ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পেলের পেছনেই খুশি এমবাপে

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ৫ এপ্রিল ২০১৯

পেলের পেছনেই খুশি এমবাপে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করে ইতিহাস গড়েছিলেন পেলে। প্রথম টিনএজার হিসেবে স্বপ্নের বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করেছিলেন ১৭ বছরের এই তরুণ। এরপর ৬০ বছরের অপেক্ষা। আর কোন টিনএজার গোল পাননি ফাইনালে। দীর্ঘ সময় পর কিলিয়ান এমবাপে ভাঙ্গলেন সেই দেয়াল। রাশিয়া বিশ্বকাপেই পেলের ক্লাবে প্রবেশ করলেন কিলিয়ান এমবাপে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের ৬৫ মিনিটে গোল করেছিলেন এমবাপে। ২৫ গজ দূর থেকে তার নেয়া শট ফেরাতে পারেননি ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক সুবাসিচ। তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার এমবাপের গোলেই জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। বিশ্বকাপের দীর্ঘদিন পর পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করা সেই রেকর্ড নিয়ে কথা বললেন এমবাপে। জানালেন, পেলের পেছনে থাকলেও তাতে কোন সমস্যা নেই তার। বরং এটাতেও সন্তুষ্ট ১৯ বছর বয়সী কিলিয়ান এমবাপে। এ প্রসঙ্গে পিএসজির ফরাসী স্ট্রাইকার বলেন, ‘রেকর্ডে আমি তার পেছনে। এটা আমার কাছে মোটেও কোন সমস্যা নয়। বরং আমি তাতেই সুখী। সত্যি কথা বলতে এটা ছিল চমৎকার এক কীর্তি। ফাইনালের আগেই জেনেছিলাম আমার এমন একটা রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত সেটা করতে পেরেছিলাম। এবং তার (পেলের) রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলাম। ফ্রান্সের জাতীয় দলের জার্সিতে আমরা অনেক কিছুই করে দেখিয়েছি। আমরা এটা দেশের জন্যই করেছি। এরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই হতে পারে না। এটা আমি সবসময়ই বলি। মাঠে আমার জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা করতে পেরেছি। আমার কাছে এটা ছিল অনেক বড় স্বপ্ন।’ ২০১৮ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টের উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবেও পুরস্কার জিতেছিলেন এমবাপে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে দুটি গোল করেছিলেন পেলে। সেই সময়ে তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৬ মাস। আর রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করানোর সময় এমবাপের বয়স ছিল ১৯ বছর ৮ মাস। পেলে নিজের প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিলেন টিনএজার হিসেবে। এবার এমবাপে টিনএজার হয়েই শিরোপায় চুমু খেলেন। তবে ফুটবল কিংবদন্তি পেলে বলেছেন কিলিয়ান এমবাপে তার ক্যারিয়ারে এক হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারবেন। ৭৮ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার পেলে জানান তিনি নিজেও সবমিলিয়ে হাজারখানেকেরও বেশি গোল করেছিলেন। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত এমবাপের গোলসংখ্যা ১০৩। যার মধ্যে ৯২টি শীর্ষ পর্যায়ে। এমবাপের সঙ্গে প্যারিসের এক অনুষ্ঠানে সাক্ষাতের পর পেলে এই কথাগুলো বলেন। পেলে বলেন, ‘এটা অবশ্যই সম্ভব। আমি ক্যারিয়ারে ১০২৫টি গোল করেছি। সে কারণেই তার পক্ষেও এটা সম্ভব।’ তবে পেলের জবাবে এমবাপে বলেন, ‘আমি মনে করি শহরের অলি গলিতে কিংবা প্লে স্টেশনেও যদি আমি গোলের সংখ্যা গুনি তাহলেও এক হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করা সম্ভব না। তবে এর যত কাছাকাছি যাওয়া যায় সেই চেষ্টা সবসময়ই করব। ক্যারিয়ারের এখনও অনেক লম্বা সময় বাকি। পুরো সময়টা নিজেকে ধরে রাখতে চাই। ফুটবলে একজন ‘রাজা’ আছেন যিনি এখন এখানে। আমি শুধু কিলিয়ান, ক্লাব ও জাতীয় দলকে সহযোগিতা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকি। এখানে তুলিনার কিছু নেই। সে যা করেছে তা আমি কোনদিনই করতে পারব না, এটা আমি বেশ ভালভাবেই জানি। পেলে যখন খেলতেন তখন তিনি চিন্তা করেননি একদিন ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে দেখবেন। তিনি শুধু ফুটবলকে উপভোগ করতে চেয়েছেন, দেশ ও ক্লাবের হয়ে সেরাটা দিতে চেয়েছেন। আমারও লক্ষ্য তাই। এখানে সেরা বলে কিছু নেই। যে দলের হয়ে যখন খেলব নিজের পারফর্মেন্স দিয়ে সেই দলকে সহযোগিতা করব।’
×