ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রিয়াদের তিনজাতি সিরিজ খেলা অনিশ্চিত!

প্রকাশিত: ১২:০৫, ৩ এপ্রিল ২০১৯

রিয়াদের তিনজাতি সিরিজ খেলা অনিশ্চিত!

মিথুন আশরাফ ॥ ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও অনেক সময় বাকি আছে। প্রায় দুই মাস বাকি। গুরুতর কাঁধে চোট পাওয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিশ্বকাপ খেলার ভাগ্য নির্ধারণ হতেও তাই সময় পাওয়া যাচ্ছে। যদি অস্ত্রোপচার করা না লাগে তাহলে বিশ্বকাপ খেলা সম্ভব। কিন্তু অস্ত্রোপচার করা লাগলে বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না রিয়াদ। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় তিনজাতি সিরিজ শুরু হতে খুব বেশি সময় নেই। এক মাস বাকি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ডাইভ দিতে গিয়ে কাঁধে চোট পাওয়া রিয়াদের তিনজাতি সিরিজে খেলা তাই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে! শুরুতে দুই সপ্তাহের বিশ্রামে থাকতে হবে রিয়াদকে। এই সময়ের মধ্যে কিছুই করতে পারবেন না। দুই সপ্তাহ পর তাকে চিকিৎসকরা দেখবেন। বুঝবেন তার অবস্থা। এরপর রিয়াদ ধীরে ধীরে ব্যাট হাতে নিতে পারবেন। সবমিলিয়ে তিন সপ্তাহ বা এক মাসের সময় লাগবে। তা যদি লাগে তাহলে ১৮ এপ্রিল যে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হবে, সেই দলে কী থাকবেন রিয়াদ? সেই প্রশ্নও উঠছে। সেই দলে রাখা হলে বিশ্বকাপে খেলবেন তা ধরে নেয়া হবে। তিনজাতি সিরিজে বিশ্বকাপের দলটিই খেলবে। কিন্তু এক মাস যদি পুরোদমে ব্যাটিং করতেই লেগে যায় তাহলে তিনজাতি সিরিজে রিয়াদকে নাও খেলানো হতে পারে। ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। সেই প্রস্তুতিতেও রিয়াদকে নাও দেখা যেতে পারে। ১ মে আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল। সেই দলের সঙ্গে রিয়াদকে নেয়া হলেও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া এবং ফিট হওয়ার জন্যই রিয়াদকে রাখা হবে। এখন সবকিছুই নির্ভর করছে আসলে রিয়াদের ফিট হতে কত সময় লাগে সেটির ওপর। কাঁধে ব্যথা নিয়ে আবার খেলাও যায়। আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি সিরিজে সেই ঝুঁকি না নিলেও বিশ্বকাপে রিয়াদ তা করতেও পারেন। বিশ্বকাপ খেলতেও পারেন। তবে তিনজাতি সিরিজে রিয়াদের খেলা কঠিনই বলা চলে। বিশ্বকাপ নিয়েও আছে শঙ্কা। যদি কোনভাবে রিয়াদের অস্ত্রোপচারে যেতে হয় তাহলে বিশ্বকাপ খেলা হবে না। অস্ত্রোপচার হলে ৬ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী যা বলেছেন তাতে তিনজাতি সিরিজে রিয়াদের খেলা নিয়ে সংশয়ই দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘মাহমুদুল্লাহ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে কি না এটা অনেক পরের কথা। কেননা বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও অনেকদিন বাকি। আমাদের আগে ভাবা উচিত সে আয়ারল্যান্ড সিরিজটি খেলতে পারবে কি না। তবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা তাকে দুই সপ্তাহের পূর্ণ বিশ্রাম দিয়েছি। এর মধ্যে সে ব্যাটিংও করতে পারবে না।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘ওর রিপোর্ট আমরা গতকালই (সোমবার) হাতে পেয়েছি। কিন্তু এখনও সেটা নিয়ে বসতে পারিনি। খুব শীঘ্রই বসবো। ওর বিশ্রাম শেষে আমরা সার্বিক অবস্থা দেখব। তারপর টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হবে। এরপর সিদ্ধান্ত যা দেয়ার নির্বাচকরাই দেবে।’ রিয়াদের ইনজুরি গুরুতর। তা দেবাশীষের কথাতেই স্পষ্ট। সঙ্গে এটাও স্পষ্ট, এমন ইনজুরি নিয়ে ক্রিকেটাররা ম্যাচ খেলে ফেলেন। কিন্তু অস্ত্রোপচার করা লাগলে বিশ্বকাপই খেলতে পারবেন না। দেবাশীষ বলেছেন, ‘এরকম ইনজুরি নিয়ে অনেকেই ক্রিকেট খেলছে। দেখা যাক কি হয়।’ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে সুপার লীগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জার্সি গায়ে রিয়াদের খেলার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। কাঁধের ইনজুরিতে যে রিয়াদকে বিশ্রামে থাকতে হচ্ছে দুই সপ্তাহ। ৫ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া তিনজাতি সিরিজ খেলাও অনিশ্চিত। তিনজাতি সিরিজে ৭ মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ৯ মে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৩ ও ১৫ মে যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচগুলোতে দর্শক হয়েই থাকতে পারেন রিয়াদ। অস্ত্রোপচার হলে বিশ্বকাপ খেলাও হবে না। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কি আছে রিয়াদের ভাগ্যে।
×