ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিটি ভবনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা মনিটরিং করা হচ্ছে ॥ আইজি

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ৭ এপ্রিল ২০১৯

 প্রতিটি ভবনে অগ্নি  নির্বাপণ ব্যবস্থা  মনিটরিং করা  হচ্ছে ॥ আইজি

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৬ এপ্রিল ॥ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি বলেছেন, অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। প্রতিটি ভবনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা সঠিকভাবে আছে কিনা তা মনিটরিং করা হচ্ছে। অগ্নিকান্ডসহ সকল দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ ও জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলে পুলিশ লাইনসে পুলিশের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং বেশ কয়েকটি কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদফতর সরকারের আলাদা একটি সংস্থা। তাদের নিজস্ব গতিতে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। পরিবেশ যেখানে বিঘ্নিত হয় সেখানে তারা আইন প্রয়োগ করে থাকেন। সত্যিকার অর্থে যদি পরিবেশ রক্ষা করতে হয় তাহলে পরিবেশ পুলিশের প্রয়োজন আছে। যত্রতত্র রাস্তার আশপাশে যে পরিমাণ ইটভাঁটি হচ্ছে তাতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এক কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের সময় ৮-১০টা ইটের ভাঁটি চোখে পড়ে। ইটের ভাঁটিগুলো যেভাবে মাটির টপসয়েল নষ্ট করে জমির উর্বরতা হারাচ্ছে তাতেও আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষি জমিতে কৃষি পণ্যের উৎপাদন কমে যাচ্ছে, আম গাছে আম না ধরাসহ নানা সমস্যার দেখা দিচ্ছে। অপরদিকে ইটভাঁটির ধোয়াতে মানুষও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে পরিবেশ অধিদফতরের পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল আছে কিনা সেটা আমার জানা নাই। তবে এসব সমস্যার জন্য যদি পরিবেশ পুলিশ থাকত তাহলে আমরা সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারতাম। পুলিশ প্রধান আরও বলেন, দেশের প্রতিটি নদী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঢাকাসহ আশপাশের নদীগুলোর পানিকে আর পানি বলা যাবে না। বুড়িগঙ্গার পানির কালার ও দুর্গন্ধের কারণে নদীর কাছে যেতে ইচ্ছে করে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে নদীগুলো নির্মূল থাকে। নদীর পাড়গুলো এমন স্থানে যেখানে মানুষ বেড়াতে যায়। উন্নত দেশের নদীগুলো সংরক্ষণ করা হয়। আমাদের এ দেশেও সম্ভব। আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। যারা নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলে তাদের নিষেধ করতে হবে।
×