ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধ নৌযানে ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পাড়ি

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ৬ এপ্রিল ২০১৯

 নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধ নৌযানে ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পাড়ি

হাসিব রহমান, ভোলা ॥ সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোলার মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোনে ভোলা-লক্ষ্মীপুরসহ অন্তত ২৫ রুটে চলছে ফিটনেসবিহীন অবৈধ নৌযান। প্রতিদিন এসব রুট দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারে কারণে নৌ দুর্ঘটনা আশঙ্কা থাকলেও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবৈধ নৌযান বন্ধ করতে পারছে না। তারা কঠোর কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে চলছে ট্রলার স্পীডবোটের রমরমা ব্যবসা। রহস্যজনক কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ৩০ মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৮ মাস ভোলার ইলিশা থেকে মেঘনা নদীর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর মোহনা পর্যন্ত ১১০ কিলোমিটার এলাকাকে ডেঞ্জারজোন হিসেবে চিহ্নিত করে সি সার্ভে ছাড়া সব ধরনের অনিরাপদ নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞাজারি করা হয়েছে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভোলা জেলার উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় দিয়ে চলছে ফিটনেস ও অনুমোদনবিহীন ছোট ছোট কাঠের নৌযান, স্পীডবোট, ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে দুটি লঞ্চ ও একটি সি-ট্রাক সরকারী অনুমোদন নিয়ে চলাচল করলেও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। কারণ দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হওয়ায় প্রতিদিন এ রুটে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক নির্ভরযোগ্য যান থাকায় প্রতিদিন দূরদুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা বাধ্য হয়ে অবৈধ ট্রলার ও স্পীডবোটে উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিচ্ছে। ইলিশা ঘাটের ইজারাদার সরোয়ারদি মাস্টারসহ একাধিক যাত্রী জানান, এ রুটে শীত মৌসুমে ১১টি ছোট ছোট লঞ্চ চলাচল করে। কিন্তু এখন মাত্র অনুমোদিত ২টি লঞ্চ ও ১টি সি-ট্রাক চলাচল করে। কিন্তু এতে করে বহু যাত্রী দূরদুরান্ত থেকে এলেও তারা লঞ্চ, সি-ট্রাক পায় না। যার কারণে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার ও স্পীডবোট দিয়ে চলাচল করছে। প্রয়োজন আরও একাধিক সি-ট্রাক ও বড় বড় বৈধ লঞ্চ।
×