ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজীবপুরে শ্রেণীকক্ষে ঢুকে শিক্ষককে এারধর

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯

 রাজীবপুরে শ্রেণীকক্ষে  ঢুকে শিক্ষককে  এারধর

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে ঢুকে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষককে কিলঘুষি মারার সময় স্কুলের পিয়ন এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে আবুশামা ও তার পুত্র সুজন মিয়া। আহত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও পিয়ন হারুন-অর রশীদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার বালিয়ামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে। স্কুল মাঠে ভুট্টা শুকানো ও মাড়াই কার্যক্রম নিষেধ করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে মরিচাকান্দি গ্রামের আবুশামা ও তার পুত্র সুজন মিয়া ওই ঘটনা ঘটায়। শিক্ষককে মারপিটের সময় ভয়ে শ্রেণীকক্ষ থেকে অনেক শিশু বই ফেলে পালিয়ে যায়। শিশুদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে শ্রেণীকক্ষে ঢুকে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রধান শিক্ষককে মারপিটের প্রতিবাদে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার দাবি করে। শ্রেণীকক্ষে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানায় হাজির হয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘অভিযুক্তরা প্রতিদিনই স্কুল মাঠে ভুট্টা শুকানো ও মাড়াইয়ের কাজ করে। এতে একদিকে শ্রেণীকক্ষে শিশুরা থাকতে পারে না। শব্দ ও ধুলোবালিতে পাঠদান কার্যক্রম সমস্যা হয়। অপরদিকে স্কুলমাঠে ময়লা আবর্জনায় ভরে যায়। এ কারণে মাঠে ভুট্টা মাড়াই ও শুকানোর জন্য নিষেধ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবুশামা ও তার পুত্র সুজন মিয়া শ্রেণীকক্ষে ঢুকে আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। একপর্যায়ে আমাকে কিলঘুষি মারতে মারতে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করার চেষ্টা করে। এ সময় আমাদের পিয়ন এগিয়ে আসলে তাকেও বেদম মারপিট করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ভোলায় প্রধান শিক্ষক আহত নিজস্ব সংবাদদাতা ভোলা থেকে জানান, ভোলা সদর উপজেলার এ্যাডভোকেট ইউনুুছ মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের ওপর দুই দফায় হামলা ও মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়য়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে । শনিবার দুপুর একটার দিকে তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার বিচারের দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয় চঞ্চল নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে চটপটি বিক্রি করে আসছে। কিন্তু তার দোকানে এলাকার বখাটেরা বসে বিদ্যালয়ের মেয়েদের ইভটিজিংসহ উত্ত্যক্ত করত। তাই ওই চটপটি বিক্রিতে বাধা দেয়ায় গত বুধবার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিনকে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন ও মহিলা ইউপি সদস্যের প্রতিনিধি মোঃ মনিরসহ সালিশে বসে। এ অবস্থায় চঞ্চল কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে উত্তেজিত ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। একপর্যায়ে চঞ্চলের সঙ্গে থাকা বহিরাগত সন্ত্রাসী বজলু, কিরণ ও ইয়ামিন চেয়ার দিয়ে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়। এতে প্রধান শিক্ষক আহত হলে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
×