ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মূল : মার্টিন চুলভ;###;রূপান্তর : এনামুল হক

আইসিস খিলাফতের উত্থান ও পতন

প্রকাশিত: ০৮:২১, ৫ এপ্রিল ২০১৯

আইসিস খিলাফতের উত্থান ও পতন

[ইসলামিক স্টেট বা আইএস এই কিছুদিন আগেও ছিল এক ভয়াল নাম, এক আতঙ্কের নাম। খিলাফত ঘোষণা ও মধ্যপ্রাচ্যের বড় এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আইএস গোটা অঞ্চলে কম্পন সৃষ্টি করেছিল। এদের নিষ্ঠুরতা ও হিংস্রতার কাহিনী শুনে মানুষ শিহরিত হতো। সেই আইএসের অবশেষে পতন ঘটেছে। শেষ ঘাঁটি ধ্বংস হওয়ার মধ্য দিয়ে এদের বিলুপ্তি ঘটেছে। কিন্তু সত্যিই কি আইএস একেবারে মুছে গেল? আইসিস খিলাফতের উত্থান ও পতনের বিবরণ দিতে গিয়ে ‘গার্ডিয়ান’ পত্রিকার মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা সেই আশঙ্কার কথাও বলেছেন। এখানে সে বিবরণই তুলে ধরা হলো।] প্রায় চার বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল তল্লাটজুড়ে ত্রাস সৃষ্টিকারী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) চূড়ান্ত পতন ঘটেছে। মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সিরীয় যোদ্ধারা গত ২৩ মার্চ ইরাক-সিরিয়া সীমান্তের কাছে ক্ষুদ্র শহর বাগুজে আইএসের শেষ ঘাঁটিটির পতন ঘটিয়ে এই সন্ত্রাসী সংগঠনের চূড়ান্ত পরাজয় ঘোষণা করে। কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচ- লড়াইয়ের পর বাগুজে আইএস বা আইসিসের তাঁবু শিবির ধুলোয় মিশে যায়। ভূ-গর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলো বোমা ও গোলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। সেখানে শেষ আশ্রয় নেয়া শত শত আইসিস যোদ্ধা বেরিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করে। অনেকে আবার আত্মসমর্পণের চাইতে লড়তে লড়তে মৃত্যুবরণকেই বেছে নেয়। আইএস বা আইসিসের পতন ঘটেছে সত্য। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে, আইসিস কি সত্যিই শেষ হয়ে গেল। সত্যই কি বিশ্বের বুক থেকে অবলুপ্তি ঘটল এই ভয়াল সন্ত্রাসী সংগঠন ও স্বঘোষিত রাষ্ট্রটির? নাকি তারা আবার ফিরে আসবে আতঙ্কিত জনপদে? অথচ বছর দুয়েক আগেও আইসিস ও তাদের খিলাফত ইরাক ও সিরিয়ার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা দখল করে রেখেছিল। এদের ঘোষিত ইসলামিক স্টেট সারাবিশ্বের জিহাদীদের চুম্বকের মতো আকর্ষিত করত। মাত্র দু’বছরের মধ্যে সেটি ধূলিসাত হয়ে গেল কেন? অধিক শক্তিশালী শত্রুপক্ষের আক্রমণ তো ছিলই, তাছাড়া তাদের পতনের পেছনে কাজ করেছে ভ্রান্ত নীতি ও কৌশল, অন্তর্কলহ, ঈর্ষা, বিদ্বেষ, আত্মম্ভরিতা ও বিকারগ্রস্ততা। শেষ দিনগুলো : সাড়ে চার বছর আগে আইসিস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদী খিলাফত ঘোষণা করার সময় তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা বেশ সুবিস্তৃত ছিল। কালক্রমে সে আয়তন বেড়ে ইরাক ও সিরিয়ার এক-তৃতীয়াংশের সমান হয়ে দাঁড়ায়। তারপর ইরাকী ও কুর্দী বাহিনী এবং অন্যান্য শক্তির পাল্টা আক্রমণের মুখে সেই আয়তন ক্রমাগত সঙ্কুচিত হতে হতে গত বছরের শেষদিকে ৫০ বর্গমাইলেরও কমে নেমে আসে এবং তা আরও সঙ্কুচিত হতে থাকে। চলতি জানুয়ারির প্রথম দিকে আইসিস নিয়ন্ত্রিত এলাকাটি ছিল আলবু কামালের কাছাকাছি। এলাকাটি পশ্চিম দিকে সিরিয়ার সরকারী বাহিনী ও পূর্বদিকে কুর্দী বাহিনীর দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল। বিশ্বে আজ যে মানুষটিকে সব থেকে হন্যে হয়ে খোঁজা হচ্ছে সেই বাগদাদী জানুয়ারি প্রথম দিকের এক মধ্যরাতে সিরিয়া সীমান্তের কাছে ক্ষুদে শহর বাগুজের এক ঘাঁটিতে, বলা যেতে পারে তাদের শেষ ঘাঁটিতে নিজের অতি বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত কয়েক ডজন সহচরের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন। কয়েকটি গ্রাম দূরে কুর্দী বাহিনী আইএসের এই শেষ ঘাঁটিতে চূড়ান্ত আঘাত হানার জন্য অবস্থান নিচ্ছিল। ছোট্ট একটি ঘরের ভেতরে বাগদাদী অসুস্থ, ক্রুদ্ধ ও হতবিহ্বল, বিভ্রান্তি অবস্থায় ছিলেন। তার সামনে ছিল নিজ কর্তৃত্বের প্রতি এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বাগুজ নামে সেই ছোট শহরটিতে আইসিস চূড়ান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় এবং সেখানেই তার খিলাফতের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে। তবে জানা যায় যে- ওখানেই বাগদাদীর অন্তর্মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বিদেশী যোদ্ধারা তাকে হত্যা করতে প্রায় সফল হয়েছিল। ঐ ছোট্ট ঘরের ভিতর বেশ কয়েকজন যোদ্ধা গুলি চালানো শুরু করলে বাগদাদী ও তার দেহরক্ষীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বাগদাদী বাগুজ থেকে ৭ জানুয়ারির দিকে সিরীয় মরুভূমিতে পালিয়ে যান। তার একান্ত ঘনিষ্ঠ মহলের বাইরে খুব অল্প ক’জনই সেখানে তাঁর অবস্থানের কথা জানত এবং সেখান থেকে তিনি কোথায় গেছেন তাও জানে আরও সামান্য ক’জন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইরাকের আনবার প্রদেশে চলে গেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে এই আনবার প্রদেশেই আইসিস প্রথমদিকে তার শক্তি গড়ে তুলেছিল। বাঘুজের সেই ছোট ঘরটিতে গুলিবর্ষণ শুরু হবার পর আর কি ঘটেছিল তা জানা যায়নি। তবে পরে আইসিস সদস্যদের এক প্রচারপত্রে আবু মুয়াল আল জাজাইবি নামক এক শীর্ষস্থানীয় বিদেশীকে দেখামাত্র হত্যার আহ্বান জানানো হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে ঐ শহর থেকে পালিয়ে যাওয়া স্থানীয় লোকজন জানায় যে স্পষ্টতই মারাত্মক একটা কিছু ঘটেছিল। বাগদাদীর লোকেরা উত্তর আফ্রিকানদের সঙ্গে লড়ছিল। অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, লড়াইটা বেশ কয়েক মাস আগে কেশমা নামক শহরে শুরু হয়েছিল। আইসিসের উপদলগুলোর মধ্যে লড়াই চলছিল। এসব উপদলে অনেক তিউনিসীয় ও রুশ ছিল। দু’জন শেখও ছিল যাদেরকে নির্যাতন ও পরে হত্যা করা হয়। এদের একজন জর্দানের অন্যজন ইয়েমেনের। আইসিস তাদের সমালোচনাকারী যে কাউকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছিল। বাগদাদী আইসিসের অস্তিত্ব ঘোষণা করার পর থেকে ধ্বংস ও সংহার ছিল এই সংগঠনের অনুসৃত কৌশল। তাদের দখল করা প্রায় প্রতিটি শহর ও নগর ধ্বংস হয়েছে। হয় তাদের হাতে হয়েছে নয়ত কোয়ালিশনের বোমাবর্ষণে হয়েছে। এভাবে সিরিয়ায় রাকা ও ফোবেন এবং ইরাকের ফালুজা, তিকরিত, রামাদি ও মসুল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আইসিস বিতাড়িত হবার পর বছর বছর ধরে এগুলো অকার্যকর