ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোন্দলেই ডুবছে জামায়াত

একাত্তর নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নে বিরোধ

প্রকাশিত: ১০:২৭, ৫ এপ্রিল ২০১৯

একাত্তর নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নে বিরোধ

বিভাষ বাড়ৈ ॥ একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া ও সংস্কার ইস্যুতে এবার ‘সংস্কারবিরোধী বহিরাগতদের’ তৎপরতা নিয়ে নতুন করে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নানসহ কিছু ব্যক্তির সংস্কারবিরোধী অবস্থানে বাড়ছে বিরোধ। সংস্কার চেয়ে পদত্যাগী নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাকের অবস্থানকে ভুল কিংবা ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেইÑ এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে শাহ আবদুল হান্নান অনধিকার চর্চা করছেন বলে দলের ভেতর থেকেই অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমা চাওয়া ও সংস্কারের দাবিতে সক্রিয়, পদত্যাগী ও বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছেন, ‘শাহ আবদুল হান্নান ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। তার মতো বহিরাগত কিছু ব্যক্তির কারণেই জামায়াত সঠিক পথে রাজনীতি করতে পারছে না, সংস্কারও হচ্ছে না।’ ঘটনার শুরু হয়েছিল এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরী সভায় সংস্কার ও একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত কেন্দ্র করে। সভায় একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়, দল বিলুপ্ত করে সমাজসেবার বিষয়েও নীতিগত সিদ্ধান্তও আসে সভায়। তবে বিষয়টি তখনও দলের মজলিশে শূরায় অনুমোদন পায়নি। দলটির নেতৃত্বের একটা অংশ এ ধরনের প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নেয়। এই অংশ একাত্তরের ভুল স্বীকার করে বর্তমান নামে দলকে সচল রাখতে অথবা নতুন নামে দল গঠন করতে চায়। ৯ বছর আগে অনেকটা একই রকম প্রস্তাব দিয়েছিলেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াতের তখনকার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান। তিনি ’১০ সালে গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিন পর কারাগার থেকে দেয়া এক চিঠিতে প্রস্তাব করেছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন দায়িত্বশীলদের হাতে জামায়াতকে যেন ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি একাধিক বিকল্পের মধ্যে দল হিসেবে জামায়াতের নামও বাদ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে মতিউর রহমান নিজামীর পরিবারসহ তখনকার জ্যেষ্ঠ নেতাদের বাধায় সেটা আর এগোয়নি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর জামায়াত-শিবিরের একটি অংশ নতুন করে ওই প্রস্তাব সামনে আনে। ঠিক এমন অবস্থায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সংস্কার ও একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ায় নেতৃত্ব সাড়া না দেয়ার প্রতিবাদে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন লন্ডনে অবস্থানরত দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। যুক্তরাজ্য থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে দলের আমির মকবুল আহমদের কাছে আব্দুর রাজ্জাক তার পদত্যাগপত্র পেশ করেন। পদত্যাগের পেছনে আব্দুর রাজ্জাক দুটি কারণ উল্লেখ করেন। বলা হয়, জামায়াত ’৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চায়নি। একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতার আলোকে ও অন্যান্য মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে বিবেচনায় এনে দলটি নিজেদের সংস্কার করতে পারেনি। পদত্যাগের পেছনে রাজ্জাক মূলত ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দলটির ভূমিকাকেই তুলে ধরেন। বলেন, গত প্রায় দুই দশক তিনি জামায়াতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে ৭১-এ দলের ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত এবং সে সময়ে জামায়াতের ভূমিকা ও পাকিস্তান সমর্থনের কারণ উল্লেখ করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের আওতায় ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক দল গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি, কিন্তু সে দাবি অনুযায়ী জামায়াত নিজেকে এখন পর্যন্ত সংস্কার করতে পারেনি। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আজও দলের নেতৃবৃন্দ একাত্তরে ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইতে পারেনি। এমনকি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রসঙ্গে দলের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেনি। তিনি বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতের ক্ষতিকর ভূমিকা সম্পর্কে ভুল স্বীকার করে জাতির সঙ্গে সে সময়ের নেতাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে পরিষ্কার অবস্থান নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। লন্ডনে যাওয়ার আগে তিনি ’১১ থেকে ’১৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন। দলটির এমন এক নেতার পদত্যাগে কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ে শীর্ষ নেতৃত্ব। একটি অংশ তার পদত্যাগের পর নতুন করে সংগঠিত হয়ে চাপ তৈরি করে। এমন অবস্থার মধ্যেই সংস্কারের দাবি তোলায় বহিষ্কার করা হয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও জামায়াতের ঢাকা মহানগর মজলিশে শূরার অন্যতম সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জুকে। দুটি ঘটনার প্রভাব বুঝতে পেরে দলের শীর্ষ নেতারা পরিস্থিতি সামাল দিতে সংস্কার ও ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে ‘কাজ হচ্ছে’ বলে প্রচার চালাতে থাকে। দলের মধ্যে অসন্তোষ সামাল দিতে একটি কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে জামায়াতকে ‘স্বাধীনতাবিরোধী দল’ উল্লেখ করে দিনাজপুরের খানসামার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বখতিয়ার উদ্দিন। ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের পদত্যাগের খবরে ‘ভুল’ ভেঙ্গেছে বলে জানান তিনি। সেই ভুল শোধরাতেই জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন বখতিয়ার উদ্দিন। এমন অবস্থায় সংস্কার ও ক্ষমা চাওয়ার ইস্যুটি মুখ্য হয়ে সামনে আসতে থাকলেও হঠাৎই নীরব হয়ে যান জামায়াত নেতারা। সংস্কারবিরোধী অবস্থান নিয়ে জামায়াত ঘরানার সাবেক সচিব শাহ আব্দুল হান্নানের কর্মকা- নিয়ে এই মুহূর্তে নতুন করে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে দুই পক্ষ। ইতোমধ্যেই সংস্কারবিরোধী অবস্থান নিয়ে রাজ্জাকের সমালোচনাও করেছেন শাহ আবদুল হান্নান। সংস্কার হয়নি বলে রাজ্জাক যে কথা বলেছেন তার সমালোচনা করে তিনি দাবি করছেন, ‘জামায়াতের মধ্যে কোন সংস্কার হয়নি এ বক্তব্য সঠিক নয়। এর মধ্যে জামায়াতের কার্যক্রমে অনেক সংস্কার ও অগ্রগতি হয়েছে। জামায়াত নারীদের এমপি নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছে। উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন অনেক। জামায়াতের নারী সদস্যের সংখ্যা এখন অর্ধেকের কাছাকাছি পৌঁছেছে। মেয়েদের রোকন করার বিষয়ে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। এমনকি দলের সংখ্যালঘু সদস্য করা হয়েছে ৮০ হাজারের কাছাকাছি। সামনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টিকেও অপ্রাসঙ্গিক বলে মত হান্নানের। বলেন, পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী আর বাংলাদেশ জামায়াত এক নয়। বর্তমান জামায়াত ’৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতার সময়ের ভূমিকার জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি প্রাসঙ্গিক নয়। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এই সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করি না। কোন সংগঠন বা ফোরামে সবার সব পরামর্শ গৃহীত হবে এমনটি বাস্তবসম্মত নয়। কে এই শাহ আবদুল হান্নান? তিনি কি জামায়াতের কেউ? সংস্কার ও ক্ষমা চাওয়ার বিরুদ্ধে তার তৎপর হয়ে ওঠার পর এবার সেই প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছে জামায়াত-শিবিরের একটি অংশ। সাধারণ নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করে শান্ত রাখার জন্য শাহ আবদুল হানাœন ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন নেতাকর্মীরা। তিনি ‘জামায়াতের কেউ নন’ ‘তিনি বহিরাগত’ এমন অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যেই শাহ হান্নানের মতো ব্যক্তিদের কারণে সংস্কার ও ক্ষমা চাওয়ার অবস্থান থেকে দল সরে এসেছে বলেও অভিযোগ করেছেন প্রতিবাদকারীরা। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সদস্য বৃহস্পতিবার তার ব্যবসায়িক অফিস কার্যালয়ে বসে বলছিলেন, সংস্কার ও ক্ষমা চাওয়ার পথে জামায়াত এই মুহূর্তে হাঁটছে না। কিছু ব্যক্তি দলকে সঠিক পথে আনার বিরুদ্ধে। তারা চান না জামায়াত সুস্থ ধারায় রাজনীতি করুক। এই অংশটিকে সংগঠিত করছেন শাহ আবদুল হান্নান। ইতোমধ্যেই তিনি যে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তাকে বিভ্রান্তিকর ও ভুল বলে অভিহিত করে নির্বাহী কমিটির না এ সদস্য বলেন, এত সংস্কার হয়েছে আমরা তো কোনদিন তা শুনিনি। এসব কথা উনি কোথায় পেলেন। সংখ্যালঘু ও নারী সদস্য সম্পর্কে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। সংস্কারের বিরুদ্ধে সাবেক এ সচিবের তৎপরতার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার কয়েক সদস্য। তারা শাহ আবদুল হান্নানকে ‘বহিরাগত’ অভিহিত করে দলের নেতৃবৃন্দকে সঠিক ভূমিকার পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেন, শাহ আবদুল হান্নান দলের কেউ নন। তিনি এভাবে দল নিয়ে কথা বলতে পারেন না। তার মতো বহিরাগত কিছু ব্যক্তির কারণেই জামায়াতে সংস্কার হচ্ছে না। এমনকি দল সঠিক পথে রাজনীতি করতে পারছে না। শাহ আবদুল হান্নান চাচ্ছেন জামায়াতের বর্তমান নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখতে। সংস্কারের দাবি তোলায় বহিষ্কৃত হলেও অবস্থানে অটুট আছেন শিবিরের সাবেক সভাপতি জামায়াতের ঢাকা মহানগর মজলিশে শূরার অন্যতম সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেছেন, জামায়াতের ভেতর নবীন-প্রবীণের একটি বিরাট অংশই দলে সংস্কারের জন্য এখন উদগ্রীব। তাদের অনেকেই ১৯৭১ এ দলের বিতর্কিত ভূমিকা স্পষ্ট করে সামনে এগোনোর পক্ষে। আমি সেটা সাহস করে বলেছি, অনেকে সেটা বলতে পারেন না। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমি আশাবাদী আমাদের এই দাবি দল অনুধাবন করবে, এটা হবেই। মঞ্জুর পর্যবেক্ষণ নতুন উদ্যোগের বিষয়ে জানুয়ারিতে সিদ্ধান্ত হলো। ৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। জানানো হলো অধঃস্তনদের, অবশ্য প্রেসকে জানানো হয়নি। কারণ কী, মানে হচ্ছে অধঃস্তনদের শান্ত রাখতে চাচ্ছে। তথ্যের লুকোচুরি করা হয়েছে। শাহ আবদুল হান্নানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জামায়াত-শিবিরের একটির অংশের কাছে বিপুল জনপ্রিয় মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেউ এই শাহ আবদুল হান্নান? তিনি তো দলের কেউ নন, তাহলে তিনি কেন এসব কথা বলছেন? সংস্কার হয়েছে, কি হয়নি, কী করা হচ্ছে, কিংবা হচ্ছে না এটা তো দলের হয়ে বলবেন শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। তিনি তো দলের কেউ নন।’ ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগের সমালোচনা করে শাহ আবদুল হান্নান যেসব তথ্য প্রচার করছেন তারও প্রতিবাদ জানান মঞ্জু। শিবিরের সাবেক সভাপতি জনকণ্ঠকে বলেন, ‘উনি সংস্কার হয়েছে বলে প্রচার করছেন। সংখ্যালঘু ও নারী সদস্য নিয়ে যেসব তথ্য দিচ্ছেন সেটা উনি পেলেন কোথায়? আমরা তো এসব কথা কোনদিন, শুনিনি।’ একাত্তরে ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া প্রাসঙ্গিক নয়-শাহ আবদুল হান্নানের এমন অবস্থানের কড়া সমালোচনা করে মঞ্জু বলেন, এই জামায়াত সেই জামায়াত নয় বলে হান্নান সাহেব যে তথ্য দিচ্ছেন তা ঠিক। এসব কথা তিনি পেলেন কোথায়? আমরা মনে করি একাত্তরের ভূমিকার দলের জন্য একটি বোঝা। কিন্তু শাহ হান্নানদের মতো কিছু ব্যক্তি ঠিক তথ্য দিচ্ছেন না। তারা একাত্তরকে ‘বোঝা’ মনে করছেন না, এটাই দলের ক্ষতির কারণ। মঞ্জু জনকণ্ঠকে বলেন, ‘সংস্কারের দাবি কিন্তু নতুন নয়। আমাদের সিনিয়র নেতারা বহু আগেই একথা বলেছেন। কিন্তু হয়নি। আমাকে বলা হলো আমি নাকি দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করছি। মেনে নিলাম শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য আমাকে বহিষ্কার করলেন। কিন্তু আমি যেটা বলেছি সেই সংস্কারের দাবি সঠিক কি না তার উত্তর কী? আমি মনে করি সংস্কারের দাবিতে দলে বিপুল জনসমর্থন আছে। সংস্কার দাবি কেবল তরুণদের নয়, এ আন্দোলনে ব্যাপক সমর্থন আছে নবীন-প্রবীণ দুপক্ষের নেতাকর্মী সমর্থকদেরও।
×