ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুই মালিক ৭ দিনের রিমান্ডে ;###;গণশুনানিতে ২৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ ;###;বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ধারণা

টাওয়ারটি হেলে পড়েছে ॥ প্রবেশও বিপজ্জনক

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ১ এপ্রিল ২০১৯

 টাওয়ারটি হেলে পড়েছে ॥ প্রবেশও বিপজ্জনক

আজাদ সুলায়মান ॥ বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নি দুর্ঘটনায় বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তের প্রথম দিনেই ধরা পড়েছে ভবনটি হেলে পড়ার চিত্র। ভবনটিতে এখন প্রবেশ করাও বিপজ্জনক। ব্যবহারেরও অনুপযোগী বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইমারত বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক তদন্তে ভবনের ৮ তলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান দুই আসামিকে নেয়া হয়েছে সাত দিনের রিমান্ডে। এছাড়া গণশুনানিতেও ঘটেছে চরম ক্ষোভের বহির্প্রকাশ। পুলিশ এ মামলার তদন্ত রিপোর্ট দ্রততম সময়ে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছে, ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এদিকে এফআর টাওয়ারের আশপাশের বহুতল ভবনগুলো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এ মামলার আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই ভবন নির্মাণে কার কতটুকু গাফিলতি, দুর্নীতি ও অনিয়ম ছিল তা বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এজন্যই রবিবার তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। একই সময় বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেছে। ওই টিমে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপক, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও সচিব (উন্নয়ন) এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী। আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে। রবিবার সকালে এফআর টাওয়ার পরিদর্শন শেষে বুয়েট ও রাজউকের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত টিমের সদস্য, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনায় এফআর টাওয়ার কিছুটা হেলে পড়েছে। ভবনের ভেতরের কলাম ও স্ল্যাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো ঠিক করতে অন্তত ১৫০ দিনের মতো সময় লাগার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবনে জরুরী নির্গমন পথ ছিল খুবই অপ্রশস্ত। কেবল একটি ফ্লোরে ফায়ার ডোর ছিল। আরও বেশ কিছু জায়গায় ত্রুটি রয়েছে। এগুলো সংশোধন ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না। এ কমিটির সদস্য মেহেদী আহমেদ আনসারী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও ফায়ার সেফটি কোড অনুযায়ী সংস্কার ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না। এই ভবন সংস্কারে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে। বুয়েটের আরেক অধ্যাপক রাকিব আহসান জানান, পরিদর্শনের সময় তারা দেখেছেন জরুরী নির্গমন পথটি কোন কোন জায়গায় বন্ধ ছিল। টিমের অপর এক সদস্য প্রাথমিক পরিদর্শন শেষে ভবনটির কংক্রিট ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী বলেছেন, ১৮ তলা ভবনটি ২৩ তলা করায় কতটা ঝুঁকি তৈরি করেছে, তা খতিয়ে দেখতেই এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। ভয়ঙ্কর এই আগুনের প্রকৃত উৎস নিয়েও তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, টাওয়ারের আটতলায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সদস্যরা এক গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের জানান,সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ২৪ প্রত্যক্ষদর্শীর গণশুনানির মাধ্যমে সাক্ষ্য নেয়া হয়। তাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে আটতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বনানী থানা পুলিশের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমে গণশুনানি চলে। বিকেলে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব ফায়জুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের যাবতীয় সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে আগামী বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। প্রকৃতপক্ষে গণশুনানির মূল উদ্দেশ্য হলো আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও যাতে আমরা উত্তরণ করতে পারি, সে বিষয়ে সুপারিশের জন্য এই শুনানির আয়োজন করা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ থেকে আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত কাজে গণশুনানির সাক্ষ্যগ্রহণ একটি অংশ। আমরা জমির মালিকের বক্তব্য শুনেছি। তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি এই ভবনটি নির্মাণ কাজ যারা করেছে তারা এখন পর্যন্ত কোন কাগজপত্র দেয়নি। তাদের কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য সময় দিয়েছি। এমনকি এ ঘটনায় যারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি, তাদেরও বক্তব্য নিয়েছি। ভবন থেকে বের হয়ে আসার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে গণশুনানিতে তিনি বলেন-ভবনটি সম্পূর্ণ গ্লাস দিয়ে ঢাকা থাকায় আগুনের ঘটনায় যে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে সেটি বের হতে না পেরে পুরো ভবনের ফ্লোর এবং সিঁড়িতে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ কারণে মানুষের বের হয়ে আসাটা কঠিন ছিল। আমরা সবার বক্তব্য শুনেছি। আরও কি কি ব্যবস্থা থাকলে তারা আরও দ্রুত বের হতে পারত, তা আমরা সুপারিশের মাধ্যমে তুলে ধরব। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-সাধারণত এ ধরনের বহুতল ভবনে যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা দরকার, তা ছিল না। অগুন লাগার সময় ভবনে কোন ধরনের ফায়ার এলার্ম বাজেনি এবং কখনও কোন অগ্নি সুরক্ষার মহড়া হয়নি। ভবনের ফায়ার এক্সিটওয়ে খুবই সরু। অনেক ফ্লোরে এক্সিট ডোর সিল করা ছিল। তাছাড়া এক্সিট ডোরের কোন দিকনির্দেশক চিহ্ন ছিল না। এ কারণে আগুনের ঘটনায় তারা ওই দরজাটি ব্যবহার করতে পারেনি। এদিকে আটতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই তলায় থাকা স্প্রেক্ট্রা এসএন টেক্সটাইল লিমিটেডের দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন- স্প্রেক্ট্রা এসএন টেক্সটাইল লিমিটেডের সহকারী ম্যানেজার কফিলউদ্দিন ও কমার্শিয়াল অফিসার মাইনউদ্দিন বাঁধন। তারা বলেন, আমাদের কমার্শিয়াল ম্যানেজার মাইনউদ্দিন বাঁধনসহ আমরা আটতলায় আমাদের অফিসে ছিলাম। দুপুরে আমরা অফিসের সিঁড়ির পাশে ও লিফটের সামনে ধোঁয়া দেখি। এরপর আমি বাঁধনকে ডাক দেই। তারপর দু’জনে বের হয়ে যাই। আমাদের অফিসের ভেতরে কোন আগুন দেখিনি। আমাদের অফিসের ভেতরে আমরা কোন আগুন দেখিনি। উপর থেকে ধোঁয়া এসেছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না ॥ এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির আব্দুল বাতেন বলেন-এ ভবন নির্মাণের আগে ও পরে কার কী ভূমিকা ছিল সেসব আমরা তুলে ধরব। প্রত্যেকটা বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হবে যেন কেউ পার পেয়ে না যায়। ইতোমধ্যে আগুন লাগার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ইতোমধ্যে ফারুক ও তাসভিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজউক, মালিকপক্ষ এবং ডেভেলপার কোম্পানিদের মধ্যে কার কী ভূমিকা ছিল, দেখা হবে। সব অপরাধ পর্যালোচনা করে তদন্ত শেষে তাদের গাফিলতি ও অপরাধ চিহ্নিত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হবে। আব্দুল বাতেন বলেন, একটি ভবন নির্মাণে কি কি নীতিমালা রয়েছে, তা রাজউক নজরদারি করে। যে এই ইনস্পেকশন করে তার দায়-দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। নিয়ম মেনে সেটি করা হয়েছিল কিনা। এছাড়া, ফায়ার সেফটির বিষয়গুলোতে ফায়ার সার্ভিসের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। এ ভবনে কি কি ব্যত্যয় ছিল সেসব শনাক্ত করা হবে। সাধারণত একটি ভবন ব্যবহার উপযোগী করে ডেভেলপার কোম্পানি হস্তান্তর করে থাকে। এফআর টাওয়ারের ক্ষেত্রে ডেভেলপার কোম্পানি রূপায়ন অন্য মালিকদের রেজিস্ট্রেশন করে বুঝিয়ে দেয়নি। এ ক্ষেত্রে