ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বনানী অগ্নিকান্ডে আহত ১২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ১ এপ্রিল ২০১৯

 বনানী অগ্নিকান্ডে আহত ১২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে এফআর টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত ১২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হতভাগ্যরা এসব হাসপাতালের বেডে কষ্ট ও যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। এদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে ১ জন, বার্ন ইউনিটে ৫ জন, সিএমএইচে ২ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ১ জন, এ্যাপোলো হাসপাতালে ২ জন ও উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১ জনকে ভর্তি করা হয়। ভর্তি রোগীদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরা হচ্ছে, ঢামেক হাসপাতালে আইসিইউতে ১ জন, সিএমএইচের আইসিইউতে ১ জন ও হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে ১ জন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের আইসিইউতে ১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভর্তি রোগীদের অধিকাংশই আগুনের ধোঁয়ায় কণ্ঠনালীর তীব্র সমস্যায় আক্রান্ত। রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সহকারী পরিচালক ডাঃ আয়েশা আক্তার এসব তথ্য জানান। এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এসব তুলে ধরে তিনি জানান, আহতদের মধ্যে সোহেল রানা (২৪) ও মেজর (অব.) মঈন (৪৮) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে, ফজলুল হক (২৮) ও শাহরিয়ার ইসলাম (৩৮) এ্যাপোলো হাসপাতালে, এ বি এম আতিকুর রহমান (৪৯) ইউনাইটেড হাসপাতালে, অনুপম দেবনাথ (৩৪), আব্দুস সবুর খান (৪২), তৌকির ইসলাম (৩২), সাব্বির (২৮) ও রিজওয়ান আহমেদ (৩৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে এবং নজরুল ইসলাম (৪৭) উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বনানী এফআর টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের পর ওই বহুতল ভবন থেকে ১৩০ জন আহত অবস্থায় রাজধানীর বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ২৬ জন মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ১১ জন, বার্ন ইউনিটে ৭ জন, কুর্মিটোলা ৫০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৪৪ জন, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১২ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৩২ জন, এ্যাপোলো হাসপাতালে ১০ জন, বনানী ক্লিনিকে ২ জন, শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন, সিটি হাসপাতালে একজন ও উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল একজন চিকিৎসা নেন। তিনি জানান, ওই এফআর টাওয়ারের অগ্নিকা-ে নিহতরা হচ্ছে, মৌলভীবাজারের সামিনা ইয়াসমিন (৪৮) এ্যাপোলো হাসপাতালে, কাশিয়ানীর (গোপালগঞ্জ) পারভেজ সাজ্জাদ (৪৬) বনানী ক্লিনিকে, চাঁদপুরের আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৬২) ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে, রংপুরের মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬), খুলনার মিজানুর রহমান লিটন (৩৪) চাঁদপুরের আতাউর রহমান (৬২) রংপুরের ফরিদা খানম (৪৫) শ্রীলঙ্কার নিরস বি কে রাজা ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল (৪০) ঢাকা সিএমএইচে মারা যান। আর ঢামেক হাসপাতালে মারা যান ৯ জন। তারা হচ্ছেন, শরীয়তপুরের মির্জা আতিকুর রহমান (৪২), পাবনার আমির হোসেন রাব্বি (২৯), কুষ্টিয়ার ইফতিয়ার হোসেন মিঠু (৩৭), যশোরের জারিন তাসনিম বৃষ্টি (২৫), লালমনিরহাটের আঞ্জির সিদ্দিক আবির (২৭), নওগাঁর মঞ্জুর হোসাইন (৪৯), নারায়ণগঞ্জের ফজলে রাব্বি (৩০) ও নীলফামারির রুমকি আক্তার (৩০)। কুর্মিটোলা ৫শ’ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৫ জনের মৃত্যু হয়। এরা হচ্ছেন, নোয়াখালীর জেবুন্নেছা (৩০), মগবাজারের সালাউদ্দিন মিঠু (২৫), বগুড়ার তানজিলা মৌলি (২৫), চাঁদপুরের রেজাউল করিম রাজু (৪০) ও মির্জাপুরের (টাঙ্গাইল) নাহিদুল ইসলাম তুষার (৩৫)। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান তিন জন। এরা হচ্ছেন, পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মাকসুদুর রহমান (৩২) ও মিরপুরের মনির হোসেন (৫২) এবং দিনাজপুরের আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০)।
×