স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ পরিচালনা কমিটির সভাপতি না করায় স্কুল কক্ষে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যানের পুত্র ও ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, হামলার সময় উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম নিজেও উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও জানান, ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম বর্তমানে কাগজকলমে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক। তিনি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করলেও কোন দায়িত্ব পালন করছেন না। তিনি মাসের শেষে স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় এক সঙ্গে এক মাসের স্বাক্ষর করে যান। প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন, পূর্বের ন্যায় মঙ্গলবার বেলা বারোটার দিকে এক মাসের হাজিরা দিতে আসেন ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম। তিনি খাতায় স্বাক্ষর করে তার ছোট ভাই রাসেল মুন্সীর স্ত্রীকে বিদ্যালয়ের ক্লার্ক পদে ও আরেক ভাইয়ের ছেলেকে বিদ্যালয়ের পিয়ন পদে জরুরী ভিত্তিতে নিয়োগ দেবার দাবি তোলেন। এ ব্যাপারে আইনের বাধ্যবাধকতার কথা বললে রেহানা বেগম প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন ভাইস চেয়ারম্যানের পুত্র রিদয়, তার ভাই মনির মুন্সী ও তার সহযোগী যুবলীগ নেতা খোকন দিদার। তারা রেহানাকে কেন কমিটির সভাপতি করা হবে না এমন কথা বলেই প্রধান শিক্ষককে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে কক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের মাঠে বের করেও মারধর করা হয়। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষক সমিতিকে অবহিত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
তিনি ব্যস্ততার কারণে ওই পদ থেকে সরে যান। পরে তার পরামর্শে একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমকে। এডহক কমিটির সভাপতি হতে চেয়েছিলেন উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম। তা না হতে পেরে তিনি প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হন।