স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ এপ্রিল। সোমবার এ মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ছিল। কিন্তু বেগম জিয়া শারীরিক অসুস্থার কারণে আদালতে নেয়া হয়নি। এ জন্য চিকিৎসক আদালতে কাস্টডি ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) পাঠায়। তাতে বলা হয়, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান অভিযোগ গঠনের শুনানির মুলতবি করে ১০ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন। পরের বছরের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামিরা হলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন। এই মামলার তিন জন আসামি পলাতক। এরা হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
গত বছরের ৫ মে এই মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামি সাবেক সচিব শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। এর আগে, ২০১৭ সালের ২০ নবেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।
