ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চার পেয়ে তিমির ফসিলের খোঁজ

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯

 চার পেয়ে  তিমির  ফসিলের  খোঁজ

আজ থেকে চার কোটি ৩০ লাখ বছর আগে তিমি মাটির ওপর দিয়ে হাঁটত। আর সাগরের পানিতে ঠিক ভোঁদরের মতো সাঁতার কাটত। পেরুর সমুদ্র উপকূলবর্তী প্লায়া মেডিয়া লুনা অঞ্চলে খোঁজ পাওয়া তিমির একটি পরিপূর্ণ ফসিল পরীক্ষা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। একদল প্রত্নজীবাশ্মবিদ এই জাতীয় তিমির শরীরের একটি অংশের খোঁজ পান। তারা এটির চোয়াল, দাঁত ও মেরুদ-ের বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করেন। চার মিটার দীর্ঘ ফসিলটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রাচীনকালে তিমির চারটি পা ছিল। পায়ের শক্ত খুঁড়ের সাহায্যে তিমিগুলো মাটিতে হাঁটত। আবার পানিতে সাঁতার কাটত। পাগুলো অত্যন্ত শক্ত হওয়ায় তিমির শরীরের ওজন বহন করতে পারত। তিমিগুলোর আচরণ ছিল বর্তমান সময়ের ভোঁদর অথবা বীবর জাতীয় প্রাণীর মতো। গবেষকরা মনে করছেন, এই আবিষ্কার তিমির বিবর্তন ও বিশ্বের নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার রহস্যভেদ করতে সহায়তা করবে। গবেষণা দলের উপ-প্রধান ও রয়্যাল বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সের বিজ্ঞানী ডক্টর অলিভার ল্যাম্বার্ট বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের বাইরে এই প্রথম তিমির এত প্রাচীন ফসিল পাওয়া গেল। পেরুর প্লায়া মেডিয়া লুনা অঞ্চলের এক কিলোমিটার দূরে এটির খোঁজ মেলে। এর আগে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল যে ৫ কোটি বছর আগে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে তিমির বিচরণ শুরু হয়। তিমি যেহেতু পানিতে স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারে এবং পানিতে নিজেকে সহজে খাপ খাওয়াতে পারে তাই এগুলো উত্তর আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে থাকে। এর আগে এসব অঞ্চলে তিমির প্রাচীন ফসিল পাওয়া যায়। তবে পেরুতে সম্প্রতি আবিষ্কৃত এই ফসিল পরীক্ষা করে দেখা যায়, এই তিমিটি দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল হতে সাঁতরে উত্তর আমেরিকার দিকে গিয়েছিল। পেরু, ফ্রান্স, ইতালি, হল্যান্ড ও বেলজিয়ামের একদল বিজ্ঞানী তিমির এই ফসিলের খোঁজ পান। বিজ্ঞানীরা এটির নাম দিয়েছেন পেরগোসেটাস প্যাসিফিকাস-এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায় হাঁটতে পারা তিমি যেটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এসেছিল। এ সংক্রান্ত গবেষণা সম্প্রতি কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। -সায়েন্স নিউজ অবলম্বনে।
×