ভবনে রূপায়নেরও মালিকানা রয়েছে। এফআর টাওয়ারের অনুমোদন ও নজরদারিতে রাজউকের গাফিলতি থাকতে পারে, অথচ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না আনার বিষয়ে তিনি বলেন, রাজউকের কার্যক্রমটি তার অথরিটি নিশ্চিত করবে। কেউ নিয়মবহির্ভূত কোন কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে দাফতরিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কেউ সরাসরি ক্রিমিনাল অফেন্সে জড়িত থাকলে তদন্তে যদি তাদের নাম আসে, তাহলে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্তে অপরাধ অনুযায়ী সবাইকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ সময় অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- এখানে ভবন ভেঙ্গে পড়েনি, অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। তাই ভবনে অগ্নিকা- ব্যবস্থাপনায় কি কি ঘাটতি ছিল, সেসব বিষয় বিবেচনায় আনা হবে। এমনকি মামলার অন্যতম আরেক আসামি রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান পলাতক রয়েছেন, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলুেছ। এক দড়িতে দুই মালিক ॥ বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম রিমান্ডের আবেদন করে বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ও অগ্নিকা-ের মূল তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নেয়া দরকার। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। দুপুরে এফআর টাওয়ারের ভূমি মালিক এসএম এইচ আই ফারুক ও বিতর্কিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভিরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাদের এক দড়িতে দুজনের হাত বাঁধা থাকতে দেখা যায়। দুজনকেই বেশ অনুতপ্ত দেখাচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ (পরিদর্শক) জালাল উদ্দিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং অগ্নিকান্ডের সঠিক তথ্য ও পলাতকদের গ্রেফতারের জন্য অভিযুক্তদের দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করেন। এর আগে শনিবার রাতে এস এম এইচ আই ফারুককে বারিধারার বাসা থেকে এবং তাসভিরুল ইসলামকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। আদালতে জমির মালিক অভিযুক্ত এস এম এইচ আই ফারুকের পক্ষে ঢাকা বার আইনজীবী সমিতির সভাপতি গাজী শাহ আলম শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, জমির মালিক ফারুক হলেও ডেভেলপার কোম্পানির সঙ্গে তার চুক্তি ছিল ১৮ তলা পর্যন্ত ভবনটি নির্মাণের। পরে ডেভেলপার কোম্পানি অবৈধভাবে ভবনটি ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে। সে বিষয়ে মালিক ফারুক বনানী থানায় একটি জিডিও করেন। ভবনটি নির্মাণের পর তা বিভিন্ন লোকের মালিকানায় ছিল। ভবনটির মালিকদের একটি ম্যানেজমেন্ট ছিল, যেখানে তাদেরও গাফিলতি ছিল। যেহেতু আসামি ৭৩ বছরের একজন ক্যান্সার রোগী। তাই সবদিক বিবেচনা করে রিমান্ড আবেদন বাতিল করে তার জামিন চাচ্ছি। তার পক্ষে ঢাকা বার আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচিসহ অনেকে শুনানি করেন। আদালতে অপর অভিযুক্ত তাসভিরুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী শুনানি করেন। তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে মামলায় দ-বিধির যে ধারাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, তা এ মামলার জন্য উপযুক্ত নয়। আসামি একজন বয়স্ক ব্যক্তি এবং ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী। নিয়মিত ডাক্তারের চেক আপে থাকতে হয় তাকে। তাই তার রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চাচ্ছি। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এতে ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানো ও হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত অনেক স্বেচ্ছাসেবী অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নেন। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে ৪৩৬/৩০৪(ক) /৪২৭/১০৯ ধারায় মামলা (নম্বর ৩৭) করেন। মামলায় এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ও তাসভিরুল ইসলামকে আসামি করা হয়।
×