ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ১১:০০, ৫ এপ্রিল ২০১৯

কবিতা

প্রতিশোধ শেখ আতাউর রহমান (‘গু ষড়াব রং সু মঁহ!’ : ‘ঙঃযবষষড়’ : ডষষরধস ঝযধশবংঢ়বধৎব) এমন একদিন ছিলো যখন টেলিফোনে কথা বলতে তুমি সারাশরীরে জড়িয়ে নিতেম সেই তার- মুহুর্মুহুঃ রোমাঞ্চিত হতেম এইভেবে আমার সারাশরীর ঘুরে আসছে ভেসে তোমার সুমধুর স্বর! এবার কিনেছি আমি ভয়াবহ এক অটোপিস্তল, ভাঙবো যে সব শৃঙ্খল তোমার শরীরে ঢুকিয়ে তার নল করবো ফায়ার ক্ষমাহীন প্রতিশোধে মত্ত এখন আমি জালিয়ানাবাগের ধিকৃত কর্নেল ডায়ার!! ** বোতলে আটকোনো ভূত পলিয়ার ওয়াহিদ ছটফট করা একটা সময় দমবন্ধ করা একরাশ মানুষেরা কোথাও নেই কুল কুচির মতো সামান্য পানি! পুকুরগুলো ক্রমেই চোখের ভেতরে চলে এলো মানুষের চোখে তবু ধুলো আর আবেদনহীন মসলায় রান্না হচ্ছে। চিকচিক করা কষ্টের ঘামগুলো সস্তা ও ভিখারীর করুণার মতো ধুঁকছে শহরেও আর লোমওঠা কুকুর নেই নেই শান্ত কোমল বিড়াল! যতসামান্য কাকের দেখাও বড্ড দুরূহ প্রাণীর জন্য কতোটা অনিরাপদ এই নগর! সামনে ছুটতে গিয়ে পিছনে ঝুঁকে পড়ছে জীবন বোতলে আটকানো এক একটা ভূত যেন যার বিনাশ নেই, নেই মুক্তিও! ** বিড়ালের স্বরগ্রাম সৈয়দ রফিকুল আলম রাত দ্বিপ্রহর, ঘুমখোর, চারদিক নৈঃশব্দে স্থবির’ হঠাৎ কর্কস চর্চিত বেসুরো ”েঁচামেচিতে ভাতঘুম ভেঙ্গে শোরগোল, নিবারণ কল্পে কাছে গিয়ে দেখি দুই মিনি বাঘ সদৃশ জোড়া বিড়াল পায়ের নখর সমেত ঘাত সঙ্গে ঘৃণ্য কামড়া কামড়ি ও অশ্রাব্য স্বরগ্রামের সমাহার; বিষয় টা বুঝে উঠতে দেরী হলো না; হাঁ হলো না, চোরাচুরি রণকৌশলের- আধিপত্য বিস্তারে মল্লযুদ্ধ।’ বিড়াল ঘরে পোষে কেউ বা আদরে, কেউ বা ঈদুর ধরার কৌশল নির্ণয়ে, বিশ্বব্যাপী এই যন্ত্রনা কম বেশ আছে; কথায় কথায় বলা বলি করি ঈদুরের উৎপাতে খাদ্য সামগ্রী সব উচ্ছন্নে গেল’। তো প্রশ্ন জাগে- জাগে বটেঃ- বিড়াল বহর কে লালন পালনের একান্ন উৎসুক- অনাসৃষ্টি ঈদুর হতে রক্ষাকল্পে’ কিন্তু ঈদুর পাশ কেটে গেলে ও বিড়াল নববধুর মতো লজ্জারুণে মুখ লুকায়। “কথায় বলে বিড়াল ঈদুর ধরে” এখন দেখি আত্মকলহে বিবর্জিত নিয়ামাচারিতা উল্টোপথে হাঁটে। ** তোমাকে পান খাওয়াবো বলে রুদ্র সাহাদাৎ তোমাকে পান খাওয়াবো বলে আপাদমস্তক পানচাষী হয়ে গেলাম। নিজ হাতে পরিচর্যা করছি পানের বাগান সে যে চলে গেলে- ফিরোনি আর... আজো আছি প্রতীক্ষায় মহেশখালীর মিষ্টি সবুজ পান হাতে। অনেকে বলে থাকেন, আমি নাকি পানখোর একজন ডেলি কতো খিলি পান গিলি অজান্তে -জানে না কেউ... তোমাকে পান খাওয়াবো বলে মৈনাকপর্বতের কুহলিয়া ঘাটে বসে প্রতীক্ষায় -প্রহর গুনি। তুমি আজো চোখের ভিতর হাঁটো মনের গহীনে ভালোবাসার সুনামি তোলো। মুখোমুখি -সহস্র কথা আছে জানার চোখোচোখি - কখন হবো ভালোবাসার। ** অতঃপর নজরুল অতঃপর... কাজী রফিকুল ইসলাম অতঃপর নজরুল লিখলেন- ‘নার্গিস, তুমি যদি আমাকে বিরহ না দিতে, আমি অগ্নিবীণা বাজাতে পারতাম না’ ওই অগ্নিবীণার অগ্নিটুকু সুরের, ছন্দের, কবিতার। আমরা তা পেলাম। ১১ জ্যৈষ্ঠ পেলাম বারংবার। বিদ্রোহ পেলাম। স্বাধীনতা পেলাম। অতঃপর...।
×