অবস্থায় আছে। আইসিসের দখলদারীর সময় স্থানীয় সমাজের যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে সেটা আরও বেশি ভয়াবহ তবে তা দৃশ্যমান কম। উত্থান ও সম্প্রসারণ : বাগদাদী ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল আইসিস গঠনের ঘোষণা দেন। তিনি একতরফাভাবে এও ঘোষণা করেন যে, আল কায়েদার মিত্র সংগঠন জাবহাত আল নুসরাকে তাঁর নেতৃত্বাধীন সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই দিন থেকে শুরু করে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি মসুলের আল নুরী মসজিদ থেকে খিলাফত ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত তার সংগঠনের উত্থান ও বিস্তার ছিল অপ্রতিরোধ্য। আইসিস পৌরাণিক কাহিনী ট্রয়ের ঘোড়ার মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে। প্রথমে ইরাক থেকে সংগঠনের সিনিয়র সদস্যদের ইরাকের উত্তরাঞ্চলে পাঠানো হয়। তারা সেই সমাজগুলোর ভেতর অনুপ্রবেশ করে সেগুলোকে আত্মভূত করে ফেলে। প্রতিদ্বন্দ্বী জিহাদী সংগঠন জাবহাত আল নুসরা ছিল আইসিসের প্রথম টার্গেট। তারপর সে গ্রুপই তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাকেই টার্গেট করেছে। সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে ইরাকের মসুল পর্যন্ত আইসিস একের পর এক এলাকা, শহর, নগর দখল করে নেয়। ৭শ’ জিহাদী পিকআপ ট্রাকে করে মসুলের দিকে অগ্রসর হলে ইরাকের সেনাবাহিনীর ৫ ডিভিশন সৈন্য প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়। সিরিয়ার সঙ্গে ইরাকের সীমান্ত অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। ত্রয়োদশ শতকে মোঙ্গলরা যেমন আজকের ইরাক ও সিরিয়ার নগরীগুলো দখল করে ভয়ঙ্কর ত্রাস সৃষ্টি করেছিল তেমনই ত্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়ায় আইসিস। আইসিস যোদ্ধারা আসছে এই খবরই এমন আতঙ্ক সৃষ্টি করে যে হাজার হাজার সৈন্য ইউনিফর্ম ও অস্ত্র ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল। ওদিকে কুর্দী বাহিনী ও কিরকুকের তেলখনি দখলে অচিরেই আইসিসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। আইসিস তখন নজর দেয় কুর্দী রাজধানী ইরবিল দখলের জন্য। সে যাত্রায় মার্কিন বিমান হামলার কারণে ইরবিল রক্ষা পেয়ে যায়। আইসিস ইরবিল দখল করে নিতে পারলে ইরাকের উত্তরাঞ্চলের ভাগ্য অন্যরকম হয়ে যেতে পারত। আইসিসের দখলাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন ইরাকের এলাকাগুলোতে ব্যাংক লুট ও পরিত্যক্ত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ভারি অস্ত্রশস্ত্র ওদের দখলে চলে গিয়েছিল। এই অঞ্চলে নতুন গড়ে ওঠা জিহাদী সংগঠনগুলোর মধ্যে ওদের মতো এত বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ও রসদ সরবরাহের অধিকারী আর কেউই ছিল না। আইসিস তেল কূপগুলো দখল ও পরিচালনা করে, কূপ থেকে তেল উঠিয়ে দামেস্ক ও তুরস্কের কাছে বিক্রি করে এবং কর বসাতে ও আদায় করতে শুরু করে। মসুলে বাগদাদীর আবির্ভাবের কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশী যোদ্ধারা তথাকথিত খিলাফতের পক্ষে লড়াই করার জন্য ছুটে আসে। প্রায় ৫০ হাজার যোদ্ধার আগমন ঘটে ঐ অঞ্চলে। