ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সার্ক পুলিশ প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

৯ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করবে পাবনায় ৬১৪ চরমপন্থী

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ৮ এপ্রিল ২০১৯

 ৯ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করবে পাবনায় ৬১৪ চরমপন্থী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামীকাল ৯ এপ্রিল পাবনায় ৬শ’ ১৪ জন চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করবে। তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকার সহায়তা দিবে। রবিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে সার্কভুক্ত দেশের পুলিশ সদস্যদের একটি ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে একথা জানান তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছুদিন পরপর এ্যালার্ট ঘোষণা করার বিষয়টি আমেরিকার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ঝুঁকিতে নেই। মার্কিন সরকার যে এ্যালার্ট জারি করেছে, তেমন কিছু ঘটেনি এখানে। বলতে পারেন এটা যুক্তরাষ্ট্রের একটা প্র্যাকটিস হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা হুমকির মুখে নেই। বাংলাদেশে এমন কিছুই হয়নি যে এদেশে আমেরিকার এ্যালার্ট ঘোষণা করতে হবে। কিছুদিন পরপর তারা এ কাজটি করে থাকে। কেন তারা এমন করছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ‘প্যারোলে মুক্তির’ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোন আবেদন করা হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন আবেদন করা হয়নি। আবেদন করা হলে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীকাল পাবনাতে ৬শ’ ১৪ জন চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে। তাদের কৃতকর্মের জন্য তারা লজ্জিত। তারা ভালোর পথে আসবেন বলে আবেদন করেছেন। তার ভিত্তিতেই আত্মসমর্পণের ব্যাপারে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশে কোন এক সময়, প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে চরমপন্থীরা নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করত। তারা একটা বলয় সৃষ্টি করে অরাজকতা করত। এগুলো কিন্তু ক্রমশই ছোট হয়ে গেছে, এরা দুর্বল হয়ে গেছে। যেই কয়জন অবশিষ্ট ছিলেন, তারা আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন, আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আত্মসমর্থন করবেন। তাদের কৃতকর্মের জন্য তারা লজ্জা বোধ করছেন, তারা সেই পথ থেকে সরে আসবেন। তাদের সুযোগ দিয়েছি। কী নিশ্চয়তায় তারা আত্মসমর্পণ করছেন, জানতে চাইলে কামাল বলেন, এর আগে জলদস্যু-বনদস্যুরা যেভাবে স্যারেন্ডার করেছে, সেভাবে। এই কর্ম আর কোনদিন করবেন না- ওয়াদা করলে তাদের আইনী সহযোগিতাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব। উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে বাংলাদেশ পুলিশ। এতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মালদ্বীপ ও ভুটানের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। তিন দেশের ৬ জন ও বাংলাদেশের ১৪ জনসহ মোট ২০ কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক কোর্সের উদ্বোধনীতে আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও স্বরাষ্ট্রসচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর রৌশন আরা বেগম।
×