ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তিস্তার পতিত বালুচরে এখন সবুজ আর ফসলের বিপ্লব

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২ এপ্রিল ২০১৯

তিস্তার পতিত বালুচরে এখন সবুজ আর ফসলের বিপ্লব

তাহমিন হক ববী ॥ ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের কৃষক বিদ্রোহ উত্তরবঙ্গের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা থেকে শুরু হয়েছিল- যার নেতৃত্বে ছিলেন তন্বারায়ণ রায়, জামশেদ আলী চাটি প্রমুখ। ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ গ্রন্থের নূরলদীনের পদচারণা ছিল এ উপজেলায় এবং তিনি তেভাগা আন্দোলনকে সংগঠিত করেছিলেন। নূরলদীন ছিলেন ডিমলা উপজেলায় তেভাগা আন্দোলনের অনুপ্রেরণা। এই অঞ্চলেরই শত শত পরিবার এক সময় তিস্তা নদীর বন্যা ও ভাঙ্গনে গোলাভরা ধান, পুকুরভরা মাছ ও গোয়াল ভরা গরুসহ বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। অনেকে ভূমিহীন হয়ে পড়েছে। মাথা গুঁজতে বাধ্য হয়ে বাঁধের ওপর ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল তারা। ছিল তিন বেলা খাদ্যের অভাব। অক্টোপাসের মতো তাদের ঘিরেছিল মঙ্গা। ত্রাণের জন্য চাতক পাখির মতো বসে থাকতে হতো সেই সময় । সেই তেভাগা আন্দোলন থেকে বন্যা-খরার সঙ্গে মোকাবেলা। আজ তারা বিজয়ী। যে নদী তাদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে সেই তিস্তা চরের মানুষজন যে জীবনযুদ্ধে ফসল ফলিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে তা দেখিয়ে দিচ্ছে। ডিমলার রূপালী বালুচরের মাটিকে সত্যি সত্যিই রূপা থেকে সোনায় রূপান্তরিত করে ফুড বাস্কেটে পরিণত করছে তারা। সেই নিঃস্ব পরিবারের আজ সবাই স্বাবলম্বী। তাদের আর সেই ঝুপড়ি ঘর নেই। অনেকেই তিস্তার ডান তীরের প্রধান বাঁধের পাশে জমি ক্রয় করে সেমিপাকা বাড়ি নির্মাণ করেছে। বাপ- দাদার সেই হারানো সম্পদ আবার তারা ফিরে পেয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে। তথ্যপ্রযুক্তি এখন তিস্তাপারের পরিবারের হাতে মুঠোয়। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তি বিজ্ঞানের একটি আশীর্বাদ। এই প্রযুক্তি বলতে আমরা কখনও শুধু ফেসবুককে বুঝি। তবে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এমন নয়। তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জীবনে জড়িয়ে দিয়েছে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস অ্যাপ,ইউটিউব- ই-মেইল। একটা সময় ছিল যখন আমরা এই প্রযুক্তি থেকে ছিলাম অনেকদূর। ডিজিটাল বাংলাদেশসহ পৃথিবী এখন এতটাই এগিয়ে গেছে যে এ প্রযুক্তি বর্তমানে আমাদের হাতের মুঠোয়। আর এই শক্তি দিয়ে তিস্তার চরবাসী অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করছে। এই তথ্যপ্রযুক্তি তিস্তাপারের রূপালী চরবাসীর নারী, পুরুষ ও শিশুরা এখন বুঝতে পারে। তিস্তার রূপালী চরের মানুষজন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিতে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ, গবাদি পশু পালন ও স্বাস্থ্য সচেতনতার পথ খুঁজে পেয়েছে। ফলে তারা তাদের জীবনমান নতুনরূপে গড়ে তুলছে। চরের জমিতে প্রতিটি ঋতু পরিক্রমায় ভুট্টা, আলু, মিষ্টিকুমড়া, ধান, পিঁয়াজ, রসুন, বাদাম, গম, ক্ষীরা, গাজর, কাঁচামরিচ, রসুনসহ বিভিন্ন আবাদে মেতে উঠেছে তারা। চরবাসী সকল দুর্যোগ কাটিয়ে পুনরায় এখন তাদের রূপালী চরকে ফুড বাস্কেটে পরিণত করেছে। এক সময় তিস্তার চরের নেতিবাচক খবর মিডিয়ায় প্রকাশ পেত। এখন চরগুলোর সেই নেগেটিভ খবর নেই। তারা এখন নতুন করে সরকারী ও বেসরকারী সহায়তায় অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চরের ধু-ধু বালুচরে বিশেষ লাগসই কম খরচের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিষমুক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন করছে। শত শত হেক্টর জমি এখন বালুচর হিসেবে পড়ে নেই। পতিত বালুচর এখন সবুজ বিপ্লব। ফসল বিপ্লব। চরের এই ফুড বাস্কেট,সবুজ বিপ্লব, ফসল বিপ্লব স্বচোখে দেখতে সেখানে যাচ্ছেন অনেক দাতা সংস্থার বিদেশী প্রতিনিধিসহ ঢাকা ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণসংযোগ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলাবেষ্টিত তিস্তার বেশ কিছু চর সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জীবিকাযুদ্ধ তাদের হাতেই জাদু- স্মার্টফোনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চরের বালুময় জমিতে ফসলের সমাহার ঘটিয়েছে। চরবাসীর চোখে-মুখে আনন্দের হাসি। বিশেষ করে বাণিজ্যিকভিত্তিতে ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া, মসলাজাতীয় ফসলের চাষ পাল্টে দিয়েছে চরের মানুষের জীবনমান। পাল্টে দিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব সমীকরণ। শোভা পাচ্ছে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল। সেমিপাকা বসত ঘরে ঘরে শোভা পাচ্ছে সোলারপ্যানেল, বিদ্যুত সংযোগসহ রঙিন টিভি ও ফ্যান। কৃষকের ঘরে ঘরে শ্যালোইঞ্জিন চালিত সেচপা¤প। আর এসকল অনুপ্রেরণা দিয়েছে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার, অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফাম বাংলাদেশ। বাস্তবায়ন করছে বেসরকারী সংস্থা পল্লীশ্রীর প্রতীক প্রকল্প। পাশাপাশি টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে কাজ করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাজি মোঃ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সরেজমিনে জানা যায়, তিস্তার পতিত ধু ধু রূপালী বালুচরে প্রথমে জরিপ চালানো হয়। ওই জরিপ অনুযায়ী ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি এলাকায় এক শ’ নারীকে বাছাই করে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণন দেয়া হয়। প্রশিক্ষণে ওই এক শ’ নারীকে বিনামূল্যে প্রদান করা হয় একটি করে স্মার্ট ফোন। এই ফোনে ১০০ নারীকে খুলে দেয়া হয় তাদের নামে নামে ফেসবুক। এর পর চর এলাকার মানুষজনকে স্মার্ট ফোন ও অনলাইন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এলাকার কৃষকদের যোগসূত্র করা হয় ওই সকল নারীর ফেসবুকের সঙ্গে। ওই নারীরাই মৌসুম অনুযায়ী কৃষিতে কোন্ সময় তিস্তার বালুতে কি ধরনের ফসল উৎপাদন ও ফসল রক্ষায় করণীয় কি হতে পারে সেই পদ্ধতি তুলে ধরা হয়। এ জন্য প্রতীক প্রকল্প হতে ওই ১০০ নারী এমিনেটরকে প্রতিমাসে ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রয়োজনীয় এমবি এবং ফ্লেক্সিলোড প্রদান করা হয়ে থাকে। এই নারীরা ৫টি দলে বিভক্ত হয়ে চরবাসীর