ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে খেলাঘরের বছরব্যাপী অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ১০:১৮, ১ এপ্রিল ২০১৯

 বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে খেলাঘরের  বছরব্যাপী অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কিছুক্ষণ পরপর সরবতা ছড়ায় কচি কণ্ঠগুলো। চারপাশ জুড়ে প্রতিধ্বনি ওঠে স্বদেশপ্রেমী শিশুদের। সবাই মিলে স্লোগানে স্লোগানে বলে ওঠে ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘আমরা কারা শান্তির পায়রা’ কিংবা ‘খেলাঘর চায় কি-শিক্ষা-শান্তি’। আর এমন মধুর প্রতি ধ্বনির সন্ধান মেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের আয়োজনে। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের আসন্ন জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে ঐতিহ্যবাহী শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ‘ওই দেখো মহাকালের মহামানব আজ জন্মশতবর্ষে’ প্রতিপাদ্যে রবিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি একইসঙ্গে খেলাঘরের জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অনুষ্ঠানও শুরু হয় এদিন। সংগঠনের শিশু শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় বর্ণিল রূপ পায় শহীদ মিনারের আয়োজন। ছোটদের সুরেলা কণ্ঠের গানের সঙ্গে ছিল কবিতার শিল্পিত উচ্চারণ। মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির সম্মিলনে পরিবেশিত হয়েছে সমবেত নৃত্য। তাদেরই কণ্ঠে পঠিত হয়েছে স্বাধীনতার বার্তাবহ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ। মেঘাচ্ছন্ন চৈত্রের বিকেলে একঝাঁক লাল-সবুজ বেলুন উড়িয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিম-লীর চেয়ারম্যান অধ্যাপক পান্না কায়সারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহাবুল ইসলাম বাবু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ও পরে ছিল শিশু শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। অনুষ্ঠানের শুরুতে এক সুরে মিলে যায় অতিথি ও শিশুদের কণ্ঠস্বরগুলো। সবাই মিলে মমত্ববোধের আশ্রয়ে গেয়ে শোনায় ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রতীকী গার্ড অব অনার প্রদান করে খেলাঘরের ভাইবোনেরা। স্বাধীনতার মহান স্থপতিকে নিবেদন করে শিশু শিল্পীরা গেয়ে শোনায় ‘হে মহামানব একবার এসো ফিরে’। শান্তির প্রত্যাশী সেই কণ্ঠগুলোতেই উচ্চারিত হয় ‘আমরা তো সৈনিক শান্তির সৈনিক’ শীর্ষক সঙ্গীত। এর মাঝে বঙ্গবন্ধু রূপে আবির্ভূত হয় ফারহান সাদিক সামি। পঞ্চম শ্রেণীর এই শিক্ষার্থীর উদ্দীপ্ত কণ্ঠে পঠিত হয় ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ। আরেক শিশু শিল্পীর কণ্ঠে পঠিত হয় সাতই মার্চের প্রেক্ষাপটে রচিত নির্মলেন্দু গুণের কালোত্তীর্ণ কবিতা ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’। অনেকগুলো কণ্ঠ এক সুরে গেয়ে শোনায় দেশাত্মবোধক গান ‘এই দেশটাকে ভালোবেসে এসো’। শিশুদের দলীয় আবৃত্তিতে উচ্চারিত হয় সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা ‘আমার পরিচয়’। ‘শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধু’ গানের সুরে পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য। সংগঠনের শিশু শিল্পীরা পরিবেশন করে ‘আমরা পূর্বে পশ্চিমে’ শিরোনামের সঙ্গীত। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
×