পত্র-পত্রিকায় পাঠকেরা সাধারণত খুন, ধর্ষণ, দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতির মতো খারাপ খবর পড়ে পড়ে অভ্যস্ত। কিন্তু এ ধরনের খবর ছাড়াও যে একটি পত্রিকা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে, সেই দৃষ্টান্ত দেখিয়ে দিলেন যুক্তরাজ্যের নাগরিক এমিলি কক্সহেড। তিনি পত্রপত্রিকায় আর সামাজিক মাধ্যমে যুদ্ধ, সহিংসতা, দুর্ঘটনার খবর দেখতে দেখতে এক সময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এরপর তিনি নিজেই নতুন একটি পত্রিকা চালু করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি এভাবে ভাবতে শুরু করেন যে, আমার ওই পত্রিকায় কোন দুঃখজনক ঘটনার খবর থাকবে না, থাকবে শুধু ভাল ও ইতিবাচক বিষয় সংক্রান্ত খবর। সেই চিন্তা থেকেই ২০১৫ সালে কক্সহেড ‘দ্য হ্যাপি নিউজ’ নামের একটি পত্রিকার জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন।
প্রতি তিন মাসে একবার গ্রাহকরা এই পত্রিকা পেয়ে থাকেন। কক্সহেড ২০১৫ সালে তার পরিকল্পনা অনুযায়ী হ্যাপি নিউজের মূলপাতাটি কেমন হবে তার নকশা তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন এবং লেখেন ‘কল্পনা করুন এমন একটি পত্রিকা যদি বাস্তবে থাকত’।
সেই পোস্ট দেখে বেশ কয়েকজন তাকে উৎসাহ দেন পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। তখন থেকেই তিনি এই পত্রিকার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। তার এই পত্রিকা মানুষের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেকের ধারণা রংচংয়ে, আঁকাআঁকিতে ভরা এই পত্রিকাটি এ্যাপ বা ওয়েবসাইট। আসলে তা নয়, এটি একটি পত্রিকা। বর্তমানে পত্রিকাটির ১৩তম সংস্করণ বাজারে বের হয়েছে।
কক্সহেড বলেন, ‘পত্রিকাটি ৩২ পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ রঙিন একটি পত্রিকা। যার পুরোটা জুড়েই থাকে শুধু ইতিবাচক খবর। তিনি বলেন, খবরের কাগজ সাধারণত পুরোপুরি রঙিন হয় না। কিন্তু এই পত্রিকাটি এর ঠিক বিপরীত। আমি ও পত্রিকার পাঠকরা এটি হাতে হাতে ছড়িয়ে দেই। প্রতিবেশি বা বন্ধুর কাছে দেয়া, ট্রেন বা বাসে রেখে আসার মাধ্যমেই এটি নানা শ্রেণীর মানুষের কাছে পৌঁছে যায়।’-দ্য গার্ডিয়ান
