ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়ার ক্রিকেটে শীর্ষেই আবাহনী

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ৫ এপ্রিল ২০১৯

প্রিমিয়ার ক্রিকেটে শীর্ষেই আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের নবম রাউন্ডের খেলায় প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আবাহনী লিমিটেড। জহুরুল ইসলাম অমির (৯১*) দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে এই জয় পায় আবাহনী। জয়ের ধারাবাহিকতা ভালই ধরে রেখেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দলটি বৃহস্পতিবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টানা ছয় জয় তুলে নিয়েছে। দিনের আরেক ম্যাচে উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩৯ রানে হারিয়ে দেয় খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি। আবাহনী-দোলেশ্বর ম্যাচ, মিরপুর ॥ আগে ব্যাট করে প্রাইম দোলেশ্বর খুব বেশি রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারেনি। ৯ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২২৪ রান করে। ফরহাদ হোসেন ৪৭, তাইবুর রহমান ৪১ ও মার্শাল আইয়ুব ৪০ রান করেন। সৌম্য সরকারের (৪/৩৪) অসাধারণ বোলিংয়ে বড় স্কোর গড়া সম্ভব হয়নি। আবাহনীও খানিক বিপদে পড়ে যায়। ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর যখনই বড় স্কোর গড়ার সম্ভাবনা জাগে উইকেট হারায় আবাহনী। ১৩৫ রানে গিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। তবে ওপেনার জহুরুল ইসলাম ঠিকই ব্যাট হাতে অবিচল থাকেন। ষষ্ঠ উইকেট পড়ার পর ব্যাট হাতে নামেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জহুরুল-সাইফউদ্দিনের জুটিটি শেষ পর্যন্ত জমে ওঠে। এই জুটিকে থামানো যায়নি। দুইজন মিলে সপ্তম উইকেটে ৯২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ফেলেন। ম্যাচ জিতিয়েও বের হন। জহুরুল ১২৭ বলে ১০ চারে অপরাজিত ৯১ রান করেন। আর ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তবে সাইফউদ্দিনও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন। ৬৯ বলে ৭ চারে অপরাজিত ৫৫ রান করেন। দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ানের অসাধারণ ব্যাটিংয়েই ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৮.৫ ওভারে ৭ বল বাকি থাকতে ২২৭ রান করে জিতে আবাহনী। মোহাম্মদ মিঠুন করেন ৪০ রান। এই জয় পেয়ে ৯ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রাখে আবাহনী। স্কোর ॥ দোলেশ্বর ইনিংস- ২২৪/৯; ৫০ ওভার (ফরহাদ ৪৭, তাইবুর ৪১, মার্শাল ৪০; সৌম্য ৪/৩৪, মাশরাফি ২/৪৮)। আবাহনী ইনিংস- ২২৭/৬; ৪৮.৫ ওভার (জহুরুল ৯১*, সাইফউদ্দিন ৫৫*, মিঠুন ৪০, সাব্বির ২৪; রাহী ২/৪৭)। ফল ॥ আবাহনী ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ জহুরুল ইসলাম অমি (আবাহনী)। রূপগঞ্জ-শেখ জামাল ম্যাচ, বিকেএসপি ॥ শেখ জামাল আগে ব্যাটিং করে যে রান করেছে তাতে রূপগঞ্জের জয় যেন শুরুতেই দেখা হয়ে যায়। শেখ জামালের ইনিংস যখন ৪৩.২ ওভারে ১৪১ রান করতেই দম ফুরায়, তখনই রূপগঞ্জের জয়ের সম্ভাবনা জেগে যায়। তানভির হায়দার ৩৫ রান করতে পারেন। নাবিল সামাদ ও মুক্তার আলী ৩ উইকেট করে নেন। জবাব দিতে নেমে মোহাম্মদ নাঈমের ৬৩ ও মুমিনুল হকের অপরাজিত ৬০ রানে ২৮.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করে জিতে যায় রূপগঞ্জ। এই জয় পেয়ে রূপগঞ্জ পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখে। আবাহনীর সমান ১৬ পয়েন্টই পেয়েছে রূপগঞ্জ। তবে রানরেটে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকে রূপগঞ্জ। স্কোর ॥ শেখ জামাল ইনিংস- ১৪১/১০; ৪৩.২ ওভার (তানভির ৩৫, ফারদিন ২৮, সোহান ২৫; নাবিল ৩/৩০, মুক্তার ৩/৩৩)। রূপগঞ্জ ইনিংস- ১৪৫/২; ২৮.৪ ওভার (নাঈম ৬৩, মুমিনুল ৬০*)। ফল ॥ রূপগঞ্জ ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাবিল সামাদ (রূপগঞ্জ)। খেলাঘর-উত্তরা ম্যাচ, ফতুল্লা ॥ পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা দুই দল খেলাঘর ও উত্তরা এসসি। দুই দুর্বল দলের লড়াই জমজমাট হওয়ারই কথা। হয়েছেও। কিন্তু আগে ব্যাটিং করে যে মাহিদুল ইসলাম অংকনের অপরাজিত ৭৭, শাহরিয়ার কোমলের ৫৬ ও অমিত মজুমদারের ৪১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৫৭ রান করে খেলাঘর, সেখানেই এগিয়ে যায় দলটি। বড় স্কোর গড়ায় জয়ও মিলে। এই স্কোর অতিক্রম করতে গিয়ে উত্তরা এসসিও ভালই জবাব দেয়। কিন্তু ২ উইকেট করে নেয়া রবিউল হক, রবিউল ইসলাম ও তানভির ইসলামের বোলিং নৈপুণ্যের সামনে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২১৮ রানের বেশি করতে পারেনি উত্তরা এসসি। তবে মহিমেনুল খান ৯৩ রান করতে সক্ষম হন। ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় তার। স্কোর ॥ খেলাঘর ইনিংস- ২৫৭/৪; ৫০ ওভার (অংকন ৭৭*, কোমল ৫৬, অমিত ৪১, রবিউল ৩৮, মইনুল ২৩*; মহিমেনুল ২/৪০)। উত্তরা এসসি ইনিংস- ২১৮/৮; ৫০ ওভার (মহিমেনুল ৯৩, মিনহাজুল ৩৭; রবিউল ২/১৮)। ফল ॥ খেলাঘর ৩৯ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মাহিদুল ইসলাম অংকন (খেলাঘর)।
×