আজকাল মায়েদের কাছে ডায়পার এর জনপ্রিয়তা এবং এর চাহিদা ব্যাপক। আর এর কারণ ডায়পার হাতের কাছে পেলেই যেন মায়েরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, ডায়পার বাচ্চাদের জন্য কি পরিমাণ ক্ষতির কারণ? নিজের অজান্তেই আপনি আপনার সন্তানের কি পরিমাণ ক্ষতি করছেন!
শিশুদের প্রায়ই ডায়পারজনিত র্যাশ বা এ্যালার্জি এমনকি প্রদাহ পর্যন্ত হতে দেখা যায়। ডায়পারে ঢাকা অংশটুকু কখনও লাল, ফোলা ফোলা বা দানাদার দেখা গেলে এবং সেখানে ছোঁয়া লাগলে ব্যথায় শিশু কেঁদে উঠলে বুঝতে হবে ডায়পার র্যাশ হয়েছে। তবে এর সঙ্গে জ্বর, ফুসকুড়ি বা ফোসকা বা সাদা পুঁজ নিগর্ত হতে দেখলে সংক্রমণ নির্দেশ করে এবং জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা দরকার। সাধারণত নয় থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুদের এই সমস্যা বেশি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ডায়পার পরে থাকা, বিশেষ করে মলত্যাগ করার পর, নতুন ধরনের খাবার দেয়ার কারণে মলের প্রকার পরিবর্তনের সময়, ডায়পারের প্লাস্টিক এবং ত্বক পরিষ্কারের রাসায়নিক ও সুগন্ধিযুক্ত টিস্যুর প্রতি এ্যালার্জি, অতিরিক্ত আঁটসাঁট ডায়াপার ইত্যাদি হলো এই সমস্যার প্রধান কারণ। ডায়পার র্যাশ প্রতিরোধ করতে হলে ঘন ঘন ও নিয়মিত শিশুদের ডায়পার পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে মলত্যাগ করার পর পরই। যতটা সম্ভব বাড়িতে ডায়পারবিহীন অবস্থায় খোলা রাখা উচিত। যাদের র্যাশ হয়, তাদের মোছার জন্য সুগন্ধি বা রাসায়নিকযুক্ত টিস্যু ব্যবহার করবেন না।
অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান নিওনেটোলোজি বাংাদেশ ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ, ঢাকা শিশু হাসপাতালের এমএকে আজাদ চৌধুরীর মতে, ডায়পার ব্যবহার করা বাচ্চাদের জন্য মায়েদের অবশ্যই সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ডায়পার হতে বাচ্চার অস্বস্তি ও র্যাশ বা এ্যালার্জি এমনকি প্রদাহ পর্যন্ত হতে পারে যা সত্যিই আমাদের কাম্য নয়। আর একটি বিশেষ কথা হচ্ছে অনেক মায়েরা রাতে ঘুমের সময় একবার ডায়পার পরালে সকালে সেটা খুলে দেন মায়েরা সারারাত নিশ্চিত থাকেন যে, বিছানাপত্র কিছু নষ্ট হলো না যদি এই রকম প্রতিদিনই করে থাকেন তাহলে সেটা অচিরেই বন্ধ করুন। কারণ আপনার বাচ্চার ক্ষতি আপনি নিজেই করছেন। তাই আমি বলব যে অন্তত রাতে ডায়পার পরানোর পর দু’একবার পরিবর্তন করা উচিত।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই, প্রতিটি মা ডায়পার ব্যবহারে সচেতন হোন, নিজের সন্তানকে সুস্থ রাখার জন্য ডায়পারের সঠিক ব্যবহার করুন।
সীমা আক্তার মেঘলা
শীর্ষ সংবাদ: