ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপে চমক দেখাতে পারে ভারত ॥ গ্রিনিজ

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ৬ এপ্রিল ২০১৯

 বিশ্বকাপে চমক দেখাতে পারে ভারত ॥ গ্রিনিজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সব সময়ে মতো এবারও বাংলাদেশে আসতে পেরে খুশি। এটা আমার জন্য ঘরের মতোই। গত দুই বছরের মধ্যে দুইবার বাংলাদেশে এসেছি। রুমির আমন্ত্রণে এবার এসেছি। এবারের আগমন কিছুটা ভিন্ন কারণে। গতবার বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের আমন্ত্রণে এসেছিলাম তারা সম্মান জানিয়েছিল। এবার গলফের কারণে আসা। এটা ভিন্ন একটা খেলা। আমি এই খেলাটা ভীষণ পছন্দ করি। খেলার চেষ্টা করি। আমি গলফার নই; তবু খেলাটা আমার ভীষণ পছন্দের। আশাকরি বাকি দুটিদিন গলফে দারুণ সময় কাটবে। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পরিচিতি বাড়বে। গলফ বিশ্বময় খেলা হয়। খুবই ধৈর্যের, বুদ্ধির খেলা। স্পন্সর ন্যাশনাল ব্যাংকের কারণে এমন একটা সুন্দর টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরেছে। ন্যাশনাল ব্যাংক টুর্নামেন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। আতিথেয়তার জন্য স্পন্সর প্রতিষ্ঠানকে অনেক ধন্যবাদ। আমি মনে করি শুধু এক বছরের জন্য না, তারা আরও অনেক বছর গলফের সঙ্গে থাকবে। ন্যাশনাল ব্যাংকের কারণে বাংলাদেশে চমৎকার একটি টুর্নামেন্ট হচ্ছে। বাকি দু’দিনও দারুণভাবে টুর্নামেন্ট চলবে। আমি টুর্নামেন্টের সাফল্য কামনা করি। জাতির পিতার নামে টুর্নামেন্ট। অবশ্যই এটি দারুণ কিছু। রিক এবং রন হকের নাম বলতেই হয়, তারাই মূলত এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে সর্বাত্মক ভূমিকা রেখেছেন। শুধু ন্যাশনাল ব্যাংকের বড় দুইকর্তা নন, এর প্রতিটি সদস্যের জন্যই এটি আয়োজন সম্ভব হয়েছে। আশাকরি ভবিষ্যতে যে কোন টুর্নামেন্টে তারা অগ্রণী ভূমিকাতেই থাকবে। এখানকার কোর্স অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং, অনেক বেশি টাইট। এ জন্য কিছুটা চিন্তিত। বিশেষ করে ফেয়ারওয়ে। ক্যারিবীয় ফেয়ারওয়েজগুলো বেশি প্রশস্ত। আরও কিছু কাজ এখানে করা উচিত। যাতে বল সহজেই নিশানা মতো পড়তে পারে। যারা অংশ নিচ্ছেন সবার জন্য শুভকামনা আগামী দু‘দিনও তারা ভাল খেলুক। গত পাঁচ বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে এই টুর্নামেন্ট হয়ে আসছে। আশা করব আপনারা আপনাদের লেখনী, ছবির মাধ্যমে প্রত্যেককে ভালভাবে তুলে ধরবেন। আবারও গলফ ক্লাবকে আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ। আমার এখানে থাকার খুবই ইচ্ছা করছে। কিন্তু এটা তো থাকার জায়গা না, গলফ কোর্স। ভবিষ্যতে যদি এখানে সেলিব্রেটি গেইম হয় তাহলে অবশ্যই তাতে অংশ নেব। বিশ্বকাপ ক্রিকেট : বাংলাদেশ ভাল করছে। বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলা। কোন দলকেই আসলে সেভাবে সবার চেয়ে সেরা দল এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আশাকরি সফল একটি বিশ্বকাপই হবে। আমরা দলগুলোর কাছে সেরা খেলাটাই চাইব। উত্তেজনাকর ম্যাচই আপনি দেখতে চাইবেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, ক্লোজ গেইম সবাই দেখতে চায়। আমি বলতে কিছুটা সংকোচবোধ করছি; তারপরও বলছি বিশ্বকাপে আমার ফেবারিট দলই হচ্ছে ভারত, বাংলাদেশ দল অনেকটা পাকিস্তানের মতো; একদিন বেশি ভাল খেলে তো, আরেকদিন খারাপ। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে খেলতে পারলে ভাল কিছু করবে বাংলাদেশ। ধারাবাহিকতা ধরে রাখা খুবই জরুরী, তবেই ভাল ফল আসে। দেখুন বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে ভাল খেলছে। কিন্তু ধারাবাহিকতার বড়ই অভাব। গত দুই বছরে র‌্যাঙ্কিংয়ে কিন্তু উত্থান-পতন হচ্ছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুর্দান্ত খেলেছে। ইংল্যান্ডে প্রতিটি দলকেই ভাল খেলে, লড়াই করে পয়েন্ট তুলে নিতে হবে। তারপর সুপার সিক্স কিংবা ফোরে জায়গা করতে প্রতিটি গেমই গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটি পয়েন্টও। এটা ম্যাচের জয়-পরাজয়ে দর্শক অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। দর্শক চাপটা অনেক বেশি জরুরী। বাংলাদেশের ম্যাচেও দারুণ দর্শক হবে। তবে এটা পরিষ্কারভাবে বলা যাচ্ছে না যে কোন দল বিশ্বকাপ জিতবে। এটা বলা কঠিন; কারণ আর মাত্র দুদিন এখানে থাকব। আমি এখন গলফের প্রোমটের জন্য এসেছি। আমি এই টুর্নামেন্টের এ্যাম্বাসেডর। বাংলাদেশ এশিয়ান পর্যায়ের সেরা টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে। এখানকার কোর্সটা দেখতেও চমৎকার। ফেয়ারওয়েজ খুবই টাইট। এ কারণে শটে ঝামেলা হয়। দূরত্ব ঠিকঠাক অনুমানেও কিছুটা সমস্যা হয়। দ্বিতীয় শটে বেশি ঝামেলায় পড়তে হয়। ক্যারিবিয়ান (বার্বাডোজ, স্যান্ডারল্যান্ড) অনেক কোর্সেই আমি খেলেছি। সেখানই ফেয়ারওয়েজ অনেক ওয়াইড। এটা খুবই ভাল একটা খেলা। আমি খুবই দুঃখের সঙ্গে বলছি যে ক্যারিয়ারের শুরুতে কেন আমি গলফ খেললাম না। এটা আমার ধারাহিকতায় ধরে রাখতে সহায়তা করত। এটা ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সভিত্তিক খেলা।
×