ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

বান্দরবানে ৭ খুনের আসামি র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত

প্রকাশিত: ১১:২৯, ৪ এপ্রিল ২০১৯

বান্দরবানে ৭ খুনের আসামি র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ৩ এপ্রিল ॥ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি সীমান্তে তুলাতলিতে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির নির্বাচনোত্তর ৭ হত্যাকা-ে জড়িত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একজন নিহত হয়েছে। নিহতের নাম জ্ঞান শংকর চাকমা। তার বাড়ি রাঙামাটি জেলার পৌর এলাকার জেল রোডে। রাঙামাটিসহ অপর পার্বত্য জেলায় চাঁদা আদায়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল সে। এ সময় ৭ অত্যাধুনিক এসএমজি, ৪৩৭ গুলি ও এগারোটি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করে র‌্যাব-৭। র‌্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনশেষে উপজেলা সদরে আসার পথে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ ৭জন প্রাণ হারান এবং ১৯জন আহত হন। তাদের অনেকে এখনও সিএমএইচ ও চমেকে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার অন্যতম আসামি জ্ঞান শংকর চাকমা ঘটনার পর জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আত্মগোপন করে । জানা গেছে, র‌্যাবের গোয়েন্দারা জানতে পারে সন্ত্রাসী হামলায় অংশগ্রহণকারীর কয়েকজন পার্বত্য জেলায় ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র ক্রয় করে পুনরায় বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে এ সংবাদ জানার পর যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সীমান্তের বিভিন্নস্থানে ফাঁদ পাতে। বুধবার দুপুরে সশস্ত্র দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করলে র‌্যাবের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহত ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের উপ-অধিনায়ক শাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, জ্ঞান শংকর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের সক্রিয় একটি সশস্ত্র সংগঠনের দুর্র্ধর্ষ সন্ত্রাসী এবং রাঙামাটির প্রধান চাঁদা সংগ্রহণকারী। আরও জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলার রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় পাহাড়ের বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ অপরাধ সংঘটিত করে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বান্দরবানের রুমা, থানচিসহ বিভিন্ন উপজেলায় আশ্রয় গ্রহণ করে। অন্যদিকে জেলার রুমা ও থানচি উপজেলা সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ আরকান আর্মি (এএ) এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের রোহিঙ্গা জঙ্গী সংগঠন আরসা ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) থেকে পার্বত্য জেলার সশস্ত্র গ্রুপগুলো অস্ত্র কিনে আধিপত্য বিস্তারে এবং পার্বত্য জেলা অস্থিতিশীল করার জন্য একের পর এক হত্যাকা-ে লিপ্ত হয়ে পাহাড়ে বসবাসরতদের জীবন করে তুলছে দুর্বিসহ। এতে পর্যটনসহ বিভিন্ন ব্যবসায় নেমে এসেছে অস্থিরতা। প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও সংশ্লিষ্টরা ফেরার পথে বাঘাইছড়ির সাড়ে এগারো কিলোমিটার এলাকার বটতলায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ ৭ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়।
×