কাছে ছড়িয়ে দেয় কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তি। শুধু তাই নয়, তারাও চরের জমিতে ফসল ফলাতে পারদর্শী। এক শ’ নারী তাদের পরিবারের সকল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তিস্তার বিশাল চরে আবাদে যেন মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এলাকার কৃষকরাও কৃষির প্রয়োজনে তাদের কাছেই ছুটে আসেন। প্রতীক প্রকল্পের সেখানকার বেলী জনসংগঠনের সদস্য সাহের বানু। তিনি দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত। তিনি বললেন, তিস্তা নদীর বন্যা আর ভাঙ্গনে আমার বাপ-দাদারা পথের ভিখারিতে পরিণত হয়েছিল। অথচ আমাদের কি না ছিল? শত বিঘা জমি, ধানের গোলা, গরু সব, সব। এক সময় ভূমিহীন হয়ে পড়ে। অতীতের কথা বলতে গিয়ে তিনি কেঁদে ফেলেন। তার কাছেই জানা গেল একদিন কোন রকমে এক বেলা ভাত খেতে পেলেও তার পরের দুদিন ভাত জুটত না। আধা কেজি চাল ভেজে তা পানিতে ভিজিয়ে ৮ জন ভাগ করে খেতাম। মাছ, মাংস, ডিম খাওয়ার কথা কোনদিন চিন্তায় আসত না। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের আওতায় প্রতীক প্রকল্প আমাদের সব কিছু পাল্টে দিয়েছে। সাহের বানুর স্বামী আব্দুল করিম নিজেও কৃষি শ্রমিক। তার দিন এনে দিন খাওয়া সংসার। সাহের বানু প্রতীকে এসে তার উন্নতির প্রতীক হয়েছেন। তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় ছেলে সহিদুল ইসলাম দিনাজপুর সরকারী কলেজে অনার্স পড়ছে, দ্বিতীয় ছেলে এসএসসি পাস করেছে। একমাত্র মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন এবার এসএসসি দিয়েছে। মেয়েটি ডাক্তার হতে চায়। প্রতীকের সদস্য হয়ে সাহের বানু যেমন অন্য কৃষকদের তথ্যপ্রযুক্তিতে সহায়তা করছে, তেমনি নিজেও চরের জমিতে ফসল উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। বিগত কয়েক বছরে ভুট্টা, গম ও আমন ধান আবাদ করে আসছে। ওই সবের পাশাপাশি এবার সকলেই আবাদ করেছে মিষ্টি কুমড়া। সাহের বানুর মতো জেসমিন-কাজলী-মনোয়ারা-রোকেয়া-শারজিনা-মোহনা-রুমি-আমিনা-কুলসুম-ময়ফুল-ফরিদা-শিল্পি-মেরিনা-রহিমা-সালেহা-মৌসুমী-ফজিলা- জ্যোৎ¯œা- শেরিনা-লাভলী-শিউলী-মর্জিনা-ময়না, নাছরিন- কোহিনুরের মতো নারীরা স্বামীর সংসারের উন্নয়নে বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। শুধু এরাই নয়, ওই এলাকায় যে ১০ হাজারের ওপর পরিবার বাস করে তারা এই ১০০ নারীর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কৃষিতে পুঁজি করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। ছেলেমেয়েদের শিক্ষায় শিক্ষিত করছে সকলেই। তাদের পোশাক পরিধানেও এসেছে মানসম্পন্ন। যা শহরে মানুষের মতোই বৈচিত্র্যতা। বিশেষ করে চরের বালুতে ভুট্টা আবাদ সব থেকে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের পথ দেখায়। আর মিষ্টি কুমড়া আবাদে তাদের প্রযুক্তিটাও সুন্দর। প্রতিদিন দুই বেলা কুমড়া ক্ষেতে পানি দিতে হয়। এই পানি যাতে একদিন পর পর দিতে হয় সে জন্য তারা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে। চরের বালুতে মিষ্টিকুমড়া গাছের শেকড় দেড়ফুট পর্যন্ত গভীরে যায়। ফলে দেড়ফুট পর্যন্ত গর্ত করে নিচে বিছিয়ে দেয় পলিথিন। দূর হতে বয়ে এনে কুমড়া গাছে পানি দেয়াও খুব কষ্টকর। এখানেও তারা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কুমড়াক্ষেতের কাছেই কুয়া। চার ফুট গর্ত খুঁড়তেই পাওয়া যায় পানির স্তর। সেই পানি উঠে আসে সেই ছোট কুয়ায়। কত সহজ হয়ে ওঠে মিষ্টি কুমড়ার গাছে পানি দেয়া। ভুট্টা চাষে তারা ব্যবহার করে ডিজেল চালিত সেচযন্ত্র। বাঁধের ধারে সেচযন্ত্র বসিয়ে পাইপ দিয়ে সেই সেচের পানি ভুট্টা ক্ষেতে ছড়িয়ে দেয় তারা। এই নারী ও তিস্তার চরের কৃষকদের কাছে কথাগুলো যখন শোনা যায় তখন মনে হবে তাদের বাস্তবতার গল্পগুলো সকল গল্পকে হার মানিয়ে দেয়। এখন তারা তিস্তা নদীর বন্যা,ভাঙ্গনকে আর ভয় পায় না। তারা এখন প্রকৃতির সঙ্গে লড়তে শিখেছে। শিখেছে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিতে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের। উল্লেখ্য, তিস্তা নদীর সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৩১৫ কি.মি, তার মধ্যে ১১৫ কি.মি বাংলাদেশ ভূখ-ে অবস্থিত। আর ২০০ কি.মি ভারতে। নদীটি ভারতের মেখলিগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ জিরো পয়েন্ট সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করেছে। ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের কিছামত চরের কৃষক আবদুল আজিজ (৫০) জানান, ভেবেছিলাম গতবারে যে বন্যা হয়েছে তাতে ফসল পাব না। কিন্তু সব কিছু তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছেন। বন্যার ক্ষতি আমরা পুষিয়ে নিতে পেরেছি। তিনি জানান, ২০/২২ বছর পূর্বে চরে অভাব-অনটন লেগেছিল। কাজ নেই। কোন ফসলের চাষও হতো না। বর্ষা মৌসুম এলে যন্ত্রণা আরও বেশি হতো। আমরা ত্রাণের আশায় চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকতাম। সেদিন আর নেই। চরাঞ্চলের মানুষ এখন আর না খেয়ে থাকে না। চরগুলো এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। বরং ফুড বাস্কেটে পরিণত হয়েছে। চরে আলু, ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, তরমুজ,শাকসবজি, মিষ্টি কুমড়া, বাদামসহ প্রায় সব খাদ্যশস্যই উৎপাদন হয়। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। এই সরকারের সময় তিস্তা নদীর চরে ভুট্টা আবাদ করে পরিবারের সচ্ছলতা এসেছে। তিস্তার চরের উঁচু স্থানে এখন চরবাসী পাকা ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে। সূর্য ডুবে গেলেও চরে আর অন্ধকার নেই। ঘরে ঘরে সোলার প্যানেল আজ অন্ধকার চরকে আলোকিত করে তুলেছে। পল্লীশ্রীর প্রতীক আমাদের চরবাসীর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। স্মার্ট ফোনে নিজেদের অনলাইন সিস্টেম চালু করে নিয়ে এর সেবা দিচ্ছে। এ ছাড়া সরকারী সেবা তো আছেই। পাল্টে দিয়েছে চরের মানুষের জীবনমান। পাল্টে দিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব সমীকরণ। চরবাসীর চোখে-মুখে এখন আনন্দের হাসি। পল্লীশ্রীর প্রতীক প্রকল্পের কর্মকর্তা এমএ মুকিম চৌধুরী জানান, আমরা চরাঞ্চলের নারীদের সহযোগিতায় দুই শতাধিক স্মার্টফোন বিনামূল্যে সরবরাহ করেছি। প্রতি মাসে তাদের প্রতিটি মোবাইলে ৫০০ এমবি ইন্টারনেট ও ৩৯ টাকা করে ফ্লেক্সিলোড দিয়ে থাকি। এতে করে তারা প্রতিমাসে অনলাইনে গুগল সার্চ ব্যবহার করে কৃষি আবাদে সহায়তা পাচ্ছে। তারা ফেসবুকও ব্যবহার করছে।
×