ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

টেলি সামাদের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ৭ এপ্রিল ২০১৯

টেলি সামাদের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র

গৌতম পান্ডে ॥ এক জীবনে অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে টেলি সামাদ জয় করে নিয়েছেন এদেশের অসংখ্য সিনেমাপ্রেমীর হৃদয়। ১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ চলচ্চিত্রে কৌতুক অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। ‘নয়নমনি’ ও ‘পায়ে চলার পথ’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন। ‘মনা পাগলা’ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি ৫০টির মতো চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। অভিনয় জীবনে চার দশকে ৬০০’র মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মোস্তফা মামুন তার ডাক নাম দিয়েছিলেন টেলি সামাদ। তারপর থেকে তিনি এ নামেই পরিচিত হন। ২০১৫ সালে তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘জিরো ডিগ্রী’ মুক্তি পায়। তার অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমা হচ্ছে ‘জিরো ডিগ্রী’ (২০১৫), ‘কুমারী মা’ (২০১৩), ‘সাথী হারা নাগিন’ (২০১১), ‘মায়ের চোখ’ (২০১০), ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’ (২০১০), ‘রিকসাওয়ালার ছেলে’ (২০১০), ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ (২০০৯), ‘কাজের মানুষ’ (২০০৯), ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’ (২০০৯), ‘কে আমি’ (২০০৯), ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩), ‘মিস ললিতা’ (১৯৮৫), ‘নতুন বউ’ (১৯৮৩), ‘মাটির ঘর’ (১৯৭৯), ‘নাগরদোলা’ (১৯৭৯), ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮), ‘অশিক্ষিত’ (১৯৭৮), ‘জয় পরাজয়’ (১৯৭৬), ‘গুন্ডা ’ (১৯৭৬), ‘সুজন সখী’ (১৯৭৫), ‘চাষীর মেয়ে’ (১৯৭৫), ‘রঙিন রূপবান’, ‘ভাত দে’। কৌতুক অভিনয়কে ভালবেসে তিনি নেমে পড়েছিলেন অভিনয়ের আঙিনাতেই। নানা মাধ্যমে অভিনয় করলেও চলচ্চিত্রের টেলি সামাদকেই মানুষ চিনেছে, ভালবেসেছে। নানা রকম চলচ্চিত্রে চার চারটি দশক তিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন অভিনয়ে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তিনি একজন হাসির ফেরিওয়ালা হয়ে হাসি বিলিয়েছেন মানুষের মনে-অন্তরে। যিনি হাসান তিনি প্রিয়জন। সেই প্রিয়জনের বিরহে তো প্রাণ কাঁদবেই। টেলি সামাদকে হারিয়ে আজ কাঁদছে বাংলাদেশ, কাঁদছে এ দেশের চলচ্চিত্র।
×