ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পুণ্যস্নানে নেমে নিখোঁজ কিশোরের লাশ ৯৬ ঘণ্টা পর ভেসে উঠল

প্রকাশিত: ১০:২৫, ৮ এপ্রিল ২০১৯

 পুণ্যস্নানে নেমে নিখোঁজ কিশোরের লাশ ৯৬  ঘণ্টা পর ভেসে উঠল

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বিন্যাবতী দিঘিতে ডুবে যাওয়া কিশোর সুমন চন্দ্র রায়ের (১৫) মরদেহ ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় ৯৬ ঘণ্টা পর ভেসে উঠল। রবিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে দিঘির পশ্চিমপাড়ে মরদেহটি ভেসে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সুমনের মৃতদেহটি দিঘি থেকে উদ্ধারের পর আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহিনুর আলম, সদর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম, দমকল বাহিনীর স্টেশন ইনচার্জ এনামুল হক, খোকশাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান, গোড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম, সুমনের পরিবারের সদস্যরা। সুমনের মরদেহ উদ্ধারের সময় এলাকায় হাজারো মানুষের ভিড় ছিল। সুমন নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের মুশরত গোড়গ্রাম এলাকার সুকুমার চন্দ্র রায়ের ছেলে। সুমন তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছিল। প্রতি বছরের ন্যায় গত বুধবার ভোর হতে জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের অবস্থিত বিন্যাবতীর বিরাট দিঘিতে (নীলসাগর) সনাতন হিন্দু ধর্মের তিন দিনব্যাপী পুণ্যস্নানোৎসব শুরু হয়েছিল। প্রথম দিন ভোর হতে দিঘি স্থানে হাজার হাজার সনাতন ধর্মের মানুষ সমবেত হতে থাকে। সকাল ৭টায় বারুনী স্নানে অংশ নিয়ে সুমন তার তিন বন্ধুকে নিয়ে দিঘিতে স্নান করতে নেমেছিল। তারা বিন্যাবতী দিঘির পশ্চিম পার্শ্বের দিঘির সিড়িতে জামা-কাপড় রেখে পানিতে নেমে সাঁতার কেটে পূর্ব প্রান্তের দিকে যাওয়ার পথে দিঘির মাঝখানে ৩২ ফুট গভীর পানিতে তলিয়ে যায় সুমন। একই গ্রামের সমবয়সী সুমনের তিন বন্ধু বিপুল চন্দ্র রায়, অনুকুল চন্দ্র রায় ও উত্তম কুমার রায়ের চিৎকারে উপস্থিত মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে সুমনকে রক্ষা ও উদ্ধার করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস রংপুর ইউনিটের দুজন ডুবুরি দুদিন উদ্ধার অভিযান চালালেও সুমনকে দিঘির তলদেশ হতে উদ্ধার করতে পারেনি। অপর দিকে স্থানীয় লোকজন জাল ও বড় বড় বড়শি ফেলে সুমনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়।
×