ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আইপিএলে বেসামাল কোহলি

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ৭ এপ্রিল ২০১৯

 আইপিএলে বেসামাল কোহলি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে বিরাট কোহলি। এক সময়ের জাতীয় দলের সতীর্থ গৌতম গাম্ভীর পরিষ্কার বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে কোহলি অর্ডিনারি’। ২০, ৬, ৪৬, ৩ ও ২৩ রানে আউট হওয়া প্রতিটি ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হারে তার ফর্ম নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পরশু ঘরের মাঠে জ্বলে উঠেছিলেন। খেলেন ৪৯ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। ৩ উইকেটে ২০৫ রানের বড় স্কোরের পর কোহলির মুখে যে হাসি ফুটে উঠেছিল আন্দ্রে রাসেল-ঝড়ে সেটি মিলিয়ে যেতেও সময় লাগেনি। মাত্র ১৩ বলে ১ চার ও ৭ ছক্কায় অপরাজিত ৪৮ রান করে ব্যাঙ্গালুরুর বাড়া ভাতে ছাই ছিটিয়ে দিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৫ উইকেটের স্মরণীয় জয় এনে দিয়েছেন ক্যারিবিয়ান বিগম্যান। পাঁচ ম্যাচে জয়শূন্য টেবিলের তলানিতে থাকা ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলিকে ঘিরে সমালোচনাটা এখন আরও তীব্র। ব্যাঙ্গালুরুর ছুড়ে দেয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভার শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ৫ উইকেটে ১৫৩। ১৮ বলে তাদের দরকার ৫৩ রান। টি-টোয়েন্টিতে তা অসম্ভব না হলেও কিছুটা কঠিন ছিল। কিন্তু সেই কঠিন কাজটিকেই সহজ করলেন দুর্দান্ত থাকা ক্যারিবীয় দানব আন্দ্রে রাসেল। স্টয়নিসের করা ১৮তম ওভারে ছক্কা মারলেন দুটি। এরপর নিউজিল্যান্ড টিম সাউদিকে বোকা বানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সাউদির করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বল থেকে স্ট্রাইক পাওয়ার পর রাসেলের স্কোরিং শট: ৬, ৬, ৬, ৪, ৬! কলকাতার ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ১৩ বলে অপরাজিত ছিলেন ৪৮ রানে। ১টা চারের সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ৭টি। স্ট্রাইকরেট ৩৬৯.২৩! কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও দিল্লী ক্যাপিটালসের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচেও রাসেল খেলেছিলেন ৪৮ ও ৬২ রানের দুটি টর্নেডো ইনিংস। যেখানে ছক্কা যথাক্রমে ৫ ও ৬টি করে। এদিন একাই ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে দেয়ার পর উইন্ডিজ অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমি জানি আমি স্পেশাল। পৃথিবীর কোন মাঠই আমার কাছে বড় মনে হয় না।’ ওদিকে ৮৪ রানের ইনিংস দিয়ে আইপিএলে সুরেশ রায়নার সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন কোহলি (৫১১০)। কিন্তু ম্যাচ শেষে লজ্জার আরেক রেকর্ড তার এমন কীর্তি ঢাকা পড়েছে। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৮৬ ম্যাচ হার দেখা ক্রিকেটার এখন কোহলি। আরসিবিকে এ নিয়ে আটবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যেখানে ৪৪ জয়ের বিপরীতে হার ৫২ বার। এবার টানা পাঁচ হারের আগেই অবশ্য আরসিবিতে কোহলির অবদান নিয়ে প্রশ্ন ছিল গাম্ভীরের, ‘সে আরসিবির অংশ। সাত-আট বছর ধরে অধিনায়কত্ব করছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে তার ধন্যবাদ জানানো উচিত, কারণ এখনও তার ওপর ভরসা করে আছে। কারণ কোন টুর্নামেন্ট না জিতেও এত সময় থাকার সুযোগ খুব বেশি অধিনায়কের হয় না।’ পরশু ২০৫ রান তুলেও হেরেছে ব্যাঙ্গালুরু। শেষ ৩ ওভারে ৫৩ রানের লক্ষ্যটা ৫ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলেছে কলকাতা। এর পেছনে আন্দ্রে রাসেলের তা বের অবদানই ৯৯ ভাগ। কোহলি ম্যাচ শেষে নিজের বোলারদের আচ্ছামতো ঝেড়েছেন, ‘৪ ওভারে যদি ৭৫ রানকে (৬৬ রান) রক্ষা করতে না পারেন, ১০০ রানও পারবেন না। কি ভুল হয়েছে আমরা এ নিয়ে কথা বলতে পারি। এর বাইরে আর বলার কিছু নেই। আমার মনে হয় না বেশি কথা সবসময় কাজে দেয়।’
×