ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যৌতুকের জন্য ডিআইজির বোনকে হত্যায় ভগ্নিপতির মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ১০:১৬, ১ এপ্রিল ২০১৯

 যৌতুকের জন্য  ডিআইজির  বোনকে হত্যায়  ভগ্নিপতির  মৃত্যুদণ্ড

কোর্ট রিপোর্টার ॥ পুলিশের ডিআইজি আব্দুল্লাহেল বাকীর বোন সোনিয়া সুলতানাকে যৌতুকের দাবিতে হত্যার অভিযোগে স্বামী মশিউর রহমানের (সুখন) মৃত্যুদ-ের রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। রবিবার ঢাকার নয় নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ শরীফ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিতিতে ওই আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার ভিকটিম সোনিয়া সুলতানার সঙ্গে মশিউর রহমানের ২০০৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিয়ে হয়। বিয়ের পর মশিউর ভিকটিমের বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করেন। এরপর ব্যবসার প্রয়োজনে আরও ২৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু ভিকটিমের পরিবার ফের যৌতুক দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে ভিকটিম সোনিয়ার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। পরে ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই স্ত্রী সোনিয়াকে স্বামী সুখন শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে আসামি মশিউর ভিকটিমের ভাই-বোনদের ফোন করে সোনিয়ার অসুস্থতার কথা বলে সবাইকে বাসায় আসতে বলেন। তখন তারা বাসায় গিয়ে দেখেন, সোনিয়া মারা গেছে। পরে মশিউর নাটকীয়ভাবে সোনিয়াকে কবর দেয়। পরে ওই ঘটনায় ভিকটিমের ভাই প্রকৌশলী আব্দুলাহেল বাকী ওই বছর ৮ আগস্ট মামলা দায়ের করেন। ২৪ আগস্ট লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। সেখানে ধারা পড়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে সোনিয়াকে। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ট্রাইব্যুনাল পরের বছর ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে মামলার বিচার শুরু হয়। অপর আসামিরা ছিলেন সুখনের প্রেমিকা মেরিনা হক, বোন সুমি, মায়া ও মেরি। পরবর্তীতে হাইকোর্ট চার আসামির পক্ষে বিচারকাজ স্থগিত করেন। ফলে আদালত ওই চারজনকে বাদ দিয়েই মামলাটির বিচার কাজ শেষ করেন।
×