স্টাফ রিপোর্টার ॥ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানানো কেন অবৈধ এবং বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সোমবার জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান। এর আগে ৩১ মার্চ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির পক্ষ থেকে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়াসহ চার আইনজীবী ওই রিট করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ রেওয়াজটা ভাল নয়। এতে তোষামোদী ভাগটি বেড়ে যায়। মন্ত্রী নিয়োগের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ পত্রিকায় কে কার আগে বিজ্ঞাপন দেবে তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী স্বপন কুমার রায় জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের দেশ মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার। এখানে প্রধানমন্ত্রী দেশের ও জনগণের স্বার্থে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। যারা জনগণের কাজ করতে পারবে তাদেরই মন্ত্রিপরিষদে নেয়া হয়। ধন্যবাদ পেতে হলে সেটা পাবেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী জন্য সরকারী কর্মকর্তাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার প্রয়োজন নেই। ভাল কাজ করলে অবশ্যই তার ক্রেডিড পাবেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে যে সমস্ত সরকারী কর্মকর্তা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বাহবা নেন, তারা পরবর্তীতে সুফল নেয়ার জন্যই এ সমস্ত কাজ করে থাকে।
