ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অস্থিরতা মোকাবেলায় প্রস্তুত ১০ হাজার পুলিশ

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ৫ এপ্রিল ২০১৯

অস্থিরতা মোকাবেলায় প্রস্তুত ১০ হাজার পুলিশ

কোন চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট বিষয়ে সম্ভাব্য অস্থিরতা মোকাবেলায় ১০ হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পুলিশ প্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, রাজনীতিবিদ ও কর্মীদের বাগযুদ্ধ ব্রেক্সিট উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ন্যাশনাল পুলিশ চীফস কাউন্সিলের প্রধান মার্টিন হেউয়িট উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্কে জড়িত বিখ্যাত ব্যক্তিদের বক্তব্যে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। বিতর্কিত ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, তাদের উচিত সেভাবে কথা বলা। কারণ সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে। হেউয়িট বলেন, ‘এটা খুবই আবেগীয়... আমি মনে করি এসব ব্যক্তিদের দায়িত্ব রয়েছে। তাদের কথা বলার প্ল্যাটর্ফম রয়েছে, তাদের প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে। তাদের এমনভাবে কথা বলা উচিত যাতে জনগণ উত্তেজিত না হয় এবং কোন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা চরম অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজর দেয়া হয়, তবে দেখা যাবে সেখানে অনেক উত্তেজিত কথাবার্তা রয়েছে। প্রধান কনস্টেবল চার্লি হল বলেন, বিশৃঙ্খলা মোকাবেলায় অন্তত ১০ হাজার কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে মোতায়েনের জন্য তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, যদি উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং সহিংসতা ছড়িয়ে তবে লুটতরাজ ঠেকানোর কৌশল তাদের শেখানো হয়েছে। হল বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০১১ সালে ইংল্যান্ডজুড়ে সবচেয়ে ভয়াবহ দাঙ্গার সময় মোতায়েন স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সদস্যের চেয়েও বড় কর্মকর্তাদের এই বহর। তিনি বলেন, নির্দেশ পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে ১০ হাজার কর্মকর্তা মোতায়েন শুরু করা যাবে। তাদের পুরোপুরি মোতায়েন করতে আট ঘণ্টা সময় লাগবে। তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলার বিষয়ে পুলিশের কাছে কোন গোয়েন্দা তথ্য নেই। তবে তিনি অনিশ্চয়তার কথা বলেন। তিনি বলেন, খারাপ পরিস্থিতির জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রস্তুতি থাকে। পুলিশের কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, সারাদেশে যদি কর্মকর্তাদের মোতায়েন করার প্রয়োজন হয়, তবে পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
×