ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ২ এপ্রিল ২০১৯

ঢাকার দিনরাত

নতুন সুসংবাদ দিয়েই শুরু করা যাক। ঢাকা-কলকাতা নৌপথে ৭ দশক পর আবার যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের পাগলায় বিআইডব্লিউটিসির মেরি এন্ডারসন ভিআইপি জেটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেবার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাতে বাংলাদেশী জাহাজ এমভি মধুমতি ৬১ পর্যটকসহ ১৩৭ যাত্রী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়। বাংলাদেশের এমভি মধুমতি ছাড়াও কলকাতার মেসার্স আরভি ও বেঙ্গল গঙ্গা নামে দুটি জাহাজ নারায়ণগঞ্জ-কলকাতা রুটে চলাচল করবে। এসব জলযানের রুট হবে বরিশাল-মোংলা-সুন্দরবন-খুলনার আন্টিহারা হয়ে ভারতের হলদিয়া। বনানীর অগ্নিকবলিত বহুতল ভবন হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে আগুনের শিকার অভিজাত এলাকার একটি বহুতল ভবনে বহু মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে রইল। কী মর্মান্তিক, কী অসহায়ত্ব! চোখের সামনে আগুন লাগা বহুতল ভবনে আটকে আছে শত শত মানুষ, আর আমরা আমাদের সমস্ত সামর্থ্য ও দক্ষতা দিয়েও বিপদগ্রস্ত বহু মানুষকে বাঁচাতে ব্যর্থ হলাম। আত্মরক্ষার জন্য মানুষ উঁচু ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ছে, ঝুলন্ত তার ধরে ঝুলে নামতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে মারা যাচ্ছে, আটকেপড়াদের চিৎকারে বাতাস ভারি হয়ে উঠছে, মানুষের কী অসহায় অবস্থা! এ সহ্য করা যায় না। মাসাধিককাল আগে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় এমনই ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। রাসায়নিক গুদামকে দুষেছিলাম আমরা। এখানে কাকে দুষব? বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে বৃহস্পতিবার এ আগুন লাগার আগের দিনও ওই ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্রে আগুন লেগেছিল। আগুন লাগার কারণ যাই হোক, সেই কারণগুলো খতিয়ে আগাম ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব, কিন্তু পাশাপাশি আগুন নেভানোর সম্পূর্ণ সক্ষমতা আমাদের থাকা চাই। অগ্নিকা-ের শিকার কোন বহুতল ভবন থেকে বিপন্ন মানুষকে নিরাপদে বের করে আনার ব্যবস্থা থাকা চাই। তা না হলে আমরা যারা অগ্নিকা- থেকে দূরে আছি বলে সাময়িকভাবে স্বস্তি পাচ্ছি, তাদের জীবনও নিরাপদ হবে না। অবশ্য আমাদের ফায়ার সার্ভিস সর্বোচ্চ প্রচেষ্টাটি চালিয়েছে। বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীও উদ্ধার কাজে তৎপর হয়েছে। তবু বহু জীবন আমরা রক্ষা করতে পারিনি, এটা বাস্তবতা। একটু পেছনে ফিরে হিসাব নেয়া যাক, তাতে আমাদের নাগরিক দায়িত্ববোধের একটা পরিচয় কিঞ্চিত পাওয়া যাবে। ২০১৭ সালে ঢাকা মহানগরীতে মোট ৩ হাজার ৭৮৬টি বিপণি বিতান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, আবাসিক হোটেল পরিদর্শন করেছিল ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৯টি ভবনই ছিল অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ২ হাজার ৫৮৮টি ভবন ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। এরপর প্রতিটি ভবন কর্তৃপক্ষকে অগ্নি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নোটিস দেয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোঃ মাকসুদ হেলালী জাতীয় অগ্নি সনদ প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বনানীর অগ্নি দুর্ঘটনাকবলিত ভবন পরিদর্শন করার পর একটি পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘আমি হিসাব করে দেখেছি, এই ২৩ তলা ভবনটির অগ্নি নিরাপত্তায় ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা খরচ করলেই চলে, যা ভবনটির এক মাসের ভাড়ার সমান মাত্র। সুতরাং এটা অর্থাভাব নয়, ইচ্ছা বা জ্ঞানের অভাব।’ প্রশ্ন হচ্ছে ঢাকার হাজার হাজার অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মালিকরা তো এক ধরনের জ্ঞানার্জন করলেন এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকা-ের পর। এখন তারা কী উদ্যোগ নেন, সেটাই দেখার বিষয়। যদি তারা অগ্নিঝুঁকি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেন, তা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং ওইসব ভবনের ভাড়াটিয়া বা ব্যবহারকারীরা মালিকদের নিশ্চয়ই বাধ্য করাতে পারবেন। সেটিও কিন্তু সদিচ্ছা, সক্রিয়তা এবং সচেতনতার বিষয়। আমরা সাংবাদিকরা ঢাকার মানুষকে আগুনে পুড়ে মরার হাত থেকে রক্ষার জন্য লিখে অনুরোধ জানানো ছাড়া আর কী করতে পারি? তবে চাইলে সরকার পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিতে পারে। চূড়ান্ত নোটিস দিয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে দেখা যেতে পারে অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হয় কিনা। যদি না হয় তবে প্রতিদিন একটি করে ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিলেই বাকিরা সোজা পথে চলে আসবে। সোজা আঙ্গুলে ঘি না ওঠা নিয়ে প্রবাদটি স্মরণ করা যাক। মোটকথা শুধু বহুতল ভবনেই নয়, সব বাড়িতেই এমন আধুনিক ব্যবস্থা প্রত্যাশিত যাতে আগুন লাগলে তা নেভানোর উপকরণ ও সরঞ্জাম থাকা চাই এবং নিরাপদে বাড়ি থেকে বেরুনোর জরুরি নির্গমন পথও থাকা চাই। স্থপতি তারিকুল লাভলু খোলা চিঠি লিখেছেন পূর্তমন্ত্রী বরাবরে তার ফেসবুক টাইমলাইনে। লিখেছেন : ‘মাননীয় পূর্তমন্ত্রী পনেরো দিনের মধ্যে ঢাকার ভবনসমূহ জরিপ ও তার রিপোর্ট প্রকাশে আপনার ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। স্বাগত জানাই নিয়ম ভাঙ্গা ভবন সিল-গালা করে দেয়ার অঙ্গীকারকেও। তবে এই কাজের জন্য আপনার নেয়া সময়টুকু খুবই অপ্রতুল। এই সময়ের মধ্যে ঢাকার সব ভবন সুষ্ঠু জরিপ সত্যিই এক দুরূহ কাজ। কিন্তু শুরুটা অতি জরুরী। আপনার সংশ্লিষ্ট দফতর প্রায়ই জনবলের স্বল্পতার অজুহাত দেয়। তাই এই মহৎ অথচ উপরি কাজে তাদের কাছ থেকে কতটুকু লোকবল সহায়তা পাবেন জানি না। আমি নিশ্চিত, মুখে তারা অভ্যাসজনিত কারণে জি স্যার...’ বললেও কার্যত চরম গড়িমসি করে শেষে আপনাকেই যে অঙ্গীকার ভঙ্গের দায়ে ফেলবে না, কে জানে! সর্বোপরি, এই অনিয়মে আপনার দফতরের লোকজনদের সংশ্লিষ্টতা প্রশ্নাতীত। নিজেদের অপকর্মের জরিপ নিজেরাই যদি করে, তার ফলও একটা মাকালফলই হয়। তাই এই জরিপ কাজে তাদের অন্তর্ভুক্ত না করাই বরং যুক্তিসঙ্গত হবে। আপনি বরং এ কাজে দেশের প্রকৌশল ও স্থাপত্যের শেষ বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতা নিতে পারেন। আমার বিশ্বাস, এই কাজে তারা যে কেবল স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা করবে তাই নয়। তাদের কাছ থেকে আপনি পাবেন শতভাগ নিষ্ঠা ও যথার্থ এক জরিপ। ছাত্রছাত্রীদের জরিপে লাগিয়ে আপনি বরং এই পনেরো দিন রাজউকের বর্তমান পরিদর্শকদের বিগত বছরগুলোর কর্মকাণ্ড ক্ষতিয়ে