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে ২০১৪ সালের শেষদিকে প্রাচীন সভ্যতার সূতিকাগার ও সহাবস্থানের আধুনিক দৃষ্টান্ত হিসেবে খ্যাত ইরাকের নিনেভে সমতলভূমি থেকে তুর্কমেন, খ্রীস্টান, শাবাক, ইয়াজিদীরা প্রাণের ভয়ে সবাই পালিয়ে যাওয়ায় এলাকাটি খালি হয়ে যায়। এলাকার সম্প্রসারণ ঘটাতে গিয়ে আইসিস বাড়াবাড়ি করে ফেলে। দরকার নেই এমন জায়গায়ও হাত বাড়িয়ে বসে। ২০১৪ সালের শেষদিকে সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে অবস্থিত কুর্দী শহর কোবেনে ঢুকে পড়া এমনি এক দৃষ্টান্ত। স্ট্র্যাটেজি হিসেবে যতটা নয়, তার চেয়ে বেশি শক্তি প্রদর্শন হিসেবে আইসিস ঐ এলাকাটি নিয়ন্ত্রণের জন্য হাজার হাজার যোদ্ধা পাঠায়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র জেট জঙ্গী বিমানের হামলা চালিয়ে কুর্দীদের শহরটি রক্ষা করে। যতবারই তারা যোদ্ধা পাঠিয়েছে ততবারই তাদের লোকক্ষয় হয়েছে, লাভের লাভ কিছু হয়নি। একবার ৩০ জন তিউনিসীয়কে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা কোবেনে পৌঁছতে পারার আগে সবাই নিহত হয়। আইসিস দেড় হাজারেরও বেশি যোদ্ধাকে কোবেনে হারিয়েছিল। বাহ্যত কোন লাভ হয়নি। জনৈক ব্রিটিশ সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞের মতে কোবেন দখলের চেষ্টার মধ্য দিয়ে আইসিস আমেরিকাসহ অন্যান্য পশ্চিমী দেশকে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিল যে তারা কঠিন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত যদিও শেষপর্যন্ত ওসব অভিযান লোকবল ও সম্পদের অতিমাত্রায় অপচয় আর কিছুই ছিল না। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে আইসিস নিজ অবস্থান সুদৃঢ় রাখতে ব্যাহত সক্ষম হয়। তুরস্ক ধীরে ধীরে তার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে বিদেশীদের প্রবাহ ঠেকায়। কিন্তু ইতোমধ্যেই বিপুলসংখ্যক বিদেশীযোদ্ধা সেখানে পৌঁছে গিয়ে মস্ত সমস্যা তৈরি করে। অচিরেই হত্যার ভয়াবহ ও লোমহর্ষক সব ঘটনা ক্যামেরায় ধারণ করে সেসব ছবি ব্যাপক পরিসরে বিতরণ করা হতে থাকে। এর উদ্দেশ্য ছিল ভয়ঙ্কর ভীতি ও আতঙ্ক সঞ্চার করা এবং তাতে কাজও হয়েছিল। উচ্চমাত্রার আতঙ্ক আইসিসের প্রচারণার প্রধান উপাদানে পরিণত হয়। আতঙ্কের দৃশ্যগুলোর সব ছবিই ধারণ ও প্রচার করেছিল বিদেশীরা। এদের মধ্যে ছিল চারজন ব্রিটেনের একটি গ্রুপ। এরা বন্দীদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করত। কয়েকজনের শিরñেদই করেছিল এবং সেসব দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেছিল। ২০১৫ সালের শেষ দিকে আত্মঘাতী বোমাবাজরা প্যারিসে হামলা চালায়। হামলা হয় ব্রাসেলস বিমানবন্দর, ম্যাঞ্চেস্টারে পপ কনসার্টে, লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টারে ও বায়ো মার্কেটে। খিলাফতের অপ্রতিরোধ্য শক্তি বৃদ্ধিতে ভাটার টান শুরু হয় ২০১৬ সালে যখন আইসিস নিয়ন্ত্রিত ভূ-খ- পুনর্দখলের লড়াই জোরদার হয়ে ওঠে। মসুলের মতো স্থানগুলোতে আইসিস চাপের মুখে পিছু হটতে শুরু করে। সংগঠনের স্ট্যাটেজিতে পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। গুরুত্বেও পরিবর্তন আসে। এরপর থেকে ভ-ূখ-ের ওপর আইসিসের নিয়ন্ত্রণ হারানো ত্বরান্বিত হয় এবং এর আবেদনও ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। চলবে...
×