ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এইচএসসি পরীক্ষা আজ শুরু

প্রকাশিত: ১০:৪০, ১ এপ্রিল ২০১৯

 এইচএসসি পরীক্ষা  আজ  শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দশ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দেশজুড়ে দুই হাজার ৫৭৯টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। প্রথম দিনের পরীক্ষায় বসছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ পরীক্ষার্থী। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৮ বোর্ডের এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র (ডিআইবিএস) এবং মাদ্রাসার আলিমে কুরআন মাজিদ পরীক্ষা হবে। কারিগরি বোর্ডের এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় সকালে বাংলা-২ (নতুন সিলেবাস), বাংলা-২ (পুরনো সিলেবাস), বিকেলে বাংলা-১ (সৃজনশীল নতুন সিলেবাস), বাংলা-১ (সৃজনশীল পুরনো সিলেবাস) এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্সে সকালে বাংলা-২, বিকেলে বাংলা-১ (সৃজনশীল) পরীক্ষা হবে। আগামী ১১ মে পর্যন্ত চলবে লিখিত পরীক্ষা। ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। প্রশ্ন ফাঁসসহ সব ধরনের অব্যবস্থাপনা রোধে কঠোর পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পরীক্ষা। আগেই পরীক্ষাকে নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয়েছে কোচিং সেন্টার বন্ধসহ অন্তত ২২ ধরনের পদক্ষেপ। আজ থেকে ৬ মে পরীক্ষার শেষ পর্যন্ত সারাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে কান না দিতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, দেশে নানান ধরনের কোচিং সেন্টার রয়েছে। আইডিয়ালি কী হওয়ার কথা- শুধুমাত্র যে পরীক্ষা হচ্ছে সে পরীক্ষার কোচিং বন্ধ থাকলে চলত। কিন্তু আমাদের এখানে একই জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন রকমের কোচিং হয়, তারপরেও আমরা দেখেছি যখন নিষেধ করা হয় তখনও কিছু অসাধু ব্যক্তি নানাভাবে ওই নিষেধাজ্ঞাকে এড়িয়ে অসাধু উপায় অবলম্বন করেন এবং কোচিং সেন্টার খোলা রাখার বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যান। সে কারণে আমরা বাধ্য হয়েই সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখছি। এইচএসসি পরীক্ষার সময় সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হলে অন্য স্তরের শিক্ষার্থীদের যে অসুবিধা হতে পারে।। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে নির্ধারিত আসনে বসতে হবে। অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থীর দেরি হলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নম্বর ও দেরির কারণ উল্লেখ করতে হবে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে পাঠাবেন। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমন একটি ফোন ব্যবহার করবেন, যা দিয়ে ছবি তোলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। ট্রেজারি বা থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-শিক্ষক-কর্মচারীরাও কোন ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র বহনের কাজে কালো কাঁচের মাইক্রোবাস বা এ ধরনের কোন যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। কোন সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হবে তার কোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেয়া হবে। প্রশ্নফাঁস সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস-সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। প্রশ্নফাঁস কিংবা শিক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা ও জেলা প্রশাসন কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
×