দেখেন। অযোগ্য, অকর্মাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। ঢাকার কেবল অভিজাত এলাকার রাস্তার দুই পাশের ভবনগুলোর স্বত্বাধিকারীরা অনুমোদিত পার্কিংয়ের স্থানে পরিদর্শকদের নাকের ডগায় দোকান বানিয়ে ব্যবসা করছে। ভবন নির্মাণে নিয়ম ভেঙ্গেছে শতভাবে। এই পরিদর্শকগণ কেন সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন নাই, অথবা তারা ব্যবস্থা নিতে গেলে কারা তাদের বাধা দিয়েছে, সেগুলোও খুঁজে দেখুন। পাবলিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারী কর্তাদের ভালই লাগে হয়ত। কারণ অনিয়মের অর্জন তো তারা শুরুতেই করে ফেলেছে। এটা তো অনিবার্য সত্যি, সরকারী কর্তাদের নজরানা না দিয়েই কোন নিয়ম ভাঙবে, এমন সুযোগ পাবলিকের নেই।’ সতর্ক হোন জনকণ্ঠ সংবাদ শিরোনাম করেছিল- চৈত্রের শুরুতেই গ্রীষ্মের দাবদাহ। এর সত্যতা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। তাই সাবধানতামূলক কিছু কথা। এই গরমে এসি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। তবে অনেক দিন হলো এসির খোঁজ আমরা রাখিনি। তাই নতুন করে চালুর আগে সার্ভিসিং করে নেয়া উত্তম। সেদিন আমাদেরই বাসার কাছে (উত্তরায়) এসি বিস্ফেরণের ঘটনা ঘটে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন। পরে উভয়ে মারা যান। ঘরের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বিস্ফোরিত হলে বাঁচার কোন উপায় তো দেখি না। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল? এর আগে সিলিং ফ্যান খুলে ঘুমন্ত মানুষের দেহের ওপর পড়ার কথা শুনেছি। কিন্তু এসিতে আগুন লাগার কথা আমার জানা ছিল না। ঢাকায় যে হারে মানুষ বাড়ছে, গায়ে গায়ে লাগা সব ভবন। আর এসি না হলে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আর চলছে না। এ জন্য দোষ দেয়ারও কিছু নেই। সামর্থ্য থাকলে মানুষ আরাম খুঁজবেই এবং তা মেটানোর চেষ্টা করবে। যে কারণে এসি দুর্ঘটনা, সেই একই কারণে আরও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাবে না। তাই এসি পরীক্ষা করিয়ে নেয়া জরুরী বলেই মনে করছি। সাবধানতার মার নেই। এই নিয়ে ঢাকায় থাকা! দুটো দিন ঢাকায় ছিলাম না। নেপালে গিয়েছিলাম। কাঠমান্ডু শহরের দরবার স্কয়ার ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের তালিকায় রয়েছে এবং ২০১৫ সালের ভূমিকম্পে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধ্বংসস্তূপের ক্ষত সারানোর চেষ্টা চলছে চীনের অর্থায়নে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দান একটি মানবিক কর্তব্য। ঢাকার সচেতন সংবেদনশীল নাগরিকরা এ কাজে ব্রতী হয়েছিলেন, মনে পড়ে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের জনগণের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে নানা কর্মসূচীও হাতে নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করেছিল। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত হয় দু’দিনব্যাপী চ্যারিটি শো ‘কনসার্ট ফর নেপাল।’ দরবার স্কয়ারের ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলো (প্রবেশ মূল্য ১৫০ রুপী) দেখতে দেখতে এসব কথা মনে পড়ছিল। নেপালে দেখলাম মুদি দোকানদারও ধুলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাস্ক পরে থাকে। এরা ঢাকার ধুলায় এলে কী করবে কে জানে? মাত্র তো দু’দিন। ঢাকায় ঢুকেই বুঝলাম ঢাকার দিনরাত কত ব্যস্ততা, উৎকণ্ঠা আর বিড়ম্বনায় ভরপুর। ঢাকায় ফিরে সেই চিরচেনা দৃশ্য : ফুটপাথ ও রাস্তায় পিঁপড়ের সারির মতো মানুষের আনাগোনা সন্ধ্যাবেলা অফিস ছুটির পর। গায়ে গা লাগা দশা। চরম বিরক্তিকর। ঢাকা নগরীর অধিকাংশ বহিরাগতই এসেছেন গ্রাম থেকে। গ্রামে বাড়ি হলেই গ্রাম্য হবেন এমন কোন কথা নেই। আবার নগরে জন্ম নিলেও বহুজনই নাগরিক হয়ে ওঠেন না। ঢাকার রাস্তায় যারা পথ চলেন তাদের ভেতর নাক-ঝাড়া আর থুঁতু ফেলার রোগ আছে প্রচুর লোকের। তারা আড়াল আবডাল খোঁজেন না, গর্ত কিংবা নর্দমাও নয়। পথের ওপরেই নাক ঝাড়েন, থুঁতু ফেলেন। ঠিক পাশেই যদি আপনি থাকেন, তা হলে নিজেকে রক্ষার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। তা না হলে গায়ে বা কাপড়ে এসে পড়তে পারে দেহ-বর্জ্য। গাড়ির ভেতরে থাকলে ধোঁয়া-ধুলা ছাপিয়ে দুর্গন্ধ নাকে আসে না। কিন্তু ঢাকার বড় বড় রাস্তায় হাঁটার সময় অবধারিতভাবে আপনার নাকে এসে লাগবে বিচিত্র দুর্গন্ধ। মানুষের মলমূত্র আর খাবারের পচনশীল উচ্ছিষ্টের দুর্গন্ধে ঢাকার নবাগত আগন্তুকের বমনের উদ্রেক হওয়া স্বাভাবিক। তবে অনেকেরই এসব সয়ে যায় কালে কালে। তা না হলে রাস্তায় নাক চেপে বা নাক ঢেকে ক’জনকেই বা আপনি পথ চলতে দেখেন! আকাশ প্রদীপ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকায় বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ঘরোয়াভাবেও বহু সংগঠন উদযাপন করে থাকে স্বাধীনতা দিবস। ধানম-িতে এমনই একটি সংগঠন আকাশ প্রদীপ তাদের অনুষ্ঠান সাজিয়েছিল নানামুখী আয়োজনে। মানব সভ্যতার ইতিহাস নিয়ে সুদীর্ঘ আলোকপাত ছিল এর অন্যতম ব্যতিক্রমী পরিবেশনা। এতে ডাঃ জাহীদুল হাসান কুমারের প্রাণবন্ত সচিত্র উপস্থাপনা গোটা পঞ্চাশেক দর্শককে ধরে রেখেছিল। ছিল কবিতা-গান। তবে ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা’ এ দেশাত্মবোধক গানটির সঙ্গে তরুণ চিত্রকর তারাক মাহাদির অনবদ্য ছবি আঁকার পর্বটি ছিল অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ। কিশোরগঞ্জ থেকে আসা আবৃত্তিকার জুয়েল ও সঙ্গীতশিল্পী জ্যোতির যৌথ পরিবেশনা ছিল অনুষ্ঠানের আকর্ষণীয় অংশ। পাঠ ও সঙ্গীতে অংশ নেন কবি ফারুক মাহমুদ, গোলাম মোরশেদ, মাহবুবা বিনু, আইনুন আরজু, সুলতানা শাহরিয়া পিউ, মালিহা পারভীন, মনিরা ফেরদৌসী মহুয়া প্রমুখ। বিশেষ মূল্যছাড়ে বই কেনার সুযোগ ফেব্রুয়ারির বইমেলার পর আবারও সুযোগ এসেছে বিশেষ ছাড়ে (২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ) দশ নামী প্রকাশনীর বই কেনার। শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘চৈত্রে বই উৎসব ২০১৯’ শীর্ষক এ আয়োজন চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। উৎসবে অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে- অ্যাডর্ন পাবলিকেশন, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ইকরিমিকরি, উৎস প্রকাশন, কথাপ্রকাশ, কাকলী প্রকাশনী, প্রথমা প্রকাশন, বেঙ্গল পাবলিকেশন্স, সন্দেশ ও মাওলা ব্রাদার্স। এই বই উৎসবে গল্প, কবিতা, নাটক, উপন্যাস ছাড়াও রয়েছে প্রবন্ধ, গবেষণা, ভ্রমণ, অর্থনীতি, রাজনীতি, দর্শন, ধর্ম, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, বিজ্ঞান, অভিধান, সায়েন্স ফিকশন, স্মৃতিকথাসহ বাংলা-ইংরেজী ভাষায় লেখা বিপুল বইয়ের সমাহার। শিশু-কিশোরদের জন্য বিশেষায়িত বই তো আছেই। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার বন্ধ) বইমেলাসহ থাকছে বইকেন্দ্রিক নানা আয়োজন। ৩১ মার্চ ২০১৯ [email protected]
×