ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন ইস্যু শুরু

ব্রিটিশ পাসপোর্ট থেকে বাদ ইউরোপীয় ইউনিয়ন

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ৭ এপ্রিল ২০১৯

  ব্রিটিশ পাসপোর্ট থেকে বাদ  ইউরোপীয় ইউনিয়ন

নতুন ব্রিটিশ পাসপোর্টের কভারে আর আগের মতো ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের’ নাম থাকছে না। ৩০ মার্চ থেকে গাঢ় লাল রংয়ের নতুন এই পাসপোর্ট ইস্যু করা শুরুও হয়ে গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের আগেই পাসপোর্ট থেকে জোটটির নাম সরিয়ে নিয়েছে ব্রিটেন। বিবিসি। ভাণ্ডারে এখনও ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ লেখা কভার থাকায় ‘আরও কিছুদিন’ কেউ কেউ আগের পাসপোর্টও পেতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। ইইউতে যুক্ত হওয়ার আগে পুরনো নক্সার যে গাঢ় নীল কভারের পাসপোর্ট পেত ব্রিটিশ নাগরিক, চলতি বছরের শেষ থেকে সেগুলোও মিলবে। ব্রেক্সিট গণভোটের পর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরের ২৯ মার্চ ইইউ জোট থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। চুক্তিসহ বিচ্ছেদ কার্যকরে পার্লামেন্ট সদস্যদের মতের অমিলে ওই মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়। শুক্রবার ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের কাছে লেখা এক চিঠিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ব্রেক্সিট কার্যকরের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। চলতি সপ্তাহে ইউরোপের নেতাদের এ নিয়ে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছে, ২৯ মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকর হবে ধরে নিয়েই তারা পরদিন থেকে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ ছাড়া কভারের পাসপোর্ট ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ব্রিটিশ জনগণের দেয়া করের সর্বোচ্চ ব্যবহারের লক্ষ্যে ভাণ্ডারে যতদিন আগের কভার আছে, ততদিন আগের পাসপোর্টও ইস্যু হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন লেখা থাক বা না থাক, ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্রমণে তা পার্থক্য করবে না। উভয় নক্সাই বৈধ। ব্রেক্সিট নিয়ে এই বিলম্ব প্রক্রিয়ার মধ্যেই ব্রিটিশরা ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ লেখাবিহীন নতুন পাসপোর্ট হাতে পাচ্ছেন; যা নিয়ে দেখা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ এ পরিবর্তনকে ‘স্বাগত’ জানিয়েছেন, কারও কারও কাছে ‘বাড়াবাড়ি’। ব্রিটেন ২৯ দেশের জোটটি ছাড়ার আগ পর্যন্ত পাসপোর্টের কভারে পরিবর্তন আনাকে সমর্থন করতে পারছেন না সুসান হিন্ডল ব্যারন। শুক্রবারই নতুন পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন তিনি। সুসান বলেন, আমি বিস্মিত হয়েছি। আমরা এখনও ইইউর সদস্য। বেরিয়ে যাওয়ার আগেই তারা (কর্তৃপক্ষ) এ পরিবর্তন আনায় আমি বিস্মিত হয়েছি। এটা এমন কিছু একটার বাস্তব চিহ্ন, যাকে আমি একদমই নিরর্থক মনে করি। ইইউ থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদও মানতে পারছেন না তিনি। সুসান বলেছেন, বেরিয়ে গেলে আমরা কি অর্জন করব? সুনির্দিষ্টভাবেই অনেক কিছু হারাব আমরা। অন্যদিকে ব্রেক্সিটপন্থীরা শুরু থেকেই ব্রিটিশ পাসপোর্টে এ পরিবর্তন আনার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন।
×