ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তারল্য সঙ্কট থেকে বেরোতে পারছে না শেয়ারবাজার

প্রকাশিত: ০৯:২০, ৮ এপ্রিল ২০১৯

তারল্য সঙ্কট থেকে বেরোতে পারছে না শেয়ারবাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা দরপতন আর তারল্য সঙ্কট থেকে কোনভাবেই বের হতে পারছে না শেয়ারবাজার। আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। তবে লভ্যাংশজনিত রেকর্ড ডেটের পর ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর কোম্পানির বিক্রেতাশূন্য অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ব্লক মার্কেটে বড় অঙ্কের শেয়ার কেনার ঘোষণা এবং লভ্যাংশ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধরে রাখার প্রবণতার কারণেই এমনটি ঘটেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রবিবার সকাল থেকেই পতনের আভাস দিচ্ছিল শেয়ারবাজার। দিনটিতে একমাত্র তালিকাভুক্ত সরকারী কোম্পানিগুলোর প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। যার কারণে ওই সব কোম্পানির প্রায় সবগুলোরই দর বেড়েছে। এর বিপরীতে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর দর হারিয়েছে বেশি। তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর দরবৃদ্ধির দিনে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে। ফলে ডিএসইতে পতনের খাতায় নাম লিখিয়েছে ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৭৩টির। ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৪৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় পাঁচ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৪২ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। মূল্যসূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার দিনে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৬৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরপরই রয়েছে ফরচুন সুজ। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের পরই রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল। লেনদেনে এরপর রয়েছে গ্রামীণফোন, মুন্নু সিরামিক, ইস্টার্ন ক্যাবল, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, ন্যাশনাল পলিমার এবং ন্যাশনাল টিউবস। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৪৪ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৬২টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দাম।
×