজাহার দায়ের করেন আক্রান্ত শিক্ষার্থীর মা। ওই ছাত্রী লক্ষ্যারচরের আমজাদিয়া রফিকুল উলুম মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। তার বাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামে। বাবা বেঁচে নেই। মা থাকলেও তিনি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। অপরদিকে চকরিয়া লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের স্বজন হওয়ায় ধর্ষণের ১৪ দিন পার হয়ে গেলেও বিচার করেনি ইউপি চেয়ারম্যান। রহস্যজনক কারণে ছাত্রীর মামলাও রেকর্ড করেনি পুলিশ। স্থানীয় লোকজন জানায়, গত ২৪ মার্চ ওই শিক্ষার্থী আমজাদিয়া এতিম প্রকল্পের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময় ৪-৫ যুবক অতর্কিত ‘ছুঁ’ মেরে শিক্ষার্থীর হাত থেকে মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। এ সময় সহজ-সরল ওই শিক্ষার্থী মোবাইলটি উদ্ধারে হামলাকারী যুবকদের পিছু নেয়। একপর্যায়ে মোবাইলটি নিয়ে যুবকরা দৌড়ে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজি নুরুল কবির চৌধুরীর পুরাতন বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওই শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত হলে লম্পট যুবকরা কৌশলে তাকে আটকিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। কেশবপুরে গণপিটুনি নিজস্ব সংবাদদাতা কেশবপুর থেকে জানান, রবিরার সকালে কেশবপুরের আলতাপোল গ্রামে সাড়ে ৫ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে আসা নরপশু ধর্ষক নজরুল ইসলাম (৩৫) মেয়েটিকে বাড়ির পাশে মাঠে বেড়াতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পুলিশ ধর্ষক নজরুলকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। পারিবারিক ও কেশবপুর থানার ওসি মোঃ শাহীন জানান, উপজেলার ভেরচি গ্রামের ইনছার গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম বন্ধুত্বের সম্পের্কে শনিবার রাতে আলতাপোল গ্রামে তার বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে আসে। রবিবার সকালে সে মেয়েটিকে বাড়ির পাশে বেড়াতে নিয়ে একটি টংঘরে ধর্ষণ করে। এরপর কোলে করে তাকে বাড়ি নিয়ে এলে মেয়ের মা প্রথমে টের পান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কেশবপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ সময় এলাকাবাসী ধর্ষক নজরুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
×