ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বোয়ালমারীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ৫ এপ্রিল ২০১৯

বোয়ালমারীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

সংবাদদাতা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর, ৪ এপ্রিল ॥ বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় এলাকায় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেন বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় অতিরিক্ত টহল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জানা যায়, ওই গ্রামে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি গ্রুপ রয়েছে। এক গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল মাতুব্বর এবং অন্য গ্রুপে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও চতুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাজিম উদ্দিন। গত ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নাজিম উদ্দিন ছিলেন আওয়ামী লীগ দলের মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেনের পক্ষে। অপরদিকে জামাল মাতুব্বর গ্রুপ স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের লিটন মৃধার সমর্থক ছিলেন। ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় নাজিম উদ্দিন গ্রুপের আক্কেলের সঙ্গে প্রতিপক্ষ গ্রুপের নিহত দেলোয়ার মাতব্বরের কথা কাটাকাটির জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে ওইদিন রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে নাজিম উদ্দিন গ্রুপ লাঠিসোঁটা, লোহার রড রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে জামাল মাতুব্বরের চাচাত ভাই দেলোয়ার মাতুব্বর (৪০) নিহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে জামাল মাতুব্বর গ্রুপের ২০-২৫টি বাড়ি ভাংচুর এবং বাড়িঘরে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। উভয় গ্রুপের তিন নারীসহ প্রায় ১০ ব্যক্তি আহত অবস্থায় বোয়ালমারী ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সময় জামাল মাতুব্বর গ্রুপের সমর্থকদের বাড়ির বেশ কিছু পল্লী বিদ্যুতের মিটার ভাংচুর করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবক স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, সরাইলে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় রোকন মিয়া (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বড়ইছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রোকন ওই গ্রামের সাদত আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিক উদ্দিন ঠাকুরের সমর্থক বড়ইছড়া গ্রামের আহসান উল্লার সঙ্গে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমানের সমর্থক ফারুক মিয়ার লোকজনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বাগ্বিত-া হয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক রোকন মিয়া গুরুতর আহত হয়। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাতক্ষীরায় আহত ৪ স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা থেকে জানান, সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় একজন ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। আহতরা হলেন, জালালাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম, তার ভাই আবু রায়হানসহ ৪ জন। আহতদের মধ্যে আবুল কালামের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আবুল কালাম জানান, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও পরাজিত প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে তিনি ও তার ভাই সেখানে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